বাইশে শ্রাবণ pdf – নির্মলকুমারী মহলানবিশ Baishe Srabon pdf – Nirmal Kumari Mahalanbish

বাইশে শ্রাবণ pdf - নির্মলকুমারী মহলানবিশ Baishe Srabon pdf - Nirmal Kumari Mahalanbish

নির্মলকুমারী মহলানবিশ এর Baishe Srabon pdf বাইশে শ্রাবণ pdf পিডিএফ ডাউনলোড করুন।

বাইশে শ্রাবণ pdf - নির্মলকুমারী মহলানবিশ Baishe Srabon pdf - Nirmal Kumari Mahalanbish

Baishe Srabon pdf কৃতজ্ঞতা স্বীকার

যাঁর অকুণ্ঠ সাহায্য ও উৎসাহ না পেলে আমার এই বই ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়তো মোটেই হতো না সেই আমাদের চিরদিনের হিতাকাঙ্ক্ষী এবং বিশেষ বন্ধু শ্রীযুক্ত জীবনময় রায়কে সর্বাগ্রে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ওঁর কাছে আমি ১৯২৯ সাল থেকে বরাবর কৃতজ্ঞ আছি, কারণ নিজের চিকিৎসার দ্বারা আমাকে সেই সময় মৃত্যুর হাত থেকে টেনে এনে নিজের নাম উনি সার্থক করেছেন। আজ যে আমি বেঁচে থেকে এই লেখা লিখতে পেরেছি তা সম্ভব হয়েছে জীবনবাবুরই গুণে। সেই সময় আমার আরোগ্যের পর স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও জীবনবাবুকে বলেছিলেন, “জীবন, রানীকে সারিয়ে তুমি তোমার ‘জীবনময়’ নাম সার্থক করেছ।”
কল্যাণীয় ব্রজকিশোর সিংহ, যিনি মুহূর্তের মধ্যে আমার অনুরোধে এই বই-এর ছবি যখন যা বলেছি তৈরি করে দিয়েছেন—তাঁর কাছেও আমি বিশেষ ঋণী, তাঁকেও আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

কল্যাণীয় অনিকেন্দ্র মহলানবিশ, অজয় হোম, চিত্ত চট্টরাজ, কালীপদ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ যাঁরা নানাভাবে এই বই প্রকাশনে সাহায্য করেছেন তাঁদের সকলের কাছেই আমি কৃতজ্ঞ আছি। বিশেষ করে শ্রীযুক্ত জীবানন্দ সাহা যিনি তাঁর অসুস্থ শরীর নিয়েও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই প্রকাশনের জন্য তাঁর কাছে আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা আছে।
শ্রীযুক্ত সাগরময় ঘোষকে আমার ধন্যবাদ জানাই এই লেখা “দেশ” পত্রিকার মাধ্যমে তিনি সর্বসাধারণের কাছে প্রথম প্রচার করেছেন বলে এবং সর্বশেষে মিত্র ও ঘোষ যাঁরা এই বই প্রকাশন ও পরিবেশনের ভার নিয়েছেন তাঁদের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য কয়েকমাসের মধ্যে দ্বিতীয় মুদ্রণ সম্ভব হলো, তাই তাঁদেরও আমার ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১০ই ফাল্গুন ১৩৬৭ আম্রপালি, বরানগর
শ্রীনির্মলকুমারী মহলানবিশ

Baishe Srabon pdf
ভাই রানী,                                                                                             ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর পাণ্ডুলিপি পাঠে শ্রীযুক্তা প্রতিমা দেবীর পত্র
চিত্র-ভানু                                                          ৮ই সেপ্টেম্বর, ‘৫৯

তোমার লেখাটা এত চমৎকার হয়েছে, সে দিনের স্মৃতি এত উজ্জ্বল তোমার লেখায়, যে পড়তে পড়তে অনেকবার চোখের জল ফেলেছি। ভাষা, বলবার ধরন এত তোমার নিজস্ব যে এক এক সময় মনে হয় তোমার কথাই শুনছি। বইখানিতে তোমার নিজস্ব আর্ট সম্পূর্ণ ফুটে উঠেছে। তখনকার দিনগুলোকে তুমি নিজের ভাষায় পাঠকের কাছে জীবন্ত করে দিয়েছো। যে ক’জন সেদিন গুরুদেবের চারিদিকে ছিলুম তাঁরা সকলেই জানেন, সে দিনগুলি আমাদের কাছে কি শোকের মূর্ছনা বাজিয়েছে প্রাণের চারিদিক ঘিরে। সেই সঙ্গে তাঁকে শেষ সেবা করবার আকাঙ্ক্ষা কত বলবতী ছিল সকলের মনে। তুমি একজন, যে তাঁর অন্তরের কাছে এসেছিলে। তাঁর সে ব্যক্তিত্বের পরিণতির আভাস তুমি বিশেষ ভাবে পেয়েছো। তিনি বলতেন “যে আমার কাছে আসে তাকে আমি কিছু দিতে চেষ্টা করি। কেবল তার সেবা নেব, এ আমার ধর্ম নয়।

আমার মধ্যে যা বিশুদ্ধ, যা উত্তম তাদের আমি দিয়ে যেতে চাই। সেইটেই হবে তাদের আধ্যাত্মিক জীবনের পাথেয়।” আমাদের বোধ হয় সকলকেই স্বীকার করতে হবে, আমরা কিছু না কিছু তাঁর আশীর্বাদ এই সুদীর্ঘ জীবনপথে পেয়েছি এবং তাঁর গভীর ও মহৎ ব্যক্তিত্বকে নানা দিক থেকে অনুভব করেছি। তোমার এই লেখাটি সেই অভিজ্ঞতারই একটি রূপায়িত ফল। ইতি—
প্রতিমাদি

Baishe Srabon pdf নমুনাঃ

কবি একদিন উপনিষদের কয়েকটি শ্লোক নিয়ে আলোচনা করতে করতে বললেন, “ব্রাহ্মসমাজে একটি শ্লোককে বাংলায় তর্জমা করতে গিয়ে একটা চরণের মানে এমন বদলে দেওয়া হয়েছে, যাতে করে সমস্ত শ্লোকটাই আমার মতে নিরর্থক হয়ে গেছে। ঐ যে ‘রুদ্র যত্তে দক্ষিণম্ মুখম্ তেন মাম্ পাহি নিত্যম্-এর বদলে বলা হয়েছে ‘দয়াময়, তোমার যে অপার করুণা তাহার দ্বারা সর্বদা আমাকে রক্ষা করো; এটা প্ৰথম চরণগুলোর সঙ্গে মোটেই খাপ খায়নি। কারণ গোড়া থেকে শেষ পর্যন্ত সবটাই দুটো জিনিসকে পাশাপাশি উল্লেখ করা হয়েছে আসল মন্ত্রটাতে। যেমন অসত্য না থাকলে সত্যের, অন্ধকার না থাকলে আলোর, মৃত্যু না থাকলে অমৃতের মানে নেই, তেমনি রুদ্র না থাকলেও তাঁর প্রসন্নতার কোনো তাৎপর্য থাকে না। Baishe Srabon pdf

সেখানে তাঁকে শুধু দয়াময় বলা ভুল। কারণ তাঁর রুদ্রমূর্তিও যে সংসারে দেখছি, সেটা তো অস্বীকার করিতে পারিনে। তাই উপনিষদ তাঁর কাছে দয়া ভিক্ষা না করে চেয়েছেন তাঁর প্রকাশ। সে প্রকাশ বিশ্বজগতের সব জিনিসের মধ্যেই রয়েছে; কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না নিজের অন্তরের মধ্যে তা অনুভব করি ততক্ষণ আমার ভয় ঘোচে না, ততক্ষণ তিনি আমার কাছে রুদ্ররূপেই দেখা দেন। তাই তো প্রার্থনা ‘অসত্য থেকে আমাকে সত্যেতে নিয়ে যাও, অন্ধকার পেরিয়ে জ্যোতিতে, মৃত্যু পার হয়ে অমৃতলোকে উত্তীর্ণ করো।  Baishe Srabon pdf

Baishe Srabon pdf ডাউনলোড লিংক
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply