ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর – ক্ষেত্র বসু Upanasik Tarashonkor pdf – Khetra Basu

ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর - ক্ষেত্র বসু Upanasik Tarashonkor pdf - Khetra Basu

ক্ষেত্র বসুর ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে।Upanasik Tarashonkor pdf writen by Khetra Basu bangla books pdf.

ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর - ক্ষেত্র বসু Upanasik Tarashonkor pdf - Khetra Basu
ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর pdf কভার ফটো

ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর pdf সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
নামঃ ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর pdf
লেখকঃ ক্ষেত্র বসু
সাইজঃ ২০.৬ এমবি
পৃষ্ঠাঃ ৩১০

ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর pdf প্রস্তাবনা

বীরভূমের রুক্ষ মাটির দেশের মানুষ তারাশঙ্কর যেদিন বাংলা সাহিত্যের আঙ্গিনায় সসঙ্কোচ পদার্পণ করলেন, সেদিন তাঁর কোন দাবী ছিল না। না। আপন সাধনবলে সাহিত্যক্ষেত্রে তাঁর আসন পাততে তিনি আশাবাদী হলেও, সাফল্য সম্পর্কে যথেষ্ট সংশয় ছিল মনে। কিন্তু ‘কল্লোলে’র দপ্তরে পাকা জহুরীর দৃষ্টি নিযে বসেছিলেন শ্রীপবিত্র গঙ্গোপাধ্যায়। তারাশঙ্করকে চিনতে তাঁর ভুল হয়নি, তাঁর নিজের ভাষাতেই-

“রসকলির মত অমন একটি গল্প বাংলাদেশের কথাসাহিত্য পাঠক সমাজকে উপহার দিতে পারার আত্মপ্রসাদে মন আমার ভরে গিয়েছিল। ‘আগুন’-এর বেলায় এই কথাই মনে হয়েছিল যে একটি পাবক অগ্নিশিখা তার দীপ্তিতে বাংলাদেশের সাহিত্যাকাশ আলোকিত করার জন্য প্রকাশোন্মুখ, তার প্রকাশের মুখের সামান্য বাধাটুকু সরিয়ে দেবার সুযোগ আমার এসেছে, সেটি না করলে প্রত্যবায় ঘটবে, উত্তরকালের কাছে অপরাধী হয়ে থাকবো আমি, যদি চ তাতে বসুধাতল থেকে উদিত জ্যোতিপ্রভার আত্ম- প্রকাশ ও আদিগন্ত বিকিরণ আটকে থাকতো না।”

অর্ধশতাব্দী ধরে অতঃপর তারাশঙ্করের লেখনী আর বিশ্রামের অবকাশ পায়নি। প্রাথমিক পর্বে যে মৃদু স্বীকৃতি তাঁকে সাদরে বরণ করে নিয়েছিল, পরবর্তী কালে ক্রমশ তা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ হয়েছে। পাঠকদের অনুরাগ, সমালোচকদের প্রশংসা তো ছিলই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল রাষ্ট্রীয় সম্মান, গুণীজনের স্বীকৃতি, পদক ও পুরস্কার। সাহিত্য সাধনার প্রথম পর্যায়ে আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাঁকেও অবতীর্ণ হতে হয়েছিল বটে, কিন্তু তবুও সাহিত্যিক হিসাবে তাঁর জীবনের এই বিগত পঞ্চাশ বৎসরকাল আগাগোড়াই একটি আরোহণ পর্ব। উত্তরোত্তর তাঁর খ্যাতি বৃদ্ধি পেয়েছে, নানাভাষায় তাঁর রচনা অনূদিত হয়েছে এবং সাহিত্যিক হিসাবে আমাদের এদেশের কোন পুরস্কার থেকেই তিনি বঞ্চিত হননি। ১৯২৮-এর সেই সলজ্জ আগন্তুক যখন ১৯৭১-এ তিরোধান করলেন, তখন তিনি বাংলা সাহিত্যের মুকুটহীন সম্রাট।

সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রেই তারাশঙ্কর অনায়াসে বিচরণ করেছেন। তার হাতেখড়ি ‘ত্রিপত্র’ কাব্য দিয়ে কবিতা, গান পরেও লিখেছেন অনেক। ছোটগল্পে মুন্সীয়ানা ছিল তার যথেষ্ট এবং রসিকজন তাঁর গুণমুগ্ধ হয়েছিলেন ছোটগল্প পড়েই। বাংলা সাহিত্যের কয়েকটি শ্রেষ্ঠ এবং বিশ্বসাহিত্যের কয়েকটি অসাধারণ গল্পের রচয়িতা তিনি। মঞ্চসফল কয়েকটি নাটকও তিনি লিখেছেন এবং একসময় তাঁর সাহিত্যিক আগ্রহ কেবলমাত্র নাটকেই সীমিত ছিল। গান-কবিতা- ছোটগল্প-নাটকে এই কৃতিত্ব সত্ত্বেও তারাশঙ্কর মূলত ছিলেন ঔপন্যাসিক-পঞ্চাশেরও বেশি উপন্যাস তিনি লিখে গেছেন। তারাশঙ্কর তাঁর টালার বাড়ীতে পড়ার ঘরে বসে একদিন বলছিলেন :
“তোমরা কিন্তু আমায় কবি, ছোট গল্পকার, গীতিকার বা নাট্যকার বলবে না কোনদিন। উপন্যাস লিখতেই আমি
গণদেবতা ভালবাসি, সুতরাং আমি মূলত ঔপন্যাসিক। পঞ্চগ্রাম লিখে আমি উপন্যাস রচনার পূর্ণ তৃপ্তি পেয়েছি।”

এই পরিতৃপ্তি তারাশঙ্করের পাঠকদের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়েছিল। দেশ, কাল, সমাজ ও জীবনের বিশাল পরিসরে তাঁর উপন্যাসের সযত্ন বিন্যাস — আবেগ ও ভাবালুতার সাথে যুক্ত হয়েছে বাস্তব জীবনের বিশ্বস্ত বর্ণনা এবং তাতে জীবনের সত্য হয়েছে উদ্ঘাটিত। জীবন- জিজ্ঞাসার তীব্রতা, গভীরতা ও ব্যাপ্তি না থাকলে ঔপন্যাসিক সার্থকতা আসে না—উপন্যাস বৃহত্তর পরিধিতে একটি কাহিনী মাত্র নয়, মানবজীবনের শৈল্পিক প্রকাশ – সম্পূর্ণ মানুষ সেই শিল্পের উপজীব্য। তারাশঙ্কর এই সম্পূর্ণ মানুষের জীবনাঙ্কনে, মানবজীবনের সকল সত্যকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়িয়েছেন। শিল্পবিচারের নিরিখে তারাশঙ্করের প্রতিটি উপন্যাস অবশ্যই সাফল্য দাবী করতে পারবে না, কিন্তু ঔপন্যাসিক হিসাবে তিনি স্বধর্মচ্যুত হননি, অর্থাৎ মানব- জীবনের বৈচিত্র্য অন্বেষণে তার ক্লান্তি ছিল না কোনদিন। পরম মমতায় তিনি বাস্তব জীবন থেকে তাঁর বিষয়বস্তু আহরণ করেছেন।

বিশেষ যুগের বিশেষ অঞ্চলের সামাজিক আলেখ্যই তাঁর সাহিত্যের উপজীব্য । উপজীব্য। “তারাশঙ্করের রচনাবলী একটা বিরাট সামাজিক উপপ্লবের ইতিহাস। বহু প্রকারের বহু চরিত্র তাঁহার উপন্যাসে স্থান পাইয়াছে। সকলকে লইয়া সমাজের একটি গোটা প্রস্থচ্ছেদ (cross-section) আমাদের সম্মুখে তুলিয়া ধরা হইয়াছে।” উপন্যাস জীবনের চলচ্চিত্র। জীবনপ্রবাহের নিত্যনূতন তরঙ্গের উদ্ভব ও বিলয় সম্পর্কে ঔপন্যাসিক তাই উদাসীন থাকতে পারেন না। জীবনের খণ্ড-বিশ্লিষ্ট বহু উপকরণ শিল্পীর চেতনায়-চৈতন্যে
মনে-মননে অবগাহন করে একটি পূর্ণ অবয়ব লাভ করে। জীবনের ঘাতপ্রতিঘাতে শিল্পীমানসে যে ক্রমিক প্রতিক্রিয়ার সূচনা হয়, তারই প্রত্যক্ষ পরিণতিতে আমরা পাই তার রচিত উপন্যাস। সমালোচনার দৃষ্টিতে উপন্যাসকে যথাযথ অনুসরণ করতে গেলে তাই শিল্পীমানসের স্বরূপটি সযত্নে লক্ষ্য করতে হয়।

ক্ষেত্র বসুর ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর pdf ডাউনলোড লিংক

Download / Read Online

 

Be the first to comment

Leave a Reply