হাসির গল্পের বই pdf কিংবা ছোটদের হাসির গল্পের বই Ek Kuri Ek Hasir Golpo pdf এক ঝুড়ি হাসির গল্প pdf এক দমফাটা হাসির গল্প pdf ও শিক্ষনীয় গল্পের বইও বটে। শ্রেষ্ঠ হাসির গল্প বা আধুনিক হাসির গল্প সাথে রোমান্টিক গল্পের বই এর মিশ্রণ পেতে Ek Kuri Ek Hasir Golpo pdf এর জুড়ি নেই। শিক্ষনীয় হাসির ছোট গল্প বাংলা সাহিত্যে হাসির গল্প যেন বাঙালির হাসির অনু গল্প pdf। জসীম উদ্দিনের বাঙালির হাসির গল্প প্রথম খন্ড ও বাঙালির হাসির গল্প ২ খন্ড pdf বাঙালির হাসির গল্পের মূলভাব ও ধারণা পাল্টে দিয়েছে। Ek Kuri Ek Hasir Golpo pdf গ্রাম বাংলার হাসির গল্প pdf হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে পেরেছে। গল্পগুলো পড়ে এত হাসবেন যে আশপাশ থেকে লোকজন দেখতে আসবে।
Ek Kuri Ek Hasir Golpo pdf এর সূচী
১। ফাঁকি দিয়া স্বর্গলাভ
৩। ডমরুধরের কুমির শিকার
৩। ডিটেকটিভ
৪। গুরুদেব বিদায়
৫। জামাইষষ্ঠীর নিমন্ত্রণ
৬। আমার বইয়ের কাটতি
৭। দামি প্রেজেন্ট
৮। হিসেবের ঠেলা
৯। গজুখুড়োর বনে গমন
১০। কাব্যরোগের টোটকা
১১। ত্রিশঙ্কুর নকল স্বর্গ
১২। বনফুলের গল্পের গল্প
১৩। কাগজ তো পড়ো না….
১৪ । তিন কিশোরের কাণ্ড
১৫। ফুটো
১৬। ভজু ভাদুড়ির গল্প
১৭। বড়োমামার স্বপ্ন
১৮। কাণ্ড কারখানা
১৯। কুট্টিমামার কীর্তি
20 | চিচিং ফাঁক
Ek Kuri Ek Hasir Golpo pdf নমুনা
শঙ্কর ঘোষ জিজ্ঞাসা করিলেন,—শুনিয়াছি যে, সুন্দরবনে নদীনালায় অনেক কুমির আছে! তোমার আবাদে ঐ জলাজমিতে কুমির কীরূপ? ডমরুধর বলিলেন,—কুমির! আমার আবাদের কাছে যে নদী আছে, কুমিরে তাহা পরিপূর্ণ। খেজুর গাছের মতো নদীতে তাহারা ভাসিয়া বেড়ায়। অথবা কিনারায় উঠিয়া পালেপালে তাহারা রৌদ্র পোহায়। গোরুটা, মানুষটা ভেড়াটা, ছাগলটা বাগে পাইলেই লইয়া যায়। কিন্তু এসব কুমিরকে আমরা গ্রাহ্য করি না। একবার আমার আবাদের নিকট এক বিষম কুমিরের আবির্ভাব হইয়াছিল। ইহার দেহ বৃহৎ, তাল গাছের ন্যায় বড়ো, ইহার উদর এই দালানটির মতো, অন্যান্য কুমির জীবজন্তুকে ছিঁড়িয়া ভক্ষণ করে। কিন্তু এ কুমিরটা আস্ত গোরু, আস্ত মহিষ গিলিয়া ফেলিত। রাত্রিতে সে লোকের ঘরে ও গোয়ালে সিঁদ দিয়া মানুষ ও গোরু-বাছুর লইয়া যাইত। লাঙ্গুলে জল আনিয়া দেয়াল ভিজাইয়া গর্ত করিত। ইহার জ্বালায় নিকটস্থ আবাদের লোক
অস্থির হইয়া পড়িল। প্রজাগণ পাছে আবাদ ছাড়িয়া পলায়ন করে, আমাদের সেই ভয় হইল। তাহার পর লাঙ্গুলের আঘাতে নৌকা ডুবাইয়া আরোহীদিগকে ভক্ষণ করিতে লাগিল। সে নিমিত্ত ঐ পথ দিয়া নৌকায় যাতায়াত অনেক পরিমাণে বন্ধ হইয়া গেল। Ek Kuri Ek Hasir Golpo pdf
এই ভয়ানক কুমিরের হাত হইতে কীরূপে নিষ্কৃতি পাই এইরূপ ভাবিতেছি। এমন সময় আমার নিকট একখানি নৌকা ডুবাইয়া তাহার আরোহীদিগকে একে একে আমাদের সমক্ষে সে গিলিয়া ফেলিল। এই নৌকায় এক ভদ্রলোক কলিকাতা হইতে সপরিবারে পূর্ব-দেশে যাইতেছিলেন। নদীর তীরে দাঁড়াইয়া আমরা দেখিলাম যে, তাঁহার গৃহিণীর সর্বাঙ্গ বহুমূল্য অলংকারে ভূষিত ছিল। তোমরা জান যে কুমিরের পেটে মাংস হজম হয়, গহনা পরিপাক হয় না। কুমির যখন সেই স্ত্রীলোককে গিলিয়া ফেলিল, তখন আমার মনে এই চিন্তা উদয় হইল, – চিরকাল আমি কপালে-পুরুষ। যদি এই কুমিরটাকে আমি মারিতে পারি, তাহা হইলে পেট চিরিয়া ওই গহনাগুলি বাহির করিব। অন্তত পাঁচ-ছয় হাজার টাকা আমার লাভ হইবে।
এইরূপ চিন্তা করিয়া আমি কলিকাতায় গমন করিলাম। বড়ো একটি জাহাজের নঙ্গর কিনিয়া উকো ঘষিয়া তাহাতে ধার করিলাম। তাহার পর, যে কাছিতে মানোয়ারী জাহাজ বাঁধা থাকে সেইরূপ এক কাছি ক্রয় করিলাম। এইরূপ আয়োজন করিয়া আমি আবাদে ফিরিয়া আসিলাম। আবাদে আসিয়া শুনিলাম যে, কুমির একটা মানুষ খাইয়াছে। চারিদিন পূর্বে এক সাঁওতালনি বুড়ি বেগুন মাথায় করিয়া হাটে বেচিতে যাইতেছিল। সে যেই নদীর ধারে গিয়াছে, আর কুমির তাহাকে ধরিয়া বেগুনের ঝুড়ির সহিত আস্ত গিলিয়া ফেলিয়াছে। তাহাতে সাঁওতাল প্রজাগণ খেপিয়া উঠিয়াছে। বলিতেছে যে, আবাদ ছাড়িয়া তাহারা দেশে চলিয়া যাইবে।
আবাদে আসিয়া নঙ্গরটিকে আমি বঁড়শি করিলাম। তাহাতে জাহাজের কাছি বাঁধিয়া দিলাম। নঙ্গরের তীক্ষ্ণ অগ্রভাগে এক মহিষের বাছুর গাঁথিয়া নদীর জলের নিকট বাঁধিয়া দিলাম। নদীর ধারে দাঁড়াইয়া সে গাঁ-গাঁ শব্দে ডাকিতে লাগিল। তাহার ডাক শুনিয়া সন্ধ্যার ঠিক পূর্বে সেই প্রকাণ্ড কুমির আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার লেজের ঝাপটে পর্বত-প্রমাণ এক ঢেউ উঠিল। সেই ঢেউয়ে বাছুরটি ডুবিয়া গেল। তখন আমরা আর কিছুই দেখিতে পাইলাম না। কিন্তু পরক্ষণেই কাছিতে টান পড়িল। তখন আমরা বুঝিলাম যে নঙ্গরবিদ্ধ বাছুরকে কুমিরে গিলিয়াছে। বঁড়শির ন্যায় নঙ্গর কুমিরের মুখে বিধিয়া গিয়াছে। তাড়াতাড়ি পঞ্চাশ জন লোক আসিয়া দড়ি ধরিয়া টানিতে লাগিল। ভাগ্যে গাছে পাক দিয়া রাখিয়াছিলাম। তা না হইলে কুমিরের বলে এই পঞ্চাশ জন লোককে নদীতে গিয়া পড়িতে হইত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.