হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf – দীপঙ্কর বিশ্বাস Hasir Barota pdf – Dipankar Biswas

হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf - দীপঙ্কর বিশ্বাস Hasir Barota pdf - Dipankar Biswas
হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf - দীপঙ্কর বিশ্বাস Hasir Barota pdf - Dipankar Biswas

দীপঙ্কর বিশ্বাস এর Hasir Barota pdf হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf ডাউনলোড করুন এখনি। Hasir Barota pdf Bangla Comedy ebook pdf download and read it.

হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf - দীপঙ্কর বিশ্বাস Hasir Barota pdf - Dipankar Biswas
হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf – দীপঙ্কর বিশ্বাস Hasir Barota pdf – Dipankar Biswas

Hasir Barota pdf হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf সূচিপত্রঃ

শবন্তলার টিকি
হোঁচটের চোট
মেজদাদার মেধা
সিন্দুকের চাবি
এক সেরা ভূতের গল্প
টি.টি.র সঙ্গে খিটিমিটি
কুকুর প্রভুভক্ত জীব
জলাতঙ্ক অথবা মায়ের কথা শুনলে
সেজমামার ঘুষি
কামিয়ে কামান উদ্দোগ
চুপিচুপি গুপ্ত এণ্ড কোং

Hasir Barota pdf হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf নমুনাঃ

রবিবার সাত সকালে ভুলোমামা আমায় বলল, ‘আজ জগাছায় একটা আম-কাঠের সিন্দুক দেখতে যাব। আমার জন্যে নয়, বড়দার জন্যে। আমায় বারবারই চিঠিতে লেখে এবার একটা মজবুত আমকাঠের সিন্দুক এনো আমেরিকা থেকে। বড়দার ধারণা যে দেশের নাম ‘আম’ দিয়ে শুরু সেখানে নির্ঘাৎ ভালো আমকাঠের সিন্দুক মেলে। জগাছায় আমকাঠের সিন্দুকের খবরটা কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে পেয়েছি। তুই কিন্তু আমার সঙ্গে যাবি।’

হাউ টু টক টু এনিওয়ান pdf – লেইল লোনডেস How to talk to Anyone pdf by Leil Lowndes

ভুলোমামার আসল নাম কিন্তু ডক্টর গঙ্গাধর ঘোষাল। অতিরিক্ত ভুলের থেকেই ‘ভুলো’ নামটার জন্ম। পড়াশোনা আর কাজের ব্যাপারে কিন্তু ভুলোমামার কোনও ভুলটি হয় না। হলে কি আর অত ডিগ্রী টিগ্রী করতে পারত। Hasir Barota pdf পড়ুন।

ভুলোমামা থাকে আমেরিকায়। প্রত্যেক বছর মাস দেড়েকের জন্য কলকাতায় আসে। সঙ্গে আনে এক উদ্ভট পরিকল্পনা। আমার ইচ্ছে না থাকলেও ভুলোমামার তালে তাল দিতেই হয়, কারণ ফি-বছর ভুলোমামা আমাকে এনে দেয় নতুন নতুন সুন্দর উপহার। ভুলোমামা দিন দশেক কাটায় আমাদের বাড়িতে, কলকাতায়। তারপর চলে যায় অজ পাড়াগাঁয়ে আমার মামাবাড়িতে। ছুটির শেষে ফের আমেরিকা।

জগাছা স্টেশন থেকে সিন্দুকের মালিক ক্ষেত্রমোহন পালের বাড়ি মাইল দেড়েক দূর। ক্ষেত্রবাবুর বাড়ি যে ক্ষেতের ভেতর হবে সেটা আমি আগেই ভেবেছিলাম, খুঁজতে বিশেষ বেগ পেতে হল না।

আমকাঠের সিন্দুকটা সত্যিই দেখার মতন। ইয়াব্বড়। ভুলোমামার মতন পাঁচটা লোক অনায়াসে হাঁটু গেড়ে ভেতরে সেঁধিয়ে যাবে। আমি ফিসফিস্ করে শুধোলাম, ‘এই এতো বড়ো সিন্দুক নিয়ে যাবে কী করে?

ভুলোমামা বলল, ‘আরে, লোকে হাতি চালান করছে। পুকুর চুরি করে কী জন্যে ? নিশ্চয় চালান দেয়। আর এই সিন্দুকটা চালান করা যাবে না? তুই ছেলেমানুষি থামাবি?’

ক্ষেত্রমোহনবাবু সিন্দুকের গুণগান আরম্ভ করলেন। পাশে দাঁড়িয়ে ওঁর স্ত্রী, দুই ছেলে আর মেয়ে ভুলে যাওয়া পয়েন্টগুলো ধরিয়ে দিতে থাকল। ‘সিন্দুকটা, আমার ঠাকুর্দার আমলের। ডালাটা এতো ভারি যে দুটো লোকে শাবল দিয়ে ছাড়া খুলতে পারে না। কোণাগুলো দেখছেন তো পেতল দিয়ে বাধানো, করাত দিয়ে কাটা সম্ভব না। আর এই চাবিটা দেখছেন?”

আমরা চাবিটা দেখলাম। বেশ বড়ো সাইজের। প্রায় এক বিঘৎটাক হবে। হাতলের দিকটায় নক্সাকাটা, দেখার মতনই বটে।

‘খাস বিলিতি তালা, মশাই খাস বিলিতি। এমনটা এখন মাথা খুঁড়লেও পাবেন না।’

বিত্তি ক্ষেত্রবাবুকে মনে করিয়ে দিল, ‘বলো না বাবা সেই গল্পটা।’

আড়চোখে দেখলাম, ভুলোমামা গল্প শোনার জন্য উদগ্রীব। ততক্ষণে দু প্লেট মিষ্টি এসে গেছে। ভুলোমামা হাঁ হাঁ করে উঠল, ‘আবার মিষ্টি কেন?

আমিও হাঁ হাঁ করলাম। দুবার হাঁ-এ দুটো রসগোল্লা মুখের ভেতর টপাৎ। বেশ ক্ষিদে পেয়েছিল।

ক্ষেত্রমোহনবাবু শুরু করলেন, ‘বাপ ঠাকুর্দার আমলে আমাদের একান্নবর্তী পরিবারটা ছিল বেশ বর্ধিষ্ণু। প্রচুর জায়গাজিরেত, প্রচুর আমবাগান, জামবাগান। অনেক ঘর হিন্দু-মুসলমান চাষী আমাদের ক্ষেতে লাঙল চালাতো। সবথেকে বড়ো কথা, আমাদের সাথে গ্রামের সকলের ভারি সদ্ভাব ছিল। সব চাষীরা আমাদের পরিবারকে ভীষণ শ্রদ্ধা করতো আর তারও বেশী ভালবাসতো। তার মূল কারণ আমরা ওদের ওপর কখনোই জোরজুলুম করতাম না। আমাদের যা ধান-চাল, শাক-সবজী জুটতো তা দিয়ে আমাদের মতন পাঁচটা পরিবারের অনায়াসে চলে যেত। ঠাকুর্দা ছিলেন গ্রামের মোড়ল গোছের।

বৈশাখ মাসের এক চাদনী রাত। বড়রা যখন দাওয়ায় আর বাগানে আড্ডা দিচ্ছে, গিন্নিরা রান্নাঘরে, ছোটরা লুডো খেলছে আর বাচ্চারা মায়ের কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে, হঠাৎ হা রে রে রে রে’, একটা বিশাল শব্দে চাঁদনী রাত ফালা ফালা হয়ে গেল। Hasir Barota pdf পড়ুন।

হাঁদা ভোঁদা সমগ্র pdf – নারায়ণ দেবনাথ Hada Vhoder Somogro pdf – Narayan Debnath

মুহূর্তে কারুর বুঝতে বাকি রইল না যে, ডাকাত পড়েছে। কারো হাতে হ্যাচাকের আলো, কারো হাতে ছোরা, বাকিদের হাতে বল্লম টল্লম। অন্তত তিরিশটা লোক। বাড়িতে একটা বন্দুক ছিল। বড় জ্যাঠামশাই বন্দুক বের করে ছাদে দুটো ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করলেন। ডাকাতগুলো একটু থমকে দাঁড়াল। ততক্ষণে বাড়ির মেয়েরা আর বাচ্চারা ঘরে ঢুকে পড়ে খিল লাগিয়ে দিয়েছে। বাবা কাকার দল জ্যাঠামশাইএর সাথে ছাদে। সবাই ভেবেছিল যে ডাকাতগুলো ভয় পেয়েছে। কিন্তু হঠাৎ পেছন দিক থেকে কতগুলো ডাকাত ঝাঁপিয়ে পড়ল বড়ো জ্যাঠার ঘাড়ে। সকলে যখন বাড়ির সামনের দিক আগলাতে ব্যস্ত তখন ওরা ফন্দিমাফিক গাছপালা আব পাইপ বেয়ে বাড়ির পেছন দিক দিয়ে ছাদে চড়াও হয়েছে।

বড় জ্যাঠাকে বন্দুকসুদ্ধু চেপে ধরতেই সবাই সত্যি ভীষণ ঘাবড়ে গেল। ডাকাতগুলো ভোজালি দেখিয়ে বলল, ‘বেকার গুলি ছুঁড়ে বোকার মতন রক্তারক্তি করবেন না। আমরা খোঁজ নিয়েই এসেছি। সিন্দুকের ভেতর অনেক সোনা। চাবিটা ভালোয় ভালোয় দিন, নাহলে প্রচুর খুনখারাপি হবে।’বড়রা, যাদের হাতে গুলি গোলা ছিল, তারা একটু তেজ দেখানোর চেষ্টা করলে, না হলে প্রেস্টিজ থাকে না। কিন্তু বড় জ্যাঠা সবাইকে থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কারো গায়ে হাত পড়বে না তো চাবি দিলে?’

Hasir Barota pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply