ক্রীতদাস pdf – শ্রীপান্থ Kritodas pdf – Sripantha

ক্রীতদাস pdf - শ্রীপান্থ Kritodas pdf - Sripantha
ক্রীতদাস pdf - শ্রীপান্থ Kritodas pdf - Sripantha

শ্রীপান্থ এর Kritodas pdf ক্রীতদাস pdf ডাউনলোড করুন ও Kritodas pdf ক্রীতদাস pdf  পড়ুন।

ক্রীতদাস pdf - শ্রীপান্থ Kritodas pdf - Sripantha
ক্রীতদাস pdf – শ্রীপান্থ Kritodas pdf – Sripantha

Kritodas pdf ক্রীতদাস pdf কাহিনীঃ

ইতিহাসে এমন কিছু কিছু আলো-আঁধারি পর্ব আছে যেখানে একবার প্রবেশ করলে বেরিয়ে আসা কঠিন। ছত্রিশ বছর আগে নিজের অজান্তে এক অসতর্ক মুহূর্তে আমি একবার পা বাড়িয়েছিলাম এমন একটি অধ্যায়ে। পরক্ষণেই বুঝতে পারি এই ইতিহাস মানুষের সুখ-দুঃখের, যুদ্ধের ও শান্তির গতানুগতিক উপাখ্যান নয়। এখানে যতদূর চোখ যায় সামনে নিঃসীম অন্ধকার। মাঝে মাঝে আলোর ঝলক। তাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে দু’পাশে গলিত শব আর কঙ্কালের পাহাড়। বাতাসে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে মানুষের আর্তনাদ। কানে আসে শেকলের ঝংকার, চাবুকের সপাং সপাং, নারী আর শিশুর বিরামহীন কান্না।

বাবুরাম সাপুরে pdf – সুকুমার রায় Baburam Sapure pdf – Sukumar Roy

সেই অসহ্য হৃদয় বিদারক এবং শ্বাসরোধকারী পরিবেশ থেকে আমি পালাতে চেয়েছিলাম। আমার মনে একদিকে ভয়, অন্যদিকে অব্যক্ত বেদনা। ক্ষোভে, ক্রোধে, লজ্জায় আমি উন্মাদের মতো সামনের দিকে ছুটতে আরম্ভ করেছিলাম। কিন্তু অন্তহীন যেন সেই অন্ধকার সুড়ঙ্গ। সেদিন পালাতে গিয়ে ছুটতে ছুটতে মাঝে মাঝে পেছনে ফিরে যা দেখেছিলাম, যা শুনেছিলাম কালা হরফে এখানে ধরা রইল তারই বিবরণ, পলাতকের জবানবন্দি। —হু আই ইজ, হাউ ওল্ড আই ইজ, অ্যান্ড হোয়ার আই ইজ বর্ন আই ডু নট নো!

Kritodas pdf ক্রীতদাস pdf সম্পর্কেঃ

তুমিই সেই অন্ধ গর্ব, তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। তোমার ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর, সবচেয়ে কালিমাময় অধ্যায় হিসেবে—তোমার বৈপরীত্য হিসেবে তুমিই আমাকে নির্মাণ করেছ। আমার নাম দিয়েছ ক্রীতদাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তোমার অন্ধকার আমাকে ভোলাতে পারেনি। আমি বিস্মৃত হইনি ক্রীতদাস আমার মৌল পরিচয় নয়। আমি মানুষ। আমি আর আমার আরও হাজার হাজার মুখ—আমরা মানুষ। এই গ্রন্থ ধরে রেখেছে তোমাকে, আমাকে, আমাদের যন্ত্রণা ও কান্নার ইতিহাসকে। তথ্য, যুক্তি ও বিশ্লেষণ সমৃদ্ধ এ গ্রন্থ পড়ে, তুমি, হে সভ্যতা আরও একবার গভীর লজ্জিত হও।

Kritodas pdf ক্রীতদাস pdf নমুনাঃ

আমরা আফ্রিকার উপকূলের মানুষেরা সেদিন আদিম অরণ্যের মতোই সুখী অস্তিত্ব। সেই সুখের জগতে প্রথম চিন্তা-বিন্দু একটি পাল খাটান জাহাজ, ‘রেইন-বো’। রামধনুকের মতোই সুন্দর জাহাজ। ক্যাপ্টেনের নাম স্মিথ। ঠিকানা – বোস্টন। মাড়িরা থেকে ফেরার পথে কী মনে করে তিনি গিনিতে এসে থমকে দাঁড়ালেন। বন্দরে তখন আরও জাহাজ আছে। কেন-না, আফ্রিকা আর অজ্ঞাত পৃথিবী নয়, শ্বেতাঙ্গরা বহুদিন এখানে আনাগোনা করছে। তা ছাড়া এখানকার বলিষ্ঠ মানুষগুলোর ওপর সভ্যতার নজর পড়েছে। সুদূর ১৪৪৪ সন থেকে আধুনিক দুনিয়া গোলামের সন্ধানে এখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রথম জাহাজখানা পাঠিয়েছিলেন পর্তুগালের উদ্যোগী সম্রাট, প্রিন্স হেনরি, দি নেভিগেটার! তারপর কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার এবং আফ্রিকায় নতুন করে ইউরোপের অভিযান।

১৪৯৪ সনে কলম্বাস পাঁচশো রেডইন্ডিয়ানকে দাস করে উপহার পাঠিয়েছিলেন তাঁর রানিকে। বলেছিলেন—এগুলোর বদলে আমার দেশের মানুষ যদি এখানে শয়র মোষ পাঠায় তবে উপনিবেশকারীরা উপকৃত হবে। ইসাবেলা কোমল হৃদয়া ছিলেন। তিনি সায় দিতে পারেননি। ক্যারেবিয়ানরা আবার ফেরত গিয়েছিল তাদের মাতৃভূমিতে। তখন মুশকিল আসান হয়ে আসরে আবির্ভূত হলেন চিয়াপার মাননীয় বিশপ। তিনি বললেন – রেডইন্ডিয়ানদের বাঁচাতে হলে একমাত্র সৎ উপায় আফ্রিকা থেকে কৃষ্ণাঙ্গ দাস সরবরাহ। শুরু হল পশ্চিমের দাস অভিযান। ১৭০০ সনে এই গিনিতে বসেই স্পেন আর পর্তুগাল কোম্পানি খুলেছে। আমেরিকা এবং ক্যারেবিয়ানের দাস সরবরাহ করবে। ইংরেজরাও এলিজাবেথকে প্রণাম করে পাতে তারা বছরে দশ হাজার টন
জন হকিন্স পথ দেখিয়েছিলেন।

তিনি জলে ভেসেছিলেন। সে ১৫৬২ সনের কথা। তার জাহাজের নাম ছিল ‘জেসাস’। যিশু সেই থেকে আরও বিশেষভাবে আফ্রিকায় চেনা নাম। হকিন্স যথাসময়ে তাঁর সাফল্যের বার্তা নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। শুনে এলিজাবেথের মতো কঠিনহৃদয়া রানিও নাকি রুমালে চোখ ঢেকেছিলেন। তিনি বলে উঠেছিলেন—ইট উড বি ডিটেস্টেবল। তা হলেও হকিন্সকে সার করতে হয়েছিল তাঁকে। কারণ, ইংল্যান্ডের রানির পক্ষে অদেখা নারীদের শোকের কান্নার চেয়ে, সামনের পুঞ্জীভূত পাউন্ডের পাহাড়টিই অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ! রাজা দ্বিতীয় চার্লস আরও এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন – এ ব্যবসা রাজত্বের পক্ষে সমৃদ্ধিসূচক। সুতরাং, হে সাহসী নাবিকদল, জাহাজ ভাসাও!

নানা দেশের জাহাজ তখন আফ্রিকার উপকূলে। কিন্তু কোথায় দাস? সর্দারদের তহবিলে যা ছিল বহুদিন তা শেষ হয়ে গেছে। হওয়ারই কথা। কেন-না, ১৬৮০ থেকে ১৭০০ সন অবধি কুড়ি বছরে একমাত্র ইংরেজরাই কেড়ে নিয়ে গেছে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার মানুষকে। তা ছাড়া খুচরো ব্যবসায়ীরাও আছে। এ সময়ে তারাও পেয়েছে কম করে এক লক্ষ ষাট হাজার। ক্যাপ্টেন স্মিথ-এর ‘রেইনবো’ সে আমলেরই অভিযাত্রী। সুতরাং ভাগ্য তার তত প্রসন্ন না হওয়াই স্বাভাবিক।

Kritodas pdf ক্রীতদাস pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply