চিত্রা দেব এর Thakur Barir Bahir Mohol pdf ঠাকুরবাড়ির বাহিরমহল pdf ডাউনলোড করুন ও Thakur Barir Bahir Mohol pdf পড়ুন।
Thakur Barir Bahir Mohol pdf ঠাকুরবাড়ির বাহিরমহল pdf সম্পর্কে কথাঃ
বহু প্রশংসিত ‘ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল’-এর পর স্বনামধন্যা গবেষিকা চিত্রা দেব-এর নতুন গ্রন্থ ‘ঠাকুরবাড়ির বাহিরমহল’-এ ঠাকুরবাবুদের বিচিত্র জীবনের রেখাচিত্র। নবজাগরণের আলোয় সবচেয়ে বেশি। উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিলেন ঠাকুরবাড়ির সদস্যেরা। জোড়াসাঁকোর দু’টি বাড়ি ছাড়াও আরও কয়েকটি ঠাকুরবাড়ি ছিল পাথুরিয়াঘাটা ও অন্যত্র। আদিতে একই পরিবারের
সদস্য ছিলেন এঁরা। বিপুল পরিশ্রমে চিত্রা দেব সংগ্রহ করেছেন ঠাকুরবাবুদের সম্পর্কে তথ্য। এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় দুর্লভ ইতিহাসের উপাদান।
Thakur Barir Bahir Mohol pdf ঠাকুরবাড়ির বাহিরমহল pdf রিভিউঃ
“নিশ শতকের নবজাগরণের আলোয় সবচেয়ে বেশি উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিলেন। ঠাকুরবাড়ির সদস্যেরা। গ্রাম থেকে মহানগর হয়ে ওঠা কলকাতার সঙ্গেও গভীরভাবে জড়িয়ে রয়েছে ঠাকুর পরিবার। জোড়াসাঁকোর দু’টি বাড়ি ছাড়াও আরও কয়েকটি ঠাকুরবাড়ি ছিল পাথুরিয়াঘাটা ও অন্যত্র। আদিতে একই পরিবারের সদস্য ছিলেন এঁরা। চিত্রা দেব-এর ‘ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল’ একটি বহু আলোচিত গ্রন্থ। স্বনামধন্যা এই গবেষিকার নতুন গ্রন্থ ‘ঠাকুরবাড়ির বাহিরমহল’-এ ঠাকুরবাবুদের বিচিত্র জীবনের রেখাচিত্র। নিতান্ত দরিদ্র অবস্থায় ঠাকুরবাড়ির পূর্বপুরুষ পঞ্চানন ও তাঁর কাকা গুরুদেব ভাগ্যান্বেষণে এসে পৌঁছেছিলেন ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী এক গ্রামে। নতুন জায়গায় পুরনো মৌলিক পরিচয় গেল হারিয়ে।
মিতিনমাসি সমগ্র অখণ্ড pdf – সুচিত্রা ভট্টাচার্য Mitinmasi Samagra all pdf – Suchitra Bhattacharya
একটি নতুন পদবি পেলেন তাঁরা, ঠাকুর। পঞ্চানন শুকদেবের উত্তরপুরুষেরা একদিন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হলেন। সম্মিলিত জীবনযাত্রা থেকে ছড়িয়ে পড়লেন একাধিক পারিবারিক বৃত্তে। ঠাকুরবাড়ির পুরুষদের প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের যোগ যেমন ছিল, তেমনই ছিল দূরত্ব। কেউ হিন্দু, কেউ ব্রাহ্ম, কেউ খ্রিস্টান। বিপুল পরিশ্রমে চিত্রা দেব সংগ্রহ করেছেন ঠাকুরবাবুদের সম্পর্কে তথ্য। গবেষণাধর্মী, কৌতূহলপ্রদ এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় দুর্লভ ইতিহাসের উপাদান।
Thakur Barir Bahir Mohol pdf ভূমিকা
বাংলার নবযুগের বিকাশ হয়েছিল ঠাকুরবাড়িতে অর্থাৎ উনিশ শতকের নবজাগরণের আলোয় সবচেয়ে বেশি উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিলেন এই পরিবারটির সদস্যেরা। একই সঙ্গে গ্রাম থেকে মহানগর হয়ে ওঠা কলকাতার সঙ্গেও অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা। ‘ঠাকুরবাড়ির বাহিরমহল’-এ সংক্ষেপে ঠাকুরবাবুদের কথাই বলতে চেষ্টা করেছি। অবশ্য ‘ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহল’-এর সঙ্গে নামের সাদৃশ্য থাকলেও দুটি বইয়ের চরিত্র নারী ও পুরুষের মতো স্বতন্ত্র। কৃতী পুরুষ হিসাবে ঠাকুরবাবুরা সুপরিচিত, কেউ বা বহু আলোচিত। অনেকের কথা সাল-তারিখ সমেত সংবাদপত্রে ছাপা হয়েছে। লেখা হয়েছে গ্রন্থ-প্রবন্ধ- স্মৃতিকথা-গবেষণাপত্র। নানা ধরনের খবর পাওয়া কথা জানার বা জানাবার আগ্রহ শেষ হয় না।
ওয়া মুখে নেট সার্চ করলে। তবু যেন তাদের অবশ্য আমাদের অধিকাংশ কৌতূহল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে এবং হবে। সেটাই স্বাভাবিক কেন না সেখানে রয়েছেন একাধিক প্রতিভাবান ব্যক্তির সঙ্গে মধ্যাহ্ন সূর্যের মতো দীপ্তিমান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জোড়াসাঁকোর দুটি বাড়ি ছাড়াও আরও কয়েকটি ঠাকুরবাড়ি ছিল পাথুরিয়াঘাটা ও অন্যত্র। আদিতে একই পরিবারের সদস্য ছিলেন এঁরা। স্বনামধন্য এবং প্রতিনিধিস্থানীয় ব্যক্তি সেখানেও কম ছিলেন না। রাজা রামমোহন রায় সতীদাহর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে প্রধান সহায়ক হিসাবে পেয়েছিলেন দুই জ্ঞাতিভ্রাতা দ্বারকানাথ ঠাকুর ও প্রসন্নকুমার ঠাকুরকে। স্বদেশে-বিদেশে ঠাকুর পরিবারের নাম-যশ যেমন একদিনে ছড়িয়ে পড়েনি, তেমনই একজনের জন্যেও ছড়ায়নি। বিদ্যায় বিতে ঠাকুর পরিবারের উত্থান বিস্ময়কর।
এঁদের অনেকের কথা যেমন সহজে জানা যায়, অনেকের কথা ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে, কেন এমন হয়, জানি না। আমি ঠাকুরবাবুদের জীবনের রেখাচিত্র আঁকার চেষ্টা করেছি মাত্র। সেকালে ধনী-মানী ব্যক্তিদের বাবু বলা হত। শুরুর সেদিন অর্থাৎ গ্রাম ছাড়ার পূর্বে পঞ্চানন এবং তাঁর কাকা শুকদেব, কেউ বাবু ছিলেন না। কৌলীন্য হারিয়ে সমাজে প্রায় একঘরে হয়ে বাস করার পর, নিতান্ত দরিদ্র অবস্থায় তাঁরা বারোপাড়া গ্রাম ছাড়েন। ভাগ্যান্বেষণে একদিন এসে পৌঁছোলেন ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী একটি গ্রামে। বন্দ্যোপাধ্যায় বা কুশারী যাই হোক না কেন, তাঁদের কৌলিক পরিচয় গেল হারিয়ে। একটি নতুন পদবি পেলেন তাঁরা, ঠাকুর। নির্মীয়মাণ নতুন শহরটির খেটে খাওয়া মানুষেরা সাদরে সম্ভ্রমে এই নামেই তাঁদের বরণ করে নিলেন। তাঁরাও মিশে গেলেন তাঁদের সঙ্গে।
ক্রমে বিদেশি উচ্চারণে ঠাকুর হল উত্তরপুরুষেরা যেদিন সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত হলেন সেদিন আর পুরনো পদবির প্রতি তাঁদের কোনও আগ্রহ দেখা গেল না। শুরু হল ঠাকুর পরিবারের সম্মিলিত জীবনযাত্রা। পরে তাঁরা আরও বড় হয়ে ছড়িয়ে পড়লেন একাধিক পারিবারিক বৃত্তে, স্বাভাবিক নিয়মে। মনের মিল, মতের অমিল দুই-ই ছিল। যোগ ছিল পিরালি হিসাবে। এঁদের বাসস্থান হিসাবে পাথুরিয়াঘাটা ও মেছুয়াবাজারের খানিকটা অংশ যা পরে জোড়াসাঁকো নামে বিশেষ পরিচিতি লাভ করে। ওঁরা সকলেই পঞ্চাননের, আরও স্পষ্ট করে বলা যায় জয়রামের পরিবার। পঞ্চাননের অপর পুত্র সন্তোষরামের পরিবার ফিরে গিয়েছিলেন নিজেদের পুরনো গ্রামে। শুকদেবের পুত্র কৃষ্ণচন্দ্র বেছে নিয়েছিলেন চোরবাগানকে। সাধারণত ঠাকুরবাবু বলতে আমরা জয়রামের উত্তরপুরুষদেরই জানি। যদিও সকলের সঙ্গেই সকলের যোগ ছিল।
ঠাকুরবাড়ির পুরুষদের প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের যোগ যেমন ছিল, তেমনই ছিল দুরত্ব। এঁদের কেউ হিন্দু, কেউ ব্রাহ্ম, কেউ খ্রিস্টান। এখানে তাঁদের সাজানো হয়েছে বয়স অনুযায়ী, এক এক পরিবার হিসাবে নয়। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যথাসম্ভব পরিহার করেছি। অনেক সময় আমরা ভাবি জোড়াসাঁকো ও পাথুরিয়াঘাটার উভয় ঠাকুর পরিবারের তীব্র বিরোধ ছিল এবং মনে রাখি নীলমণি ঠাকুর ও দর্পনারায়ণ ঠাকুরের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ ও বিচ্ছেদকে। বিবাদ নিশ্চয় ছিল কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়। আমাদের মনে পড়ে না পাথুরিয়াঘাটার গোপীমোহন ঠাকুর রাজা রামমোহন রায়ের সঙ্গে জোড়াসাঁকোর দ্বারকানাথ ঠাকুরের পরিচয় করিয়েছিলেন, যার ফল হয়েছিল সুদূরপ্রসারী। আমরা ভুলে যাই, দ্বারকানাথের ট্রাস্টডিডে যে তিনজন অছি নিযুক্ত হন, তাঁদের একজন প্রসন্নকুমার ঠাকুর, দেবেন্দ্রনাথের ঋণশোধের সুব্যবস্থা করে তিনিই তাঁকে চিন্তামুক্ত করেন।
সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিদেশে বড় সহায় ছিলেন জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর, ধর্মান্তরিত হওয়ায় পিতা প্রসন্নকুমার জীবদ্দশায় তাঁর মুখদর্শন করেননি। আমাদের মনে পড়ে না রবীন্দ্রনাথ যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরকে দিয়েছিলেন গোষ্ঠীপতির সম্মান। ভুলে যাই, ‘বাল্মীকি প্রতিভা’র প্রথম অভিনয় দর্শকাসনে বসে নিবিষ্ট চিত্তে দেখেছিলেন শৌরীন্দ্রমোহন ঠাকুর।
Thakur Barir Bahir Mohol pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.