শামসুদ্দীন নওয়াব এর Tin Goyenda Vol 142 pdf তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১৪২ pdf ডাউনলোড করুন ও Tin Goyenda Vol 142 pdf পড়ুন।
Tin Goyenda Vol 142 pdf তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১৪২ pdf সূচিঃ
রেডিয়ো স্টেশন
কিশোর দ্য গ্রেট
হাঙুরে পিশাচ!
Tin Goyenda Vol 142 pdf রিভিউঃ
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা-
আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম : তিন গোয়েন্দা। আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অপরজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নিচে পুরনো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এবার- এসো না, চলে এসো আমাদের দলে!
Tin Goyenda Vol 142 pdf
যাক, আজ শুক্রবার, সামনের দু’দিন পুরো ছুটি— বিছানায় শুয়ে ডিটেকটিভ বই পড়তে পড়তে আনমনে ভাবল কিশোর পাশা। কিছু দিন আগে গ্রিন হিল্স ছেড়ে রকি বিচে এসে ওঁদের পুরনো কাঠের বাড়িতে উঠেছেন রাশেদ চাচা ও মেরি চাচী। নতুন করে চালু করেছেন পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ড। প্রায় একই সময়ে রকি বিচে চলে এসেছেন মুসা ও রবিনের বাবা-মা। তাই বন্ধুত্বের মাঝে কোনও বিরতি তৈরি হয়নি কিশোর, মুসা ও রবিনের। বাইরে ঘনিয়ে এসেছে সন্ধ্যা। একটু পর নামবে ঘুটঘুটে আঁধার। কাস্টমারের হৈ-চৈ নেই পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে। কিন্তু হঠাৎ নিচতলায় উঁচু কণ্ঠের কথা শুনল কিশোর। চট্ করে বুঝল, কী চলছে!
বইটা রেখে বিছানা ছেড়ে গিয়ে খুলল ঘরের দরজা, তিন লাফে নেমে এল সিঁড়ির মাঝে। তখনই লিভিংরুম থেকে ঝড়ের বেগে বেরোলেন মেরি চাচী। কড়া গলায় বললেন, ‘ধ্যাত্তারিকা! সত্যিই দেরি হবে! …আর হবে না কেন? আধঘণ্টাও নেই শো-র, এখন তাঁর সময় হয়েছে টাই বাঁধার!’
চাচীর পেছন পেছন এসেছেন রাশেদ চাচা, চেষ্টা করছেন টাই গলায় বেঁধে নেয়ার জন্যে। নিচু স্বরে বললেন, ‘খালি এই টাই
ম্যানেজ করতে পারলে এতক্ষণে আমরা থাকতাম গাড়িতে।”
সিঁড়ির ওপর থেকে হাসল কিশোর। প্রতি দু’মাসে একবার চাচাকে থিয়েটারে দাবড়ে নিয়ে যান চাচী। প্রতিবার যাওয়ার সময় চলে এই একই ঝগড়া। তাতে আপত্তি নেই কিশোরের। ও খুশি, এই সময়টায় পুরো ফাঁকা পাবে বাড়ি।
তিন গোয়েন্দা পিডিএফ বই | Tin Goyenda all Best pdf (1-150)
‘গাড়ির চাবিটা নিয়েছ?’ জানতে চাইলেন মেরি চাচী। ‘নেয়ারই তো কথা,’ আপত্তির সুরে বললেন চাচা। “নিয়েছ কি নাওনি?’
“ই। তুমি দেখো, থিয়েটারের টিকেট নিয়েছ কি না।
তো বের করো দেখি গাড়ির চাবি?’ হাত সামনে বাড়ালেন চাচা।
‘আছে কোথাও,’ বললেন রাশেদ চাচা। ‘তোমার কাছেই তো দিয়েছিলাম!”
মেরি চাচী বিরক্ত হয়ে গেছেন দেখে মুচকি হেসে নাক গলাল কিশোর। ‘চাবি আর টিকেট সবসময় থাকে চাচার হ্যাটে।’
জরুরি টুকটাক সব জিনিস চাচার হ্যাটে রাখেন মেরি চাচী, কিন্তু তাড়াহুড়োর সময় ভুলে যান তাঁরা ওই হ্যাটের কথা।
‘তা হলে দেখো, ভুলল কে?’ একগাল হাসলেন চাচা।
অদৃশ্য জলদস্যু pdf – অনিল ভৌমিক Adrisya Jaladasyu pdf – Anil Bhowmick
‘আর একটা কথাও না, রাশেদ, হুমকি দিলেন চাচী। হ্যাট থেকে নিয়ে পার্সে রেখে দিলেন থিয়েটারের টিকেট ও গাড়ির চাবি। এবার দেখলেন কিশোরকে। ‘সাড়ে ন’টার আগে বিছানায় না গেলে খবর আছে তোর, বুঝলি?
“আমি কি ঠিক সময়ে বিছানায় না গিয়ে পারি, চাচী?’ নিরীহ কণ্ঠে বলল কিশোর। নেমে এসেছে নিচতলায়।
হাসিমুখে ওকে দেখলেন রাশেদ পাশা। ভাতিজার ভেতর দেখতে পান নিজের হারিয়ে যাওয়া শৈশব, তাই সাত খুন মাফ ওর।
‘দুষ্টুমি করবি না কিন্তু, সামনে বেড়ে কিশোরের কপালে চপাস্ করে ভেজা একটা চুমু দিলেন চাচী। খাবার সব ক্রিয়ে থাকল।
গরম করে খেয়ে নিবি।’
চাচাকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি।
দরজা বন্ধ হতেই মস্ত একটা দম ছাড়ল কিশোর, চলে গেল কিচেনে। ফ্রিয় হাতড়াতেই পেল চাচীর লুকিয়ে রাখা কোকের ক্যান। জানালা দিয়ে এল কর্কশ আওয়াজ। এইমাত্র চালু হয়েছে চাচার পুরনো ভ্যান। খড়মড় আওয়াজ তুলে চলল ওটা নুড়িপাথর ছাওয়া সরু পথে।
চাচী যে কেন দুনিয়া ভরা বাস্তব নাটক বাদ দিয়ে থিয়েটারে গিয়ে নকল নাটক দেখেন, এটা ভেবে মাথা দোলাল কিশোর। সিঁড়ি ভেঙে উঠে এল নিজের রুমে।
ঘড়িতে বাজতে চলেছে প্রায় আটটা। আরাম করে চেয়ারে বসল ও। কোলের ওপর চিপসের প্যাকেট। ডানহাতে কোকের খোলা ক্যান। বামহাতে চালু করে দিল রেডিয়ো ধরেছে বিশেষ একটা স্টেশন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.