রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৪ pdf বুদ্ধির খেলা + অরণ্যের প্রতিশোধ + ভুতুড়ে বিমান Tin Goyenda Volume 114 pdf Bhddhir Khela, Oronner Protishodh, Bhuture Biman pdf ডাউনলোড করুন।
Tin Goyenda Volume 114 pdf তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৪ pdf কাহিনিঃ
বুদ্ধির খেলা: শামসুদ্দীন নওয়াব
সাধারণ একটা কুকুর চুরির ঘটনা। কিন্তু সাধারণ থাকল না। কারণ, ওটা কোটিপতি হার্বার্ট রকফেলারের প্রিয় কুকুর। তার উপর তিন গোয়েন্দার কাছ থেকে রাফিয়ানকেও ছিনিয়ে নিয়ে গেল কুকুর-চোর। সূত্র ধরে ধরে এগিয়ে যাচ্ছে ওরা। এমনি সময়ে ওদেরকে হুমকি দিল কুকুর-চোর: হয় তদন্ত বন্ধ করো, নয়তো লাশ পাবে রাফিয়ানের । এখন? কী করবে ওরা?
অরণ্যের প্রতিশোধ: শামসুদ্দীন নওয়াব
সামনে হ্যালোউইন । কিশোরের নতুন কস্টিউম দেখে চমকে যাচ্ছে সবাই। কিন্তু কেউ বুঝতে চাইছে না এটা নকল নয়, আসল। ওদিকে ওর সারা শরীর ক্রমেই গাছ হয়ে যাচ্ছে। এখন?
ভুতুড়ে বিমান: শামসুদ্দীন নওয়াব
অস্ট্রেলিয়া থেকে বদলি ছাত্র হিসেবে এসেছে মার্ক। কিশোরদের বাসায় উঠেছে। ও আসার পর থেকেই ঘটতে শুরু করল অদ্ভুত সব ঘটনা। কিশোরের উপর নেমে আসছে একের পর এক বিপদ। আসলে কে এই মার্ক? ওর হাত থেকে কীভাবে নিস্তার পাবে কিশোর?
Tin Goyenda Volume 114 pdf সম্পর্কে
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা-আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম : তিন গোয়েন্দা ৷ আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অপরজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নীচে পুরনো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এবার- এসো না, চলে এসো আমাদের দলে!
Tin Goyenda Volume 114 pdf নমুনাঃ
সকাল। পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ড। ইয়ার্ডের মূল অফিসের ছাদে রঙিন টালি। ওখানে মেরি চাচীর কাঁচঘেরা চেম্বার, ছাপার মেশিনের ওপাশে জঞ্জালের স্তূপ উঁচু হয়ে থাকায় ওঅর্কশপ থেকে দেখা যায় না। তবে এখন ওয়র্কশপে নেই তিন গোয়েন্দা, আছে বাতিল মালের নীচে চাপা পড়া ওদের হেডকোয়ার্টার, মোবাইল হোমে।
আধ-পোড়া ডেস্কে বসে জটিল একটা জ্যামিতি নিয়ে মগ্ন কিশোর, মুসা ব্যস্ত মটর সাইকেলের একটা নষ্ট কারবুরেটর মেরামত করতে, আর রবিন ভ্রূ কুঁচকে উচ্চারণ করে করে পড়ছে একটা বাংলা বই।
ক্রিং ক্রিং করে বেজে উঠল ফোন।
বইটা নামিয়ে রেখে সবাই যাতে ওর কথা শুনতে পায় সেজন্য স্পিকারের সুইচটা অন করে রিসিভার তুলল রবিন। বইয়ের এই এক সুবিধে, যখন ইচ্ছে রেখে দিয়ে কাজ সেরে আসা যায়। নাটক-সিনেমার মতো নয় যে, গেলাম তো কাহিনী এগিয়ে যাবে, ফিরে এসে আর ভাল রাখা মুশকিল।
‘হ্যালো? তিন গোয়েন্দার হেডকোয়ার্টার এটা।’
‘হ্যালো, কে? ওদিক থেকে প্রশ্ন করা হলো।
কোঁচকানো ভ্রূ আরও কুঁচকে গেল রবিনের। বাড়ির কলিং বেল টিপে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়া যদি শয়তানি হয়, তা হলে ফোন করে নিজের পরিচয় না দিয়ে কে ধরল সেটা জানতে চাওয়া বিশ্রী একটা অভদ্রতা।
‘আপনি কে তা বলুন ।’
‘আমি শ্যারন,’ অস্থির শোনাল গলাটা। ‘কে, রবিন?
শ্যারন মেয়েটা ওদেরই সমবয়সী। এই কিছুদিন আগে ওদের স্কুলে একই ক্লাসে ভর্তি হয়েছে। হাসিখুশি সহজসরল আর কৌতুকপ্রিয়। সহজেই তিন গোয়েন্দার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে ওর। এমনকী জিনার সঙ্গেও খাতির হয়ে গেছে শ্যারনের। এতোটাই যে, দু’দিন আগে বাবা- মার সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকায় বেড়াতে যাওয়ার সময় জিনা ওর হেফাজতেই রাফিয়ানকে রেখে গেছে। বিনা পয়সায় ডগ হাউসে রাফিয়ানকে রেখেছে শ্যারন।
‘হ্যাঁ, আমি রবিন। কী ব্যাপার, শ্যারন, তোমার গলা শুনে মনে হচ্ছে খারাপ কিছু হয়েছে।
খানিক নীরবতা, তারপর ফুঁপিয়ে উঠল শ্যারন। ‘আমি ফেঁসে গেছি, রবিন। তোমাদের সাহায্য খুব দরকার। পুলিশ আমাকে জেরা করছে। ভাব দেখে মনে হচ্ছে না জানি কতো বড় অপরাধ করেছি আমি।’ কথার ফাঁকে ফাঁকে ফোঁপাচ্ছে শ্যারন। ‘তোমরা তো গোয়েন্দা, তোমরা হয়তো পুলিশকে বোঝাতে পারবে আসলে আমার কোনও দোষ নেই।’
বন্ধুদের দিকে তাকাল রবিন। ‘কী হয়েছে, শ্যারন? কোথায় তুমি?” ইতিমধ্যে জ্যামিতির খাতা নামিয়ে রেখে সোজা হয়ে বসেছে কিশোর। মুসার হাতে এখনও কারবুরেটর ধরা, মুখটা একটু হাঁ হয়ে আছে। দু’জনেরই মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে রবিন আর শ্যারনের ফোনালাপ।
‘কাজের জায়গায়।’ গলা কাঁপছে শ্যারনের। ‘পেট মোটেলে। কোটিপতি হার্বার্ট রকফেলারের শখের কুকুরটা চুরি হয়ে গেছে। আমার বস্ খেপে আছেন আমার ওপর। আমার ডিউটির সময়েই চুরিটা হয়েছে বলে ধারণা করছে সবাই। বস্ আভাস ইঙ্গিতে বলতে চাইছেন, আমি এই কুকুর-চুরির সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে জড়িত।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.