উদ্ভব লিঙ্গ pdf – সৌরভ চক্রবর্তী Udbhab linga pdf – Sourav Chakraborty

উদ্ভব লিঙ্গ pdf - সৌরভ চক্রবর্তী Udbhab linga pdf - Sourav Chakraborty
উদ্ভব লিঙ্গ pdf - সৌরভ চক্রবর্তী Udbhab linga pdf - Sourav Chakraborty

সৌরভ চক্রবর্তীর প্যারাসাইকোলজিকাল উপন্যাস Udbhab linga pdf উদ্ভব লিঙ্গ pdf ডাউনলোড করুন ও Udbhab linga pdf পড়ুন।

উদ্ভব লিঙ্গ pdf - সৌরভ চক্রবর্তী Udbhab linga pdf - Sourav Chakraborty
উদ্ভব লিঙ্গ pdf – সৌরভ চক্রবর্তী Udbhab linga pdf – Sourav Chakraborty

Udbhab linga pdf উদ্ভব লিঙ্গ pdf  ভূমিকাঃ

ভাবছি শুরুতেই আপনাদের বলি, কাহিনিটাকে কাল্পনিক ভেবেই পড়ুন। হ্যাঁ, কাহিনিটা কাল্পনিক ভাবলে অসুবিধে নেই এই কারণে যে আমি ইচ্ছে করেই বেশ কিছু স্থানের নাম এই কাহিনিতে প্রকাশ করিনি। আর দ্বিতীয়ত উদ্ভব লিঙ্গ তীর্থ ক্ষেত্র যে কারণে প্রসিদ্ধ বলে এই কাহিনিতে লিখেছি সেখানে। আদৌ সেই ব্যপারটা হয় না। আর এই বিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকেও যেখানে সত্যি সত্যি কাহিনিতে বর্ণিত ঘটনাগুলো ঘটে, সেই স্থানগুলোর নাম ইচ্ছে করেই উল্লেখ করিনি।

মৃত কৈটভ pdf । সৌরভ চক্রবর্তী Mrita Kaitav pdf – Sourav Chakraborty

না, অনেক হেঁয়ালি হল। এবার এই কাহিনিটি শুরুর আগে কাহিনিটির বীজকে বরং জাগ্রত করি। তাতে পাঠক কাহিনি সম্পর্কে অনেক বেশি সুচারুভাবে আগ্রহী হবেন। এই কাহিনিটি শেষ করতে আমার তিন বছর সময় লেগেছে। এরকম নয়। যে প্রতিদিন লিখেছি। কিন্তু এই তিন বছরের প্রতিদিন কখনো না কখনো আমি কাহিনিটি সম্পর্কে ভেবেছি। অন্ততবারকয়েক এই কাহিনির ক্লাইম্যাক্স পরিবর্তন করেছি। এতটা সময় একটা কাহিনিকে দিলে সে কাহিনি কিছুটা ভালো হয়। বটে, কিন্তু আমি এখনো জানি না কাহিনিটা ঠিক কীরকম দাঁড়িয়েছে। হয়তো পাঠকের মতামত আমাকে এই বিষয়ে জানতে সাহায্য করবে আগামি দিনে।

এবার আসি একটা প্রশ্নে, যে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে আমার এই কাহিনিটি মাথায় এসেছিল। পাঠকমহল বিগত কিছু বছরে আমাকে দাগিয়ে দিয়েছে এই বলে যে আমি ভয়ের গল্প লিখি। না এই দাগানোটা মিথ্যে নয়, “চন্দ্রহাস’ লেখার পর যখন পরপর আরও কিছু ভয়ের গল্প বা থ্রিলার আমার প্রকাশিত হল, সবাই ততদিনে জেনে গেছে যে আমি ভয়ের কাহিনি লিখি। খুব ভালো কথা। কিন্তু, আমি ব্যক্তিগতভাবে ভয়ের গল্পের যে ভয়াবহ অনুভূতি থাকে তা থেকে বারবার বঞ্চিত হচ্ছিলাম। হ্যাঁ শ্রদ্ধের পাঠক, আমার নিজের লেখা গল্পগুলোও আমার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত ছোটাতে পারেনি। অথচ আমার পাঠকেরা সে জায়গায় অত্যন্ত সন্তুষ্ট। মূলত নিজেকে ভয় দেখানোর জন্য প্রথম লিখতে শুরু করেছিলাম এই ‘উদ্ভব লিঙ্গ’।

শারদীয়া জাদু পিদিম ১৪৩০ (২০২৩) পিডিএফ Sharadiya Jadu Pidim 1430 (2023) pdf

প্রথম খসড়ায় এই কাহিনির নাম ছিল ‘মৃতগ্রাম’। পরবর্তীতে কাহিনি ধীরে ধীরে অন্য খাতে বইতে থাকে এবং যেহেতু আমি তিন বছর সময় পেয়েছিলাম তাই এই তিন বছরে মূল কাহিনির খোল নলচে অনেকটাই বদলে দিতে পেরেছি। তবে নিজেকে যে ভয়ের গল্পের সন্ধান দিতে গিয়ে এই কাহিনি লেখা শুরু করেছিলাম সেই শিরশিরে অনুভূতিতে ভরপুর এই কাহিনির প্রথমাংশ আমি এখনো অপরিবর্তিত রেখে দিয়েছি। Udbhab linga pdf পড়ুন।

একটি মর্গে যারা মৃতদেহের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করেন, যারা মৃতদেহকে কাটাছেড়া করেন কিংবা যারা মৃতদেহকে নিয়ে রাত্রিযাপন করেন একমাত্র তারাই জানেন যে সেই শিরশিরে ভয়ের অনুভূতিটা কীরকম। বহু স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলে দেখেছি বহু-বছরের নিয়মিত অভ্যাসের ফলে প্রায় সবারই সেই ভয়ের অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেছে কিন্তু প্রত্যেকেরই ঝুলিতে রয়েছে এরকম কিছু অভিজ্ঞতা যা-মনে পড়লে আজকেও কোনো শীতের রাতে কিংবা একা ঘরে তাদের হাত পা অবশ হয়ে যায়। মর্গের পাহারায় যারা থেকেছেন, তারা শুরুর দিনগুলো কীরকম দুঃস্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যায়। ফর্মালিনে ডোবানো শরীরগুলোর ঝাঁ-ঝাঁ গন্ধ নাকের রোমগুলোকে পুড়িয়ে ফেলে, কিন্তু রাতের অন্ধকারে যখন হঠাৎ মর্গের ভিতর থেকে একটা শব্দ ভেসে আসে আর ভিতরে গিয়ে দেখতে হয় সব ঠিক আছে কিনা তখন ওদের পা চলে না।

ওরা জানে ভিতরে যারা পায়ে নম্বর প্লেট ঝুলিয়ে শুয়ে আছেন তারা কখনো উঠে বসবেন না, আর ভয়ের ব্যপার ঠিক সেটাই। সেই ভয়টাকেই কাহিনির প্রথম দিকে ধরার চেষ্টা করেছিলাম।
দ্বিতীয়ত, আমি ইন্দ্রজাল বিষয়ে অথেনটিক কোনো বাংলা উপন্যাস কখনো পড়িনি। বিভিন্ন ঐন্দ্রজালিক কিংবা ইন্দ্রজাল সাধনা করেন এরকম সাধকেরা টুকরো ছোটো গল্প হয়তো আছে কিন্তু একজন ইন্দ্রজাল সাধকের উপর লেখা কোনো কাহিনি বাংলায় পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কয়েকজন সাহিত্য গবেষকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, সে অর্থে ইন্দ্রজালবিদ্যার প্রকৃত প্রয়োগের দ্বারা প্রভাবিত কোনো বাংলা কাহিনি তাঁদের পড়াশোনার বৃত্তে তারাও পড়েননি। কাজেই আমার ধারণা হয় এই বিষয়ে কোনো বাংলা উপন্যাস নেই।

তাই আমি ঠিক করি এবার এই বিষয়ে কিছু লিখবো। ইন্দ্রজালের যে সব মন্ত্র ও উপাচার এই গ্রন্থে লিখেছি তার শতকরা নব্বই শতাংশ সঠিক। অর্থাৎ প্রকৃত ইন্দ্রজাল সাধকেরা এই উপাচার ও মন্ত্রোচ্চারণেই নির্দিষ্ট বিধিগুলো সম্পন্ন করেন। কিছু ক্ষেত্রে আমার কাহিনির খাতিরে আমাকে কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে। তবে একটা কথা ভূমিকায় লিখে রাখি, দেহ খণ্ডীকরণের যে প্রয়োগ এই গ্রন্থে বর্ণিত আছে তা ইন্দ্রজালাদি প্রয়োগের অন্যতম। সেখানে কল্পনার আশ্রয় নেওয়া হয়নি। Udbhab linga pdf পড়ুন।

Ekhane Ojon Mapa Hoy pdf : Sumonto Aslam এখানে ওজন মাপা হয় pdf : সুমন্ত আসলাম

এই কাহিনিতে একইসঙ্গে ঐন্দ্রজালিক, একজন স্বাধীন শিল্পী সত্ত্বা, একজন অপরাধী এবং একজন মনস্তাত্ত্বিক আছেন। এক দেহে এক ব্যক্তিকে এত রূপ দিতে আমার কষ্ট হয়েছে বটে, কিন্তু যিনি ধারণ করেছেন তার খুব একটা কষ্ট হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। একই কাহিনিতে ভয়, কল্পবিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ইন্দ্রজাল, মনস্তত্ত্ব, তীর্থযাত্রা এবং আর্ট মিশিয়েছি বলে নানাসময়ে নানা বিষয়ের রেফারেন্স টানতে হয়েছে বা একটা ব্যাক স্টোরি বলতে হয়েছে। চেষ্টা করেছি কাহিনির গতি শ্লথ না করে যতটা সম্ভব স্বল্প পরিসরে এই তথ্যগুলো পরিবেশন করার। তারপরেও কয়েকটা জায়গায় সম্ভবত নদীর বেগকে আটকানো যায়নি। তবে সেগুলো ফেলনাও নয় বলেই কাহিনির শেষ খসড়াতেও সেগুলো রেখে দিয়েছি।

আর্বান লেজেন্ড নিয়ে আমাদের দেশীয় সাহিত্যে একটা উৎসাহ সবসময়েই লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গল্পে আমিও চেষ্টা করেছি কিছু আর্বান লেজেন্ডের উপস্থিতি রাখার। তাতে পাঠকেরা রোমাঞ্চ অনুভব করেন। তবে আমার মনে একটা প্রশ্ন জন্ম নিয়েছিল। আর্বান লেজেন্ড মানেই, কোনো বীভৎস প্রাণী কেন হবে? সবসময় আমরা ভয়ানক কিংবদন্তি হিসেবে কোনো প্রাণিকেই কল্পনা করে এসেছি। এটা আমার মনে একটা সুপ্ত বাসনার জন্ম দিয়েছিল। সেই ধারণার বশেই হোক আর কাহিনির টানেই হোক এবার এরকম কিছু করা সম্ভব হয়েছে যা এর আগে সেভাবে আমাদের দেশীয় সাহিত্যে চেষ্টা করা হয়নি। তবে যাদের মধ্যে উদ্ভব লিঙ্গ’ পড়ে আমার মতো দেশীয় কিংবদন্তী কাহিনি পড়ার তেষ্টা কিছুটা বাড়বে, তাদের জন্য পরের পর্বে প্রচুর তেষ্টা নিবারণের ব্যবস্থা করা হবে।

সাধারণত যখন লিখি তখন প্রত্যেকটা দৃশ্যকে আলাদাভাবে ভাবার চেষ্টা করি যাতে তা ইমেজারি বা চলচ্চিত্র হিসেবে পাঠকের সামনে চলে আসে। পাঠক যেন সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছেন যেখানে ঘটনা ঘটছে। এই কাহিনিতেও সেই চেষ্টা করেছি। তবে আমার মনে হয়েছিল এই কাহিনিটি অনেক বেশি অলঙ্করণের দাবি রাখে। তাই এই গ্রন্থে প্রচুর পরিমাণে অলঙ্করণের ব্যবস্থা করেছিলাম। শিল্পী কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল তার কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে এসে এই ছবিগুলো এঁকেছে। নিজেকে ভাঙতে এবং তারপর এই আঁকাগুলো আঁকতে শিল্পী প্রায় ন’মাস সময় নিয়েছিলেন। বারবার আমার সঙ্গে আলোচনা করেছেন একেকটা আঁকা নিয়ে। আশা করি, পাঠকদের এই অলঙ্করণগুলো ভালো লাগবে।

গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী অনিকেত মিত্র। ২০২২ কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় এই প্রচ্ছদ উন্মোচন হয়েছিল। গ্রন্থ প্রকাশিত হচ্ছে প্রায় এক বছর পরে। এই এক বছরে গ্রন্থের প্রচ্ছদ পাঠকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে তা আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া এবং টেলিমিডিয়ার দৌলতে জানতে পেরেছি। প্রচ্ছদ উন্মোচনের এক বছর পর গ্রন্থের প্রকাশ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এই ঘটনাও সম্ভবত বিরলতম। সাধারণত শুনেছি চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে এভাবে চলচ্চিত্রের পোস্টার প্রকাশিত হয়। Udbhab linga pdf পড়ুন।

এই গ্রন্থ লেখার সময় থেকে শুরু করে শেষ করা পর্যন্ত যে মানুষটি দীর্ঘ তিন বছর সময় ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেছিলেন তিনি বইচই পাবলিকেশনের অন্যতম কর্ণধার শ্রী অংশুমান চক্রবর্তী। অংশুমানবাবু শুরুতে ভাড়া দিলেও শেষ দিকে আমাকে আমার মতো কাজ করতে দিয়েছিলেন। আশা করি, তাতে আমি কাহিনির প্রতি আরেকটু সুবিচার করার সুযোগ আমি পেয়েছিলাম। এই কাহিনি আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নেবার কৃতিত্ব আমি তাই অংশুমানবাবুকেই দেব। সময়ে সময়ে খোঁজ নিয়েছেন প্রকাশনার অন্যতম কর্ণধার শ্রী অভীক সরকার ও শ্রীমতি সন্দীপা বসু। দীপ্তজিৎ মিশ্র ও মনীষা বসু না থাকলে এই গ্রন্থ ত্রুটিমুক্ত হত না। সংস্থার সকলের প্রতি আমার ভালোবাসা জানাই।

বাংলাদেশে বাতিঘর প্রকাশনীর কর্ণধার তথা সাহিত্যিক মহম্মদ নাজিমউদ্দীন মহাশয়কে আমার ভালোবাসা জানাই। বাংলাদেশে তিনিই আমার প্রকাশক। আশা করি, বাংলাদেশের পাঠকেরও এই গ্রন্থটি ভালো। লাগবে। একইসঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশে গ্রন্থটি প্রকাশিত হবে। Udbhab linga pdf পড়ুন।

প্রতিটা গ্রন্থ লেখার সময়েই আমার পরিবারের সাহচর্য আমি পেয়ে থাকি, পরিবারের সকলের প্রতি বিশেষত আমার সহধর্মিণী শ্রীমতি শ্যামা। ঘোষ চক্রবর্তী-র প্রতি আমার ভালোবাসা জানাই। তাঁর নিরবিচ্ছিন্ন উৎসাহের কারণেই একটার পর একটা লেখা লিখে শেষ করতে পারছি। বর্তমানে লক্ষ করি আমার পুত্র শ্রীমান বাহীন চক্রবর্তী আমার লেখার সময় খেলাধুলার আবদার করছেন না। আমার লেখা শেষ হলেই একমাত্র তিনি। তাঁর বায়নাগুলো পেশ করছেন। একজন ছোটো শিশুর পক্ষে এরকম ব্যবহার দেখে আমি বিস্মিত হই এবং আমাকে এরকম একটি পরিবারের অংশ করার জন্য সর্বশক্তিমানের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি।

পরিশেষে বলি, একটি ভিন্ন স্বাদের সম্পূর্ণ কাল্পনিক কাহিনি হিসেবেই আমি এই কাহিনিটি আপনাদের কাছে পেশ করেছি। এই কাহিনি আপনাদের আনন্দ দিলে এই আয়োজন সম্পূর্ণ হবে। Udbhab linga pdf পড়ুন।
পাঠ শুভ হোক।

Udbhab linga pdf উদ্ভব লিঙ্গ pdf download link

Download Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply