সৌরভ চক্রবর্তীর তার থেকে বিরত থাকার অভিপ্রায় লেখা Paap pdf পাপ আদি থেকে অনন্ত pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন।
Paap pdf পাপ আদি থেকে অনন্ত pdf রিভিউঃ
বইটিতে ৮টি গল্প আছে। প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী। প্রতিটা গল্পের শেষেই টুইস্ট রয়েছে। প্রথম গল্পটা ‘পাপ ও পয়স্বিনী’। পুরোই বড়দের উপযোগী। অন্ধকার এক অপরাধের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে গল্পে।
দ্বিতীয় গল্প ‘মামলার শেষে’। পুরো গল্প শেষে টুইস্টটা সত্যিই অবাক করেছে। এক উকিল মামলা লড়ে কিন্তু শেষে মনে হয় সে নিজেই পাপ করেছে।
তৃতীয় গল্প ‘খেলনাওয়ালা’। এটা ভুডু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক নিয়ে।
চতূর্থ গল্প ‘শৌখিন রাত’। সিরিয়াল কিলারের গল্প। যদিও গল্প শেষ করার পূর্বে পুলিশ কর্মকর্তাকেই অপরাধী মনে হচ্ছিল।
পঞ্চম গল্প ‘রোস্টোড চিকেন’। রোবটের ভুল শোনা ও নির্দেশনার কারণে মুরগীর পরিবর্তে মালকিনের একটি বাচ্চাকেই রোস্ট করে ফেলার কাহিনী।
ষষ্ঠ গল্প ‘আস্তিক’। কিছুটা পৌরাণিক ও রহস্য গল্প।
সপ্তম গল্প ‘লাস্যময়ী’। বিশ্বযুদ্ধে গুপ্তচর বৃত্তির পটভূমির উপর লেখা৷ এটাতেও শেষে টুইস্ট আছে।
অষ্টম গল্প ‘সুইসাইড টাওয়ার’। এটা খুব একটা ভাল লাগে নাই। সব মিলিয়ে মোটামোটি লেগেছে বইটি।
দেবী মা – ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় Devi Maa by Tridibendra Narayan Chattapadhyay
ভারতীয় উপমহাদেশের মতো ধর্ম ভীরু স্থানে কথায় কথায় পাপ-পুণ্যের হিসেব কষা হয়। হিসেবের জন্য স্বয়ং চিত্রগুপ্তকে নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু পাপ নিয়ে আলাদা করে পড়তে চাইলে বাংলা সাহিত্যে কোনো গল্প সংকলন নেই। এই চিন্তাটা আসা মাত্রই এই গ্রন্থের পরিকল্পনা।
এই গ্রন্থের প্রত্যেকটা গল্প কোনো না কোনো পাপ কার্যকে ইঙ্গিত করছে। কখনো রহস্যের আড়ালে, কখনোও রোমাঞ্চের আবডালে সেই পাপ এসে গলা জড়িয়ে ধরে। কখনোও সেই পাপ কার্য করতে মনে আনন্দের উন্মেষ ঘটে আবার কখনো সেই পাপ কার্যই হয়ে উঠে জীবনের চরমতম ভুল।
কিছু অকল্পনীয় প্লটের গল্প এই গ্রন্থে সংকলিত হলো যা হয়তো বাস্তবে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু যদি সেগুলো কোনোদিন বাস্তবে ঘটে তবে পরিস্থিতি ঠিক কতটা চরম হতে পারে তার দলিল এই কাহিনিগুলো।
পাঠককে ভিন্ন স্বাদের সঙ্গে পরিচয় করাতেই গল্পগুলো লেখা। বিনোদনের পাশাপাশি কাহিনিগুলো পাঠকদের এনে দাঁড় করাবে এক একটা চরম পরিণতির সামনে। সেখানেই পাঠক ভাবতে বসবেন যে জীবনে শত সহস্র পাপ কার্যের প্রলোভন থাকা সত্বেও কিভাবে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। সেখান থেকেই পাঠককে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সেখান থেকেই জন্ম হবে এক একটা নতুন কাহিনির Paap pdf।
ভয়ঙ্কর গভীর পাপ-সায়রে ডুব দিতে পাঠক প্রস্তুত তো!
Paap pdf সূচিপত্রঃ
১৫ পাপ ও পয়স্বিনী
৬৫ মামলার শেষে
৮১ খেলনাওয়ালা
১৭ শৌখিন রাত
১০৯ রোস্টেড চিকেন
১১৭ আস্তিক
১৩৫ লাস্যময়ী
১৪৭ সুইসাইড টাওয়ার
Paap pdf ভূমিকা
এক শীতের সন্ধেতে বসে হঠাতই এই বইটা তৈরি করার কথা মাথায় এসেছিল। সেদিন ঘাঁটছিলাম বিভিন্ন রকম গল্প-সংকলন। ভূতের গল্প-সংকলন, মার্ডার মিস্ট্রি, বিভিন্ন রকমের রহস্য গল্প-সংকলন এমনকি প্রেমের গল্প সংকলন – আমাদের বাংলায় কোনোপ্রকার গল্প- সংকলনের অভাব নেই। কিন্তু অনেক খুঁজেও সেই কুয়াশাঘন সন্ধেতে আমার সংগ্রহে কোনো পাপের গল্প সংকলন খুঁজে পাইনি। সঙ্গে সঙ্গে কলেজ স্ট্রিটে ফোন লাগাই, সেখানে আমার অনেক সুহৃদ আছেন। ওদের সঙ্গে আলোচনা করি। কিন্তু না, পাপের গল্প নিয়ে কোনো সংকলন আমাদের বাংলায় এর আগে প্রকাশিত হয়নি। তাই আমিও খুঁজে পাইনি।
আমাদের মতো ধর্মভীরু দেশে যেখানে কথায় কথায় পাপ-পুণ্যের দোহাই দেওয়া হয়, পাল্লা বাটখারায় মাপা হয় সমস্ত কাজকে, এমনকি চিত্রগুপ্তের মতো খাস লোক নিযুক্ত করা রয়েছে পাপের হিসেব রাখার জন্য, সেই দেশেই কিনা পাপের গল্পের সংকলন নেই! এদিকে বিদেশে পাপ অর্থাৎ ইংরেজিতে যাকে ‘সিন’ বলে তা নিয়ে প্রচুর লেখালিখি। ওদের চিত্রগুপ্ত নেই, কিন্তু গল্প-সংকলন আছে। এই অন্যায় আমার পক্ষে মানা সম্ভব হল না। সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করলাম যে আমাদের দেশেও সেরকম একটা সংকলন থাকবে। কেউ যখন লেখেনি, আমি নিজেই লিখব সেটা। তারপরেই কাঁধে তুলে নিয়েছিলাম এই গুরুদায়িত্ব।
যাক, মজার ছলে অত্যন্ত কঠিন একটি বিষয়কে কিছুটা সরল করতে পারলাম বোধহয়। এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলি বরং। পাপ এবং পুণ্য আসলে দুটো দৃষ্টিভঙ্গি। আমার কাছে যা পাপকর্ম, সেটাই হয়তো কারও কাছে পুণ্য অথবা কোনো যুক্তিযুক্ত কর্ম। আবার উলটোটাও সত্যি। তবুও আমাদের আইনব্যবস্থার চোখে, এমনকি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গিতেও কিছু কিছু অপকর্মকে পাপকার্য বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে আমরা হত্যার কথা বলতে পারি। মানবহত্যা হোক বা পশুহত্যা, যে-কোনো সাধারণ পরিস্থিতিতে সেটা একটা পাপকার্য। কাউকে খুন করা, ধর্ষণ করা ইত্যাদি কাজগুলোর mnglab পিছনে খুনি কিংবা ধর্ষকের যা’ই উদ্দেশ্য থাকুক না কেন, তা কখনও পুণ্য বলে ধরা যেতে পারে না।
বিভিন্ন রকমের পাপ সংঘটিত হয়েছে এই গ্রন্থের গল্পগুলোতে। সেই পাপগুলো নিয়ে বিস্তারিত এই ভূমিকায় আলোচনা করব না। আশা করি গল্পের মাধ্যমেই সেগুলো আপনাদের কাছে পৌঁছবে। তবে এই গ্রন্থে, বিদেশে যেটাকে ‘সেভেন সিন’ বা সাত রকমের পাপ বলে, সেই বিষয়টিকে আলাদাভাবে আমি ইচ্ছে করেই তুলে ধরার চেষ্টা করিনি। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের বিশেষত আমাদের বাঙালি পাঠকের উপযুক্ত করে গল্পগুলো পরিবেশন করার চেষ্টা করেছি।
সহজ-সরল কিছু চরিত্রের পাশাপাশি ঝাঁ-চকচকে কিছু চরিত্রও এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে। পাপ ও পয়োস্বিনী-র মতো অকল্পনীয় একটা বিষয়কে নিয়ে লিখেছি। যে বিষয় হয়তো বাস্তবে কোনোদিন ঘটবে না। কিন্তু লেখক হিসেবে আমাদের গল্পের প্লটের সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হয়। পাঠকদের এরকম নিত্যনতুন প্লটের গল্প ভালো লাগে। এর পাশাপাশি মামলার শেষে-র মতো কোর্টরুম ড্রামা স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে। এটিও বাস্তবে প্রায় অসম্ভব এক প্লট। এরকম আটটি কাহিনি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই গ্রন্থ। যেখানে প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আমি অভিনব প্লটের সাহায্য নিয়েছি। কতটা সফল হয়েছি সেটা আপনাদের মতামত যখন শুনব তখন বুঝতে পারবো।
এই গ্রন্থের আটটি কাহিনি বিগত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্র-পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। সেগুলোকে একত্রিত করা হল এই গ্রন্থে। এই আট কাহিনিকে একটা সুতোয় বেঁধেছে— পাপ। আর এভাবেই গড়ে উঠেছে আক্ষরিক অর্থে পাপের গল্প-সংকলন।
গ্রন্থটির পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রকাশক শ্রী নীলাদ্রি মুখোপাধ্যায়ের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি যেভাবে এই গ্রন্থ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পাঠকদের কাছে নিয়ে এলেন তা এক কথা তারিফযোগ্য। একই কথা প্রযোজ্য গ্রন্থটির অলংকরণ শিল্পী শ্রী কৃষ্ণেন্দু মণ্ডলের জন্য। ভালোবাসা জানাই তাঁদের।
ভবিষ্যতে এই গ্রন্থ বাংলাদেশের পাঠকের হাতেও পৌঁছবে। বাংলাদেশের পাঠকদের আমার লেখক জীবনের শুরুর সময় থেকে পাশে পেয়েছি। ওদের জানাই একরাশ ভালোবাসা।
এই গ্রন্থের শেষ মুহূর্তের কাজ যখন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছিল, তখন আমার পরিবার যেভাবে আমার পাশে থেকেছে তার জন্য আমি আমার পরিবারের সকলকে ভালোবাসা জানাই।
পরিশেষে বলি, পাপ কার্য থেকে বিরত থাকাটাই মানুষ হিসেবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। এই কাহিনিগুলো সেই ইঙ্গিতবাহী। আর কী, পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়েছে, এবার ঘড়ার জল পান করুন প্রিয় পাঠক!
পাঠ শুভ হোক।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.