দিনের পরে দিন pdf – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় Diner Pore Din pdf – Bibhutibhushan Bandhopadhyay

দিনের পরে দিন pdf - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় Diner Pore Din pdf - Bibhutibhushan Bandhopadhyay
দিনের পরে দিন pdf - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় Diner Pore Din pdf - Bibhutibhushan Bandhopadhyay

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর জনপ্রিয় উপন্যাস Diner Pore Din pdf দিনের পরে দিন pdf ডাউনলোড করুন ও Diner Pore Din pdf পড়ুন।

দিনের পরে দিন pdf - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় Diner Pore Din pdf - Bibhutibhushan Bandhopadhyay
দিনের পরে দিন pdf – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় Diner Pore Din pdf – Bibhutibhushan Bandhopadhyay

Diner Pore Din pdf দিনের পরে দিন pdf সূচিপত্রঃ

প্রকাশকের নিবেদন
বিভূতিভূষণের সংক্ষিপ্ত জীবনী
বিভূতিভূষণের গ্রন্থতালিকা
গ্রন্থ-পরিচয়: শ্রীচণ্ডীদাস চট্টোপাধ্যা
অভিযাত্রিক স্মৃতির রেখা
তৃণাঙ্কুর ঊর্মিমুখর
বনে-পাহাড়ে
থলকোবাদে একরাতি
উৎকর্ণ
হে অরণ্য কথা কও

Diner Pore Din pdf এ প্রকাশকের নিবেদন

“দিনের পর দিন” কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই অনন্য রচনা- সমস্ত দিনলিপিগুলির একত্র সংকলন। বিভূতিভূষণের এই ডায়েরী বা দিনলিপি- ধর্মী গ্রন্থগুলি বাংলা সাহিত্যে অনন্য বলছি কেন? ভাষার গম্ভীর সারল্যে, চিন্তার ঐশ্বর্যে, লেখকের সৃষ্টি-কল্পনার সম্ভারে এবং সবচেয়ে ঈশ্বর ও তাঁর সৃষ্টির চিন্তায় —কতকটা সমাহিত অবস্থার অনভূতিতে এই গ্রন্থগুলি অপরিসীম মূল্যবান। প্রমথনাথ বিশী বলেছেন, ‘বিভূতিভূষণের এই দিনলিপি জাতীয় রচনাগুলি একদেহে রোজনামচা, ভ্রমণকাহিনী, গল্প ও আত্মচিন্তা।… এইসব রচনার ফলশ্রুতি একটি পরিপূর্ণ রচনা পাঠের আনন্দলাভ।… গল্পের বদলে নিজের ব্যক্তিত্বটিকে প্রায় দেবত্ব- রসে জারিয়ে বিতরণ করেছেন পাঠকদের পাতে। ‘দিনলিপি’র একস্থানে বিভূতিভূষণ স্বয়ং বলেছেন, ‘কখনো সাখে, কখনো দঃখে, গহন পর্বতারণো বা জনকোলাহলম, খর নগরীতে, বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে বা শান্ত নিঃসঙ্গতার মধ্যে মন যেখানে নিজেকে লইয়াই বাস্ত ছিল এইসব রচনার সৃষ্টি সেখানে।

কিরীটী অমনিবাস ৭ pdf – নীহাররঞ্জন গুপ্ত Kiriti Omnibus 7 pdf Nihar Ranjan Gupta

অধ্যাপক জিতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মন্তব্য করেছেন, ‘জীবন সাধনার ফলশ্রুতি আনন্দ। এই আনন্দের সাময়িক অনুভূতি বিভূতিভূষণের জীবনে বহুবার এসেছে। দিনলিপির একাধিকস্থানে আছে এই অপার্থিব আনন্দ মূহুর্তের বর্ণনা। ঈশ্বর, মানুষ ও প্রকৃতি এই ত্রিতত্ত্ব সমন্বিত চেতনাকেই বিভূতিভূষণ সতাকার জীবনচেতনা বলে মনে করেছেন। অধ্যাপক তারাপদ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘দিনলিপিগুলির সাহিতামূলা ছাড়াও শিল্পীর অনন্তজীবনের পরিচয়ের জন্য বিভূতি-সাহিত্যের অনুরাগী পাঠকের কাছে এগুলি অপরিহার্য। উপন্যাস ও ছোটগল্পের অনেক আইডিয়ার নেপথ্যের রূপ পাওয়া যাবে দিনলিপি- গলিতে। এগুলি প্রকৃত বিচারে শিল্পীর আত্মজীবনী। আর চরম কথা বলেছেন. পরিমল গোস্বামী, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে এ সাহিত্য এদেশে কারে লেখা হয় নি, সম্ভবত আর কখনো হবেও না।’

বিভূতিভূষণের জন্ম হয় তাঁর মাতুলালয় কাঁচড়াপাড়ার সমীপবর্তী ঘোষপাড়া- মরাতিপুর গ্রামে। জন্মতারিখ ২৮ ভাদ্র, ১৩০১ (ইং ১২ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৪)। তাঁর পৈতৃক নিবাস যশোহর জেলার (বর্তমানে ২৪ পরগণা জেলার) অন্তর্ভুক্ত বনগ্রাম মহকুমায় অবস্থিত ইছামতী নদীতীরস্থ ব্যারাকপুর গ্রাম। তাঁর পিতার নাম মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় শাস্ত্রী, পেশা ছিল কথকতা : মাতা মৃণালিনী দেবী। মহানন্দ কিছু পরিমাণে ভবঘুরে ও উদাসীন প্রকৃতির লোক ছিলেন বলে সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন করতে পারেন নি-অর্জন করার চেষ্টাও বোধ হয় করেন নি। পিতামাতার পাঁচটি সন্তানের মধ্যে বিভূতিভূষণই সর্বজ্যেষ্ঠ। তাঁর শিক্ষা শব্দ হয় গৃহে পিতার নিকটে। তারপর গ্রামে ও বিদেশে কয়েকটি পাঠশালায় কিছুদিন করে পড়ার পর বনগ্রাম উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি সেখানে অবৈতনিক ছাত্র রূপে পড়ার অনুমতি পেয়েছিলেন। যখন তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সেই সময়ে তাঁর পিতৃবিয়োগ হয়।

রবীন্দ্রনাথের হাস্য-পরিহাস pdf – গোপালচন্দ্র রায় Rabindranather Hashya-Parihas pdf

নানা দুঃখকষ্টের মধ্য দিয়ে তিনি ১৯১৪ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯১৬ খৃষ্টাব্দে তিনি কলিকাতার রিপন কলেজ (বর্তমানে সরেন্দ্রনাথ কলেজ) থেকে প্রথম বিভাগে আই. এ. পাস করেন এবং ১৯১৮ খৃষ্টাব্দে ঐ কলেজ থেকেই ডিসটিংশনে বি. এ. পাস করেন। এর পর তিনি এম. এ. ও ল ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন বটে, কিন্তু নানা কারণে আর অধিকদর লেখাপড়া করা সম্ভব হয় নি। Diner Pore Din pdf পড়ুন।

তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে পড়ার সময় বিভূতিভূষণের সঙ্গে বসিরহাটের মোন্ডার কালীভূষণ মুখোপাধ্যায়ের কন্যা গৌরী দেবীর বিবাহ হয়। কিন্তু এর মাত্র এক বৎসর পরেই গৌরী দেবীর অকালমৃত্যু ঘটে। স্ত্রীর মৃত্যুর পর কিছুদিন তিনি প্রায় সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করেন। এই দুর্ঘটনার বহু দিন পরে ১৩৪৭ সালের ১৭ অগ্রহায়ণ (ইং ৩ ডিসেম্বর, ১৯৪০) ফরিদপুর জেলার অন্তর্গত ছয়গাঁও নিবাসী ষোড়শীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা রমা দেবীকে তিনি বিবাহ করেন। বিবাহের সাত বৎসর পরে তাঁর একমাত্র সন্তান তারাদাস (ডাকনাম বাবল) জন্মগ্রহণ করে।

ইত্যবসরে তিনি হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়ায় মাইনর স্কুলে শিক্ষকের চাকুরি গ্রহণ করেন এবং তারপর ২৪ পরগণার হরিনাভি গ্রামের উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এইখানেই তাঁর সাহিত্যিক জীবন শহর হয় তাঁর প্রথম রচনা ‘উপেক্ষিতা’ নামক গল্পটি রচিত ও ১৩২৮ সালের মাঘ সংখ্যা প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর কিছুদিন তিনি ‘গোরক্ষণী সভা’-র প্রচারকের চাকুরি গ্রহণ করে বাংলা, আসাম, ত্রিপুরা ও আরাকানের বহু স্থানে ভ্রমণ করেন।
তারপর তিনি খেলাতচন্দ্র ঘোষের বাড়িতে কিছুদিন সেক্রেটারীর কাজ ও গ্রহ- শিক্ষকতা করার পর খেলাত ঘোষ এস্টেটের আসিস্টান্ট ম্যানেজার নিযুক্ত হন এবং উক্ত জমিদারির ভাগলপুর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত হয়ে ঐ শহরের ‘বড় বাসা’ নামক গহে অবস্থান করেন। এই ভাগলপুরে প্রবাসকালেই তাঁর অমর উপন্যাস ‘পথের পাঁচালী’ রচিত হয়।

দ্বিতীয়বার বিবাহের পূর্বে ১৯৩০ খৃষ্টাব্দের পর থেকেই বিভূতিভূষণ বিহারের ঘাটশিলা ও গাল,ডি অঞ্চলের প্রতি আকৃষ্ট হতে আরম্ভ করেন। এর কিছুদিন পরে তিনি ঘাটশিলায় একটি বাড়ী ক্রয় করেন এবং প্রথমা স্ত্রীর স্মৃতিরক্ষার উদ্দেশ্যে তার নামকরণ করেন ‘গৌরীকুঞ্জ’। রুমে ঘাটশিলা তাঁর অতিপ্রিয় স্থান হয়ে দাঁড়ায়- অবসর পেলেই সেখানে এসে কিছুদিন কাটিয়ে যেতেন।

দ্বিতীয়া পত্নী রমা দেবীকে নিয়ে বারাকপুরে তিনি স্থায়ীভাবে সংসার পেতে বসেন ১৯৪২ খৃষ্টাব্দে। এ সময় থেকে প্রতি বৎসর তিনি নিয়মিত ভাবে কয়েক মাস ঘাটশিলায় গিয়ে অবকাশ যাপন করতেন—পূজার প্রারম্ভে সতীক সেখানে যেতেন এবং মাঘের শেষে অথবা ফাল্গুনের প্রথমে দেশে ফিরতেন। প্রধানতঃ তাঁর আকর্ষণেই পূজার ছুটিতে ঘাটশিলায় সে সময় বহু জ্ঞানী ও গুণী জনের এবং খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের সমাবেশ ঘটত।

তিনি দেশভ্রমণ করতে বড় ভালবাসতেন—ভ্রমণ করেছিলেনও প্রচুর। ‘গোরক্ষণী সভা’-র ভ্রাম্যমাণ প্রচারক রূপে তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন তা লিপিবদ্ধ হয়ে আছে তাঁর ‘অভিযাত্রিক’ গ্রন্থে। তা ছাড়া বিহার সরকারের বনবিভাগের উচ্চ- পদস্থ কর্মচারী অতি অন্তরঙ্গ বন্ধ, শ্রীযুক্ত যোগেন্দ্রনাথ সিংহ মহাশয়ের সঙ্গে তিনি সিংভূম, হাজারিবাগ, রাঁচী ও মানভূম জেলার বহ, আরণ্য-পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমণ করে- ছিলেন। এই সব বিচিত্র এবং অনেক ক্ষেত্রে রোমান্টক স্থানে ভ্রমণের মনোজ্ঞ কাহিনী তিনি বর্ণনা করেছেন তাঁর ‘বনে পাহাড়ে’ ও ‘হে অরণ্য কথা কও’ নামক গ্রন্থদ্বয়ে এবং তাঁর দিনলিপিজাতীয় গ্রন্থাবলীতে।

জীবনের শেষ দশ বৎসর বিভূতিভূষণ তার অতি প্রিয় পিতৃভূমি বারাকপুরে বাস করেছিলেন। এই সময়ে তিনি অজস্র শ্রেষ্ঠ পর্যায়ের সাহিত্য সৃষ্টি করেন। অনেক- গুলি বিখ্যাত উপন্যাস ও বহু, সার্থক রসোত্তীর্ণ ছোট গল্প এই সময়েই রচিত হয়। জীবনের প্রায় শেষ দিনটি পর্যন্ত তিনি সাহিত্য-সাধনায় রতী ছিলেন।
বঙ্গাব্দ ১৩৫৭-র ১৫ কার্তিক তারিখে (ইং ১ নভেম্বর, ১৯৫০) ঘাটশিলায় বাহে রাত্রি ৮টা ১৫ মিনিটের সময় তিনি পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৬ বৎসর।

Diner Pore Din pdf বিভূতিভূষণের গ্রন্থতালিকা

উপন্যাস : পথের পাঁচালী (১৯২৯) অপরাজিত (১ম ও ২য় খণ্ড, ১৯৩২) ; দৃষ্টি প্রদীপ (১৯৩৫) আরণ্যক (১৯৩৯) : আদর্শ হিন্দ, হোটেল (১৯৪০) ; বিপিনের সংসার (১৯৪১) দুই বাড়ী (১৯৪১); অনুবর্তন (১৯৪২) : দেবযান (১৯৪৪) কেদার রাজা (১৯৪৫); অথৈ জল (১৯৪৭) : ইছামতী (১৯৫০) : অৰ্শন সংকেত (অসমাপ্ত, বঙ্গাব্দ ১৩৬৬) ; দম্পতি (১৯৫২)।

গল্প-সংকলন : মেঘমল্লার (১৯৩২); মৌরীফুল (১৯৩২) : যাত্রাবদল (১৯৩৪); জন্ম ও মৃত্যু (১৯৩৮): কিন্নরদল (১৯৩৮): বেণীগির ফুলবাড়ী (১৯৪১) : নবাগত (১৯৪৪) : ভাঙ্গ নবমী (১৯৪৪) : উপলখণ্ড (১৯৪৫); বিধ মাষ্টার (১৯৪৫) ক্ষণভঙ্গর (১৯৪৫): অসাধারণ (১৯৪৬) মখোশ ও মুখশ্রী (১৯৪৭) আচার্য রুপালনী কলোনি (বর্তমান নাম ‘নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব’) (১৯৪৮): জ্যোटিরঙ্গন (১৯৪৯) : কুশল-পাহাড়ী (১৯৫০); র পছনদ (১৯৫৭) : অনসন্ধান (বঙ্গাব্দ ১৩৬৬) ছায়াছবি (বঙ্গাব্দ ১৩৬৬); সলোচনা (১৯৬৩)।

কাহিনী ও দিনলিপি : অভিযাত্রিক (১৯৪০) : স্মৃতির রেখা ((১৯৪১); তৃণাঙ্কুর (১৯৪৩) : ঊর্মিমুখর (১৯৪৪); বনে পাহাড়ে (১৯৪৫) উৎকর্ণ (১৯৪৬): হে অরণা কথা কও (১৯৪৮)।

কিশোর পাঠ: চাঁদের পাহাড় (১৯৩৮): আইভ্যানহো (সংক্ষেপান,বাদ, ১৯৩৮); মরণের ডঙ্কা বাজে (১৯৪০): মিসমিদের কবচ (১৯৪২) : হীরা মাণিক জলে (১৯৪৬); সন্দরবনে সাত বৎসর (ভুবনমোহন রায়ের সহযোগিতায়, ১৯৫২)। Diner Pore Din pdf পড়ুন।
বিবিধঃ বিচিত্র জগৎ (১৯৩৭): টমাস বাটার আত্মজীবনী (১৯৪৩):

Diner Pore Din pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply