অভিজ্ঞান রায় চৌধুরীর অনিলিখা সিরিজ pdf এর আরো একটি উপন্যাস Ka Ebong Koyekjon pdf ক এবং কয়েকজন pdf ডাউনলোড করুন ও Ka Ebong Koyekjon pdf পড়ুন।
Ka Ebong Koyekjon pdf নমুনাঃ
ডেভকে বেশ কিছুটা রাস্তা ফলো করেছিল ইনস্পেক্টর ইয়ান কিং। কিন্তু তার পরে যে কোথায় গেল, বুঝে উঠতে পারল না ইয়ান। এমন বেপরোয়া ব্যাঙ্ক ডাকাত খুব কমই হয়। প্রায় পনেরো বছর ধরে সবার চোখে ধুলো দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ডেভ। পনেরো বছরে ২১ বার ব্যাঙ্ক ডাকাতি। কিন্তু প্রত্যেকবার এমন ভাবে ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ আর ডাকাতির সময় ঠিক করত ডেভ, যে তাকে ধরার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল পুলিশ। অবশেষে পুলিশের ফাঁদে পা দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও চোখে ধুলো দিয়ে ও যদি পালাতে পারে, তাহলে আর ইয়ানের চাকরি করার দরকার নেই।
লোকটা আগে আগে যাচ্ছিল – অভিজ্ঞান রায় চৌধুরী Lokta Age Age Jachchilo by Abhigyan Roy Choudhury
যখন প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছিল, ঠিক সেই সময় খবর এল ডেভকে দেখা গেছে। ওয়েলসের হোয়াইট ক্যাসলের কাছে। উলটো দিক দিয়ে একটা গাড়ি ডেভকে যেতে দেখে। পরে টিভির খবরে দেখে শনাক্ত করে। সরু রাস্তা। তাই ডেভের গাড়িকে জায়গা দিতে ওই গাড়িটাকে খানিকটা পথ পিছিয়ে যেতে হয়েছিল। এমনিতে হয়তো খেয়াল করত না। কিন্তু খেয়াল করেছিল এই কারণেই যে ওই সময়ে ওই দিকে কেউ যায় না। হোয়াইট ক্যাসল ছাড়া ওদিকে আর কিছু নেই।
খবরটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনটে পুলিশগাড়ি আর দুটো পুলিশের কুকুর নিয়ে ওদিকে রওনা হল ইয়ান। পৌঁছোতে পৌঁছোতে রাত একটা। যতই দুর্নাম থাকুক ক্যাসলের, ভেতরে যেতে তো হবেই। ক্যাসলের ভেতরের অংশে ঢোকার পরপরই কুকুরদুটো ছুট লাগাল একটা ভাঙাচোরা টাওয়ারের দিকে।
সেদিকে ওদের পেছন পেছন যেতে গিয়ে হঠাৎই থেমে গেল ইয়ান। কুকুরদুটোর আর্তনাদ। কী ভয়ানক সেই চিৎকার! তার প্রায় আধ ঘণ্টা বাদে কুকুরদুটোর দেহাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেল। কেউ যেন গলা টিপে মেরে ফেলেছে। আর তার পরে রাগে কামড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। এরকম দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি ইয়ান। ওর সঙ্গে যে দুজন সার্জেন্ট ছিল, তারাও এরকম দৃশ্য কখনও দেখেনি।
শুধু একটা রাত pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Sudhu Ekta Raat pdf – Abhigyan Roychowdhury
আর কিছুটা দূরে ডেভের বিশাল শরীরের কিছু অংশ পড়ে আছে। মনে হচ্ছে কেউ যেন কামড়ে টুকরো করে দিয়েছে। পুরো ঘরটা রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
যেই থাকুক, সে যে পুরো অজানা অসম্ভব শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ইয়ান ফোন করে সঙ্গে সঙ্গে আরও পুলিশফোর্স চেয়ে পাঠাল।
সকালে ক্যাসলের ওই টাওয়ারের মধ্যেই একটা গুপ্তঘর পাওয়া গেল। মাটির অনেক নীচে একটা লুকোনো ঘর। বোধহয় অনেক আগে অপরাধীদের ওই ঘরে ফেলে দেওয়া হত। কাউকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও ওই ঘর জুড়ে পাওয়া গেল অনেক কঙ্কাল। ইয়ানের অভিজ্ঞ চোখ বলে দিল, সম্প্রতি এঘরে কেউ থাকত। আর সে খুব সম্ভবত ওই রাতেও ওখানেই ছিল। নির্ঘাত পালিয়েছে। এই কি ক্যাসলের ভূতের কুখ্যাতির মূলে?
আর কোনওদিন ভবিষ্যৎ জানার ভুল করবেন না অবিনাশবাবু। কী কুক্ষণেই যে তামিলনাড়ু বেড়াতে গিয়ে ভৈথিস্বারা মন্দিরে গিয়েছিলেন! নাডী জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী অগস্ত্য মুনি সবার জন্যে একটা তালপাতার ওপরে তাদের অতীত ও ভবিষ্যৎ লিখে গেছেন। তবে সেসব পাতার মধ্যে অনেকগুলো হারিয়ে যাওয়ায় সবার ক্ষেত্রে তাদের জীবনের সেই ভূত আর ভবিষ্যৎ জানা সম্ভব হয় না। বুড়ো আঙুলের ছাপ আর জন্ম তারিখের ওপরে নির্ভর করে কার জন্যে কোন তালপাতা খুঁজে বার করা হয়।
শারদীয়া পূজাবার্ষিকী শুকতারা ১৪৩০ পিডিএফ Sharadiya Shuktara 1430 pdf
তা অবিনাশবাবুর ধারণা হয়েছিল ওনারটা হয়তো পাওয়া যাবে না। হাজার বছর আগে ওনার মতো একজনের ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা যে অগস্ত্য মুনির ছিল, এটাই ওনার বিশ্বাস হচ্ছিল না। কিন্তু নাহ্। ওনার বুড়ো আঙুলের ছাপ আর জন্মদিন জানানোর এক ঘণ্টা পরে খবর পেলেন ওনার জন্য নির্দিষ্ট তালপাতা পাওয়া গেছে।
আর তার থেকে ওনার অতীতের কয়েকটা ঘটনাও নির্ভুলভাবে লোকটা বলে দিল। এমনকী উনি যে ওকালতি করেন, এবং বর্তমানে জমিসংক্রান্ত মামলা করে যে ওনার বেশ ভালো অবস্থা হয়েছে তাও লোকটা বলে দিল। তবে অতীতে থেমে থাকলেই ভালো হত।
লোভ করে ভবিষ্যতের কথা জিগ্যেস করতে লোকটা বেশ খানিকটা থেমে বলে উঠল—আপনার তো সামনে ভারী বিপদ দেখছি।
— সে কী? কীরকম? কিছু করার আছে?
অবিনাশবাবু ভেবেছিলেন, লোকটা হয় টাকা চাইবে, না হলে নানান ধরনের দুর্মূল্য পাথর, মাদুলি ইত্যাদি দেবে। কিন্তু না। লোকটা ঘাড় নেড়ে জানিয়ে দিল যে কিছুই করার নেই। Ka Ebong Koyekjon pdf পড়ুন।
অর্থাৎ এটা বলার মধ্যে অন্য কোনও অসৎ উদ্দেশ্যও নেই।
কলকাতায় ফিরে অনেক ভেবেছেন এ নিয়ে। বেশ কয়েকদিন মন খারাপ করে বাড়িতেই বসেছিলেন। কীসের বিপদ? কী থেকে আসতে পারে? কবে? সবই প্রশ্ন। আসন্ন বিপদের কথা ভেবে ইচ্ছেমতো গত ক’দিন নানান খাবার খেয়ে ওজনও বাড়িয়ে ফেলেছেন কিছুটা।
অনেক ভেবে উনি দেখলেন একটাই সম্ভাবনা। ওনার প্রতিবেশী মিস্টার পাই। যদি বিপদ আসে তো ওনার কাছ থেকেই আসবে। ওরকম একজন পাগলাটে বিজ্ঞানীর থেকে দূরে থাকাটাই শ্রেয়। যে বিজ্ঞানী বেড়াল আর কুকুরের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ানোর জন্য আজব সব এক্সপেরিমেন্ট করেন, তার ওপরে কি আর ভরসা রাখা যায়? আর সারাক্ষণ নানান ধরনের যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন, যার বেশির ভাগেরই ওনার মতে কোনও দরকার নেই।
দু-দুবার তো অবিনাশবাবুর অজান্তে ওনার ওপরেই পরীক্ষা করেছিলেন। নেহাৎই ভাগ্য জোরে সেবারে রেহাই পেয়েছেন।
তাই ঠিক করেছিলেন মিস্টার পাই-এর ধারে-কাছে আর যাবেন না। কিন্তু যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়।
Ka Ebong Koyekjon pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.