অনিলিখা ও সেই লোকটা pdf – অভিজ্ঞান রায় চৌধুরী Anilikha O Sei Lokti pdf – Abhijnan Roychowdhury

অনিলিখা ও সেই লোকটা pdf - অভিজ্ঞান রায় চৌধুরী Anilikha O Sei Lokti pdf - Abhijnan Roychowdhury
অনিলিখা ও সেই লোকটা pdf - অভিজ্ঞান রায় চৌধুরী Anilikha O Sei Lokti pdf - Abhijnan Roychowdhury

অভিজ্ঞান রায় চৌধুরীর অনিলিখা সিরিজের আরো একটি উপন্যাস Anilikha O Sei Lokti pdf অনিলিখা ও সেই লোকটা pdf ডাউনলোড করুন ও Anilikha O Sei Lokti pdf অনিলিখা ও সেই লোকটা pdf পড়ুন।

অনিলিখা ও সেই লোকটা pdf - অভিজ্ঞান রায় চৌধুরী Anilikha O Sei Lokti pdf - Abhijnan Roychowdhury
অনিলিখা ও সেই লোকটা pdf – অভিজ্ঞান রায় চৌধুরী Anilikha O Sei Lokti pdf – Abhijnan Roychowdhury

Anilikha O Sei Lokti pdf অনিলিখা ও সেই লোকটা pdf রিভিউঃ

এই গল্পটাও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা। তবে নিঃসন্দেহে বলব আগেরটার থেকে অনেকবেশি রহস্য ঘেরা। শহরে একের পর এক খুন হচ্ছে আর যারা খুন হচ্ছে তারা সবাই অসৎ বিজ্ঞানী। তাদের অবিষ্কার এই পৃথিবীকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। একটা ডিটেকটিভ সংস্থা M16 এই রহস্য সমাধানের দায়িত্বে রয়েছেন। আর তাদের সেই রহস্যের জট ছাড়াতে অনিলিখার সাহায্যের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে, একটা ব্যক্তিকে চিঠি পৌচ্ছানোর দায়িত্ব অনিলিখার উপর তবে সেই ব্যক্তিটি তার মা, বাবা, বোন সহ নিজের ছেলেকেও হারিয়েছেন। চিঠিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিঠিটিতে কি এমন লেখা আছি যার জন্য সেটা এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে? একের পর এক বিজ্ঞানী খুন হচ্ছে কেন? কে বা এসব খুন করে যাচ্ছে? খুনি আসলে কি চান? এসবের জন্য বর্তমান প্রজন্ম দায়ী নয় তো? M16 এর ডিটেকটিভ মাইক কি পারবে সুরঙ্গ থেকে অনিলিখাকে উদ্ধার করতে?

লোকটা আগে আগে যাচ্ছিল – অভিজ্ঞান রায় চৌধুরী Lokta Age Age Jachchilo by Abhigyan Roy Choudhury

এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে অবশ্যই পড়তে হবে, অভিজ্ঞান রায়চৌধুরির লেখা ‘অনিলিখা ও অনিলিখা’ উপন্যাসের ‘অনিলিখা ও সেই লোকটা’ গল্পটি।

Anilikha O Sei Lokti pdf নমুনাঃ

সত্যি এখন সব বদলে গেছে। শনিবারের আসরে আমরা প্রায় সবাই এসেছি। কিন্তু কারো মুখে কোনও কথা নেই। সবার চোখ হাতে ধরা ফোনে। গত পাঁচ মিনিট আমরা কেউ কোনও কথা বলিনি।

বাইরে এরই মধ্যে একটু ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রথম বর্ষার বৃষ্টি। ঠিক সময় অনিলিখাদির প্রবেশ। ছাতা আনেনি। ভালোই ভিজে গেছে। ভিজে চটি খুলতে খুলতে বলে উঠল—বৃষ্টিতে না ভিজলে, বর্ষাকে ঠিকভাবে স্বাগত জানানো হয় না।

অনিলিখাদি পাড়ার শ্যামলদার দোকান থেকে চপ-কাটলেট নিয়ে এসেছে। মুহূর্তে ঘরের পরিবেশ বদলে গেল। কিচেন থেকে প্লেট এনে আমরা সবাই খাবার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠলাম।

এর মাঝেই অনিলিখাদি বলে উঠল – আমি ঢোকার আগেই বাইরে থেকে তোদের লক্ষ্য করছিলাম। যেভাবে তোরা বিভোর হয়ে ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বসেছিলি, তাতে মনে হচ্ছিল আগামী দিনে তোরা কথা বলতেই ভুলে যাবি। আর একটা দেশ ধ্বংস করতে পরমাণু বোমার দরকার হবে না, পাওয়ার গ্রিড আর সব মোবাইল নেটওয়ার্ক পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ করে দিলেই হবে।

আমরা চুপ!

একটু থেমে অনিলিখাদি ফের বলে উঠল—আমাকে আবার ইংল্যান্ডে আর স্পেনে অফিসের কাজে যেতে হবে। অন্য কিছু দেশেও যেতে হতে পারে।

—বাহ্! গরম থেকে একটু রেহাই পাবে। সহেলী বলে উঠল। -তা ঠিক। তবে এবারে অফিসের কাজের প্রেসার ভালোই থাকবে। অন্য একটা কাজ সারতে হবে।

—কী কাজ অনিলিখাদি?

—একটা চিঠি পৌঁছতে হবে একজনের কাছে। একটা বিশেষ চিঠি —চিঠি? এখনকার দিনে চিঠি কেউ লেখে?

-এই চিঠিটা যার উদ্দেশ্যে লেখা তাকে পৌঁছে দিতে হবে। -বলে অনিলিখাদি একটা খাম খুব যত্ন করে ব্যাগ থেকে বার করল। তারপর তার থেকে একটা চিঠি বার করে বলে উঠল— তোদের একটু পড়ে শোনাই, তাহলে বুঝতে পারবি এ চিঠিটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আমরা সবাই জানি বাবা আর ফিরে আসবে না। শুধু মা সে কথা শুনতে চায় না। এখনও বিশ্বাস করে বাবা ফিরে আসবে। চারবছর হল যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। যারা ফেরবার, সবাই ফিরে এসেছে। বাবার এখনও কোনও খোঁজ নেই। দু-বছর আগে একটা চিঠি এসেছিল। মা চিঠিটা খাম থেকে খুলে অনেকক্ষণ ধরে চুপ করে বসেছিল। বারবার জিগ্যেস করেও উত্তর পাইনি।

শুধু একটা রাত pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Sudhu Ekta Raat pdf – Abhigyan Roychowdhury

দিদি বলেছিল, তাতে বাবার সম্বন্ধে কিছু খবর ছিল। দিদি পড়তে পারে। মা কিন্তু চিঠিটা কোথাও সরিয়ে রেখেছে। ও চিঠিতে কী ছিল, তা কখনও বলেনি। যখন পড়তে শিখব, তখন ওই চিঠিটা ঠিক খুঁজে নিয়ে পড়ব।

আমাদের বাড়িটা একটু নির্জন জায়গায়। কাছে একটা চার্চ আছে। লাগোয়া একটা কবরখানা। মা অনেকসময় কবরখানায় গিয়ে গাছের তলায় বসে থাকে। মনে হয় আমাদের সামনে কাঁদতে চায় না। ওখানে গিয়ে কাঁদে। আমি দূর থেকে দেখি। জানি না আমারও কেন তখন চোখে জল আসে।

আমি সবে প্রাইমারি স্কুলে যেতে শুরু করেছি। আমার বাড়ি থেকে স্কুল একঘণ্টার হাঁটা পথ। মাঝে একটা সরু নদীও পার হতে হয়। হাঁটু জল। আমার দিদিও একই স্কুলে যেত। এখন আর যায় না। মার সঙ্গে এখন বাড়িতেই থাকে।

Anilikha O Sei Lokti pdf link

Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply