স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর চুয়ান্ন Chuanno pdf উপন্যাসটি আনন্দবাজার পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। Chuanno pdf প্রথম প্রকাশকালেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তরুণ তরুণীদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয় লেখক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Chuanno pdf খোর মদ্য দিয়ে তাঁর লেখনি স্বত্বার পরিচয় তুলে ধরেছেন।
Chuanno pdf রিভিউঃ
Chuanno pdf পুঁটি ও সাবুর জীবনের চুয়ান্ন দিনের ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার গল্প বলা হয়েছে। উপন্যাসে পুঁটিকে ছেড়ে এনা পাড়ি জমিয়েছে অন্য কোথাও। একাকি জীবনে বেঁচে থাকার প্রতিটা দিনের হিসেব রাখে পুঁটি। নিজেকে সব সময় ব্যস্ত রাখতে চায় সে। তাদের আছে নিজস্ব ব্যবসা। সব ভুলে থাকার জন্য ব্যবসার কাজে ডুবে থাকতে চায় সে। এত চেষ্টার সেটাও ভাল থাকতে পারে না, ব্যবসাটা ভালোভাবে চালাতে পারে না। ধীরে ধীরে তার মনে হয় এ জীবন মূল্যহীন ও অনর্থক সময় পার করা মাত্র! এখানে প্রাপ্তির কিছু নেই। অন্যদিকে সাবুর পছন্দ পুঁটিকে। পছন্দ করলে কি হবে সে কথাও পুটিকে জানাতে পারে না। পুঁটির জীবনও এলোমেলো আর জটলাময় হতে থাকে। আস্তে আস্তে প্রেম আর প্রেমের বাইরের বিশাল এক পৃথিবী যেন স্পষ্ট হয়ে ওঠে ওর কাছে।
ভালবাসার মানুষকে ছাড়া এই বেঁচে থাকা তার কাছে নতুন জীবনের নতুন অধ্যায় আর শিক্ষায় পরিনত হতে থাকে। সাবুও থেমে থাকে না, নিজের মতো করে খুঁজতে থাকে সুখ, শান্তি, ভালবাসা। আর পুঁটির পাশে সে থেকে যেতে চায় তার সেই অব্যক্ত ভালবাসা নিয়েই। এভাবে চলতে থাকে জীবন। তারপর ঠিক চুয়ান্ন দিনের মাথায় পুঁটিকে ফোন করে একজন! কে করেছে সেই ফোন? কী চায় সে? পুঁটিই-বা কী করবে? আর সাবু? সাবুরই বা কী হবে এবার? ‘চুয়ান্ন’ আসলে মানুষের চিরকালীন এক ভালবাসার গল্প। জীবনের কাছে তার ফিরে আসার গল্প।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর আরো ইবুক পড়তে এখানে ভিজিট করুন।
Chuanno pdf নমুনাঃ
অমিতাভ বচ্চনকে আমি পুরো মনের ভিতরে নিয়ে নিয়েছি। গুরুর হাঁটা, তাকানো, মাল না খেয়েও মাল খাওয়ার অভিনয়… পুরো, পুরো ভিতরে নিয়ে নিয়েছি আমি। আমরা যারা বচ্চনকে পুরোপুরি ভিতরে নিয়ে নিয়েছি, তারা কোনও দিন মেয়েদের দিকে সরাসরি তাকাই না। তবু আমাদের চোখের ক্যামেরায় সব ধরা পড়ে যায়। কোন বারান্দায় কোন মামণি এসে দাঁড়াল। কোন বৌদি কাপড় মেলতে এল। কোন কাকিমা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পাশের বাড়ির মাসিমার সঙ্গে পিএনপিসি করছে বা পাড়ার কোন উঠতি নায়িকা ঠোঁট ছুঁচোর মতো করে সারা ক্ষণ সেলফি তুলে যাচ্ছে, সব কিছু আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায়!
এই যে তোমার বাড়িতে চুরি হল। পাইপ বেয়ে উঠে পাখি বসার জায়গাগুলো ভেঙে, ছাদের ঘর থেকে টিভি আর জামাকাপড় নিয়ে পালাল, সেটাও ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। বুঝলে?” লেবু কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে অদ্ভুত শব্দ করে হাসল। ওর হাসিটা শুনলে যে কোনও লোক চমকে উঠবে। কিন্তু লামা লেবুকে চেনে। তাই চমকাল না। শুধু নরম ভাবে হেসে, জিজ্ঞেস করল, “তুই দেখেছিস আমার বাড়িতে কে চুরি করেছে?”
লেবু সেই হেঁচকি তোলার শব্দ করে হাসল আবার। বলল, “না না, আমি দেখিনি! আমার ক্যামেরা দেখেছে।”
লামা বলল, “তা পুলিশ এল যখন, তখন বললি না কেন?”
লেবু যাথাটা উপরে তুলে কোমরে দু’হাত রেখে অমিতাভ বচ্চনের গলা নকল করে বলল, “ঠাকুরসাব, ক্যামেরা যে রিল নেহি থা! সমঝে?”
কলকাতা! কলকাতা, আমি কেন থাকব তোমার কাছে? কী হবে থেকে? আমি কাজ করে যাব এক দিকে, আর অন্য দিকে পুঁটি এনার সঙ্গে… না! কেন থাকব তোমার কাছে কলকাতা?
আমি নাকতলা পেরোতে পেরোতে দেখলাম ঘড়িতে চারটে বাজে প্রায়। ওরা কি দু’জনেই রাসবিহারী মোড় পৌঁছে গিয়েছে? নিশ্চয়ই গিয়েছে। আমার সারা শরীর কেমন করে উঠল। মনে হল উল্টো দিক থেকে আসা বড় বাসটাকে সোজা হেড অন গিয়ে মারি আমার ছোট্ট স্কুটিটা দিয়ে! কেন এনা, কেন? আমি তো তোর কোনও ক্ষতি করিনি। কেন তুই সকালে ফোন করলি আমায়! সারা দিনটা নষ্ট করে দিলি? জীবনটা নষ্ট করে দিলি?
দিদির ঘর থেকে এসে আমি এনাকে ফোন করেছিলাম। ভেবেছিলাম, ভালই হল। ওর জিনিসগুলো ওকে ফেরত দিতে হবে। সেটা আবার বলব।
কিন্তু আমার ফোন রিসিভ করে এনা আমাকে কোনও কথা বলারই সুযোগ দেয়নি। ও ঝরঝর করে ঝরে পড়া ঝরনার মতো বলেছিল, “আজ চারটের সময় আমি আর পুঁটি রাসবিহারী মোড়ের বড় জুতোর দোকানটার সামনে দেখা করব। আমি ফোন করেছিলাম। তবে আমি গ্র্যাভিটি নিয়েই কথা বলেছি। ও বলেছে আসবে। আই উইল টেল হিয যে আই মিসড হিম। উই উইল বি টুগেদার আগেন! সাবু, আয়াম সো এক্সাইটেড! সত্যি।”
Chuanno pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.