হুমায়ুন আহমেদের Himu somoggro 1 pdf আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো। হিম হুমায়ুন আহমেদের এক অনবদ্য সৃষ্টি।
Himu somoggro 1 pdf এর ভূমিকা
হিমুকে নিয়ে কতগুলি বই লিখেছি নিজেও জানি না। মন মেজাজ খারাপ থাকলেই হিমু লিখতে বসি। মন ঠিক হয়ে যায়। বেশি লেখার ফল সব সময় শুভ হয় না। আমার ক্ষেত্রেও হয় নি। অনেক জায়গাতেই ল্যাজে গোবরে করে ফেলেছি। হিমুর পাঞ্জাবির পকেট থাকে না অথচ একটা বই-এ লিখেছি সে পকেট থেকে টাকা বের করল।
হিমুর মাজেদা খালা এক বই-এ হয়ে গেলো মাজেদা ফুপু। তবে হিমু যে ঠিক আছে তাতেই আমি খুশি। হিমু ঠিক আছে, হিমুর জগৎ ঠিক আছে। তার বয়স বাড়ছে না। সে বদলাচ্ছে না। এই আনন্দ সংবাদ দিয়ে ভূমিকা শেষ করছি। সব হিমুকে বন্দি করে যে প্রকাশক বিশাল হিমু সমগ্র বের করলেন তাঁকে (মনিরুল হক, অনন্যা) ধন্যবাদ।
হুমায়ূন আহমেদ
Himu somoggro 1 pdf এর লেখক পরিচিতিঃ
জন্ম : ১৩ই নভেম্বর ১৯৪৮, মোহনগঞ্জ। নেত্রকোনা।
বাবা : মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ।
মা : আয়েশা আক্তার।
পড়াশোনা Phd, রসায়ন শাস্ত্র।
পেশা: শুরুতে অধ্যাপনা। বর্তমানে লেখালেখি । নেশা ছবি বানানো। সর্বশেষ ছবি ‘শ্যামল ছায়া’ অস্কারে প্রদর্শনীর জন্যে মনোনীত।
পুরস্কার ও সম্মান : সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান একুশে পদকে সম্মানিত।
Himu somoggro 1 pdf এর সূচীপত্র
ময়ূরাক্ষী
দরজার ওপাশে
হিমু
পারাপার
এবং হিমু …..
হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম
হিমুর দ্বিতীয় প্রহর
হিমুর রূপালী রাত্রি
একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁঝিপোকা
তোমাদের এই নগরে
চলে যায় বসন্তের দিন
সে আসে ধীরে
আঙুল কাটা জগলু
হলুদ হিমু কালো র্যাব
Himu somoggro 1 pdf নমুনাঃ
এ্যাই ছেলে, এ্যাই ।
আমি বিরক্ত হয়ে তাকালাম। আমার মুখভরতি দাড়িগোঁফ। গায়ে চকচকে হলুদ পাঞ্জাবি। পর পর তিনটা পান খেয়েছি বলে ঠোঁট এবং দাঁত লাল হয়ে আছে। হাতে সিগারেট। আমাকে ‘এ্যাই ছেলে’ বলে ডাকার কোনোই কারণ নেই। যিনি ডাকছেন তিনি মধ্যবয়স্কা একজন মহিলা। চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা। তাঁর সঙ্গে আমার একটি ব্যাপারে মিল আছে। তিনিও পান খাচ্ছেন। আমি বললাম, আমাকে কিছু বলছেন? তোমার নাম কি টুটুল?
আমি জবাব না দিয়ে কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। এই মহিলাকে আমি আগে কখনো দেখিনি। অথচ তিনি এমন আগ্রহ নিয়ে বলি— ‘হ্যাঁ আমার নাম টুটুল’, তাহলে ছুটে কথা বলছ না কেন?
আমি একটু হাসলাম।
আমার হাত ধরবেন।
GARBA আছেন। মনে হচ্ছে আমি যদি হাসলাম এই আশায় যেন?
ধরতে পারেন আমি টুটুল না। হাসিতে খুব সহজেই মানুষকে চেনা যায়। সব মানুষ একই ভঙ্গিতে কাঁদে কিন্তু হাসার সময় একেক জন একেক রকম করে হাসে। আমার হাসি নিশ্চয়ই ঐ টুটুলের হাসির মতো না।
আশ্চর্যের ব্যাপার, এই ভদ্রমহিলা আমার হাসিতে আরো প্রতারিত হলেন। চোখমুখ উজ্জ্বল করে বললেন, ওমা, টুটুলই তো!
ভাবছিলাম তিনি আমার দিকে ছুটে আসবেন। তা না করে ছুটে গেলেন রাস্তার ওপাশে পার্ক-করা গাড়ির দিকে। আমি শুনলাম তিনি বলছেন, তোকে বলিনি ও টুটুল। তুই তো বিশ্বাস করলি না। ওর হাঁটা দেখেই আমি ধরে ফেলেছি। কেমন দুলে দুলে হাঁটছে।
ড্রাইভার গাড়ি ঘুরিয়ে রাস্তার এপাশে নিয়ে এল। ড্রাইভারের পাশের সিটটা খালি। ভদ্রমহিলা আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, টুটুল, উঠে আয়। আমি উঠে পড়লাম।
বাইরে চৈত্র মাসের ঝাঁ-ঝাঁ রোদ। আমাকে যেতে হবে ফার্মগেট। বাসে উঠলেই মানুষের গায়ের গন্ধে আমার বমি আসে। কাজেই যেতে হবে হেঁটে হেঁটে। খানিকটা লিফট পাওয়া গেলে মন্দ কী! আমি তো জোর করে গাড়িতে চেপে বসিনি ! তাছাড়া আমার চিন্তার সূতা কেটে গেল। ভদ্রমহিলার পাশে বসে থাকা মেয়েটি বলল, মা, এ টুটুল ভাই নয়। Himu somoggro 1 pdf
আমি ঘাড় ঘুরিয়ে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ঠিক আগের ভঙ্গিতে হাসলাম। যে হাসি দিয়ে মেয়ের মাকে প্রতারিত করেছিলাম, সেই হাসিতে মেয়েটিকে প্রতারিত করার চেষ্টা। মেয়ে প্রতারিত হলো না। এই যুগের মেয়েদের প্রতারিত করা খুব কঠিন। মেয়েটি দ্বিতীয়বার আগের চেয়েও কঠিন গলায় বলল, মা, তুমি কাকে তুলেছ? এ টুটুল ভাই নয়। হতেই পরে না। এ অন্য কেউ।
ড্রাইভার বারবার সন্দেহজনক চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি অত্যন্ত ঠাণ্ডা গলায় বললাম, সামনে চোখ রেখে গাড়ি চালাও, এ্যাকসিডেন্ট হবে।
ড্রাইভার আমার গলা এবং কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেল। সম্ভবত তাকে কেউ তুমি করে বলে না। আমার মতো সাজপোশাকের একজন মানুষ অবলীলায় তাকে তুমি বলছে এটা তার পক্ষে হজম করা কঠিন।
মেয়ের মা বললেন, আচ্ছা, তুমি টুটুল না?
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.