শ্রীমতী রাধার শেষ সংবাদ pdf – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf – Sanjib Chattopadhyay

শ্রীমতী রাধার শেষ সংবাদ pdf - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf - Sanjib Chattopadhyay
শ্রীমতী রাধার শেষ সংবাদ pdf - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf - Sanjib Chattopadhyay

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এর রাধার জীবনে পরিণতি নিয়ে লেখা ঐতিহাসিক উপন্যাস Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf শ্রীমতী রাধার শেষ সংবাদ pdf ডাউনলোড করুন ও Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf পড়ুন।

শ্রীমতী রাধার শেষ সংবাদ pdf - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf - Sanjib Chattopadhyay
শ্রীমতী রাধার শেষ সংবাদ pdf – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf – Sanjib Chattopadhyay

Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf শেষ পৃষ্ঠায় লেখাঃ

বংশীধারী রাখালরাজা বৃন্দাবনে তাঁর গোপীকাবিলাস; কোথায় তাঁর হ্লাদিনী শক্তি শ্রীমতী রাধিকা! মিলন আর বিচ্ছেদের অনন্ত খেলা। প্রেম আর বিরহ—অপূর্ব এক লীলা। বৃন্দাবন থেকে কৃষ্ণ গেলেন মথুরায়। ‘বৃন্দাবন অন্ধকার’। ‘কানু! কানু!” বাঁশি আর বাজে না, কহে না রাই। তা হলে রাধার কী হল?

Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf নমুনাঃ

গোলোকে আজ মহা গোলযোগ। বসুন্ধরাকে নিয়ে দেবতারা সব আসছেন। তাঁরা এই মুহূর্তে রয়েছেন ব্রহ্মার দরবারে। পৃথিবীতে পাপ বেড়েছে। দৈত্যকুল সব ছারখার করে দিচ্ছে। এখন সেখানে ‘বরাহকল্প’। অসুরদের উৎপাতে সেখানে আর টেকা যাচ্ছে না। দেবতারা চিরকালই দুর্বল। তাঁরা ধরিত্রীমাতাকে নিয়ে ব্রহ্মসভায় ব্রহ্মার কাছে এসেছেন। দুর্গম পথ পেরিয়ে তাঁরা এসেছেন। ক্লান্ত, শ্রান্ত, উদ্বিগ্ন। একমাত্র স্রষ্টাই পারবেন সৃষ্টির বিনাশ ঠেকাতে। কেন তিনি অসুর সৃষ্টি করলেন— এ প্রশ্ন অবান্তর। কোনও কিছু সৃষ্টি করতে গেলেই অনাসৃষ্টি অবশ্যম্ভাবী। যেমন চিনির রস জ্বাল দিলেই গার্দা বেরোবে। ঘি জ্বাল দিলেই খানিকটা ছাঁচও হবেই।

আয়নার মতো – তন্দ্ৰা বন্দ্যোপাধ্যায় Aynar Moto by Tandra Bandyopadhyay

ব্রহ্মার সেই সভা দেখে দেবতারা থমকে গেছেন। বসে আছেন ঋষীন্দ্র, মুনীন্দ্র, সিদ্ধেন্দ্রগণ। ব্রহ্মার জ্যোতিতে চতুর্দিক আলোকিত। অপ্সরাগণ নৃত্য করছেন। ব্রহ্মার মুখমণ্ডলে মোলায়েম হাসি। নৃত্য উপভোগ করছেন। নর্তকীদের শরীরের সর্বত্রই আকর্ষণ। দৃষ্টি গেলে আর ফিরে আসে না। চতুর্মুখে ব্রহ্মা নৃত্য দর্শন করছেন। রোমাঞ্চিত শরীর। রোমাঞ্চের কারণ, তিনি মনে মনে কৃষ্ণনাম জপ করছেন। আটটি চোখেই আনন্দাশ্রু। দুটি মাত্র অক্ষর ‘কৃষ্ণ’, কিন্তু তিনি যে ‘পরব্রহ্ম’— সৃষ্টির আদি ও শেষ কথা। তিনি কোথায়? আছেন আরও
ঊর্ধ্বে, সৃষ্টির শেষ সীমায় ‘গোলোকে’, তারপরে আর কিছু নেই— হাহাকার শূন্য।

সেই আনন্দময় পরিবেশে পৃথিবী ও দেবগণ স্নান মুখে, জলভরা চোখে দাঁড়িয়ে আছেন। রসভঙ্গ দৃশ্য। ব্রহ্মার ইঙ্গিতে নৃত্যগীত সাময়িকভাবে বন্ধ হল। পৃথিবী ও দেবগণ যথাবিহিত বন্দনা ও প্রণামাদি করে বসুন্ধরাকে সামনে এগিয়ে দিলেন। বিধ্বস্ত তাঁর চেহারা। দু’চোখে জল। ব্ৰহ্মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছে তোমার? সসাগরা পৃথিবী তুমি, আমার সকল সৃষ্টির আশ্রয়। এ কী চেহারা হয়েছে তোমার? কাঁদছ কেন? Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf পড়ুন।

দেবতারা সমস্বরে বললেন, ‘অত্যাচার, অত্যাচার। ক্ষত, বিক্ষত। দানব আর দৈত্যের দল পৃথিবীকেই পৃথিবী ছাড়া করতে চাইছে। তাদের উৎপাতে আপনার সৃষ্টি একপাশে কাত হয়ে পড়েছে। মা আর এই অত্যাচার সহ্য করতে পারছে না। তাই আমরা সুদিনের প্রত্যাশায় সদলে আপনার কাছে এসেছি।

ব্রহ্মার কোনও উত্তেজনা নেই। না থাকাটাই স্বাভাবিক। তিনিই তো স্রষ্টা। ধ্বংস করে দিতে কতক্ষণ! মহেশ্বরকে বলে দিলে, নিমেষে সব শেষ। ব্রহ্মা বললেন, ‘তোমরা আগে সুস্থির হয়ে বোসো। অত উতলা হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমার কাছে যখন এসেছ ব্যবস্থা একটা হবেই। বুঝতে পেরেছি। পাপের মাত্রা বেড়েছে।
ব্রহ্মা অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে দেবতাদের দিকে তাকালেন, যার অর্থ, তোমরা কী করছ? ব্রহ্মা বিষণ্ণ বসুধাকে প্রশ্ন করলেন, ‘বলো তো মা, তুমি কাহাদের ভারবহনে অশক্তা? আমি অবশ্যই তাদের সরিয়ে দেব। তোমার ভার কমবে। মঙ্গল হবে তোমার।’

২৫টি দম ফাটানো হাসি pdf – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় 25ti Sera Hasi pdf | Sanjib Chattapadhyay

বসুধা একটু ইতস্তত করে বললেন, ‘প্রভু, কী আর বলব। ভয় করছে।’
“ভয় করছে কেন? তুমি রয়েছ ব্রহ্মলোকে। তুমি আমাকে বলবে। এখানে দানব, মানব কেউই তো নেই।’
‘প্রভু! দানবদের তো পার আছে। দানব দানবদের মতো আচরণ করবে, বলার কিছু নেই। কিন্তু মানবদের আচরণে অবাক হয়ে যাচ্ছি।’
“তুমি নির্ভয়ে বলো। মানুষ যে আমাদের সৃষ্টির গর্ব, আমাদের গৌরব। পৃথিবী এবং পৃথিবীর বাইরের উপাদানে তৈরি।’

লোটাকম্বল pdf – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Lota Kombol pdf – Sanjib Chattopadhyay

পিতা, আপনি আমার একান্ত আপনজন। আপনি আমার একমাত্র সুহৃদ। আপনাকে আমার দুঃখের কথা অকপটে বলা যায়। তালিকা যদিও বেশ দীর্ঘ। প্রথম কথা, যারা কৃষ্ণভক্তিবিহীন, যারা কৃষ্ণভক্তের নিন্দুক, আমি সেই মহাপাতকীদের ভার বহন করতে পারব না। এদের দলে আছে তারা, যারা ধর্মাচরণ করে না। সন্ধ্যাদি নিত্যকার্য বর্জিত, বেদে শ্রদ্ধাহীন। এর পরেই আছে তারা, যারা পিতা, মাতা, গুরু, স্ত্রী, পুত্র ও পোষ্যদের পোষণ করে না, তাদের ভার আমি বহন করব না। যারা দয়াধর্ম রহিত, মিথ্যাবাদী, গুরু ও দেবতাদের নিন্দা করে, তাদের ভার আমার কাছে অসহ্য। যারা মিত্রদ্রোহী, কৃতঘ্ন, মিথ্যাসাক্ষ্যদাতা, বিশ্বাসঘাতক, ধনাপহারী, তাদের ভার আমার পীড়ার কারণ। দীর্ঘ তালিকা, আমি আগেই বলেছি। পিতা ধৈর্য হারাবেন না।

Shrimoti Radher Sesh Sangbad pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply