আমাকে দেখুন pdf – প্রফুল্ল রায় – Amake Dekhun pdf – Prafulla Roy

আমাকে দেখুন pdf - প্রফুল্ল রায় - Amake Dekhun pdf - Prafulla Roy
আমাকে দেখুন pdf - প্রফুল্ল রায় - Amake Dekhun pdf - Prafulla Roy

প্রফুল্ল রায় এর Amake Dekhun pdf আমাকে দেখুন pdf চার পর্ব একত্রে ডাউনলোড করুন ও Amake Dekhun pdf পড়ুন।

আমাকে দেখুন pdf - প্রফুল্ল রায় - Amake Dekhun pdf - Prafulla Roy
আমাকে দেখুন pdf – প্রফুল্ল রায় – Amake Dekhun pdf – Prafulla Roy

Amake Dekhun pdf আমাকে দেখুন pdf ভূমিকাঃ

ষাটের দশকের বেশ কয়েকটা বছর আমার বোম্বাইতে কেটেছে। থাকতাম মূল শহর থেকে অনেকটা দূরে— জুহু তারা রোডের এক সম্ভা গুজরাতি হোটেলে। সামনেই জুহুর ভুবন বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত। বত্রিশ বছর আগে শহরতলির এই অংশটা ছিল ভারি নির্জন। আদিগন্ত আরব সাগর, মাইলের পর মাইল জুড়ে সোনালি বালুকাবেলা, অজস্র সি-গাল পাখি, সমুন্নত নারকেল গাছের অফুরন্ত লাইন— এই নিয়ে ছিল সেদিনের নয়ন ভুলানো জুহু। এখনকার মতো অগুনতি ফাইভ স্টার হোটেল আর হাই-রাইজে জায়গাটা ছয়লাপ হয়ে যায় নি।

ঠাকুরবাড়ির আঙিনায় pdf – জসীম উদদীন Thakur Barir Anginay pdf – Jasim Uddin

রোজ সূর্যোদয়ের অনেক আগে জুহু বিচে বেড়াতে যাওয়াটা ছিল আমার এক প্রিয় অভ্যাস। আমি সেখানে পৌঁছতে না পৌঁছতেই স্বাস্থান্বেষীরা টাটকা দূষণমুক্ত বাতাসের সন্ধানে হাজির হয়ে যেত। তার আগেই এসে গেছে ঘোড়াগুলারা, বায়ুসেবীদের জয়- রাইডের জন্য তারা তাদের ঘোড়াগুলোকে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখত। খোলা আকাশের নিচে ওই সাত সকালেই বসে যেত ‘নারিয়েল পানি’, ভেলপুরি, বাটাটা পুরি আর চায়ের অস্থায়ী দোকান।

বোম্বাই দেশের পশ্চিম প্রান্তে, তাই সূর্যোদয়টা হয় অনেক দেরিতে। সমুদ্র তীরে ঘণ্টাদেড়েক হাঁটাহাঁটির পর রোদ উঠত। আমার চেনা জানা একটা চাওলা ছিল। তার কাছে লেমন-টি পাওয়া যেত। রোজ প্রাতঃভ্রমণের পর সেখানে কাগজের গেলাসে চা খেয়ে হোটেলে ফিরতাম। এই চায়ের দোকানেই ডি সিলভার সঙ্গে আমার আলাপ। লোকটা গোয়াঞ্চি পিদ্রু অর্থাৎ গোয়ার কৃশ্চান। বয়স পঁয়ত্রিশ ছত্রিশ, দুর্দান্ত চেহারা, পেটানো স্বাস্থ্য। তার চোখেমুখে সর্বক্ষণ কথার খই ফুটত। নেচে কুঁদে এমন অঙ্গভঙ্গি করত যে হাসতে হাসতে পেটে খেল ধরে যাবার জোগাড়। সিনেমায় নামলে নাম করা কমেডিয়ানদের সে নাক কেটে দিতে পারত। যতদিন যাচ্ছিল সে আমাকে তীব্রভাবে আকর্ষণ করছিল। পরিচয়টা একটু গাঢ় হলে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘তুমি কী কব?’

ডি-সিলভা বলেছে, ‘আমি হোল-টাইম ফোরটোয়েন্টি।’
এমন একটা প্রফেশন কারো হতে পারে তা যেন ভাবাই যায় না। বিমূঢ়ের মতো বলেছি, ‘তার মানে?’
‘মানে আবার কী, ভেরি সিম্পল। যা বললাম সেটা পাঁচ বছরের বাচ্চাও বুঝতে পারে।’ বলেই অদ্ভুত একটা প্রশ্ন করেছে ডি-সিলভা, ‘বোম্বাই সিটিতে কত লোক থাকে বলতে পার?’

তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১২৭ pdf (অমঙ্গলের ছায়া, খুনি লাশ, ড্রাগনরাজার দেশে) – শামসুদ্দীন নওয়াব Tin Goyenda Volume 127 pdf – Shamsuddin Nowab

সেই তেষট্টি চৌষট্টিতে বোম্বাইতে জনসংখ্যা ছিল ষাট লাখের মতো। তাই বললাম। ডি-সিলভা এবার বলেছে, ‘এই ষাট লাখের ভেতর চল্লিশ লাখ গাধা নেই?’ তার এই প্রশ্নটির অন্তর্নিহিত ইঙ্গিতটা বুঝতে অসুবিধা হয় নি। বলেছি, ‘তা আছে।’ ‘রোজ এদের একেক জনের মাথায় একটা করে টুপি পরালে আমার লাইফটা ফাইন কেটে যাবে, বুঝলে?’ বলে চোখ টিপেছে ডি-সিলভা। পরক্ষণে কী ভেবে শশব্যস্তে বলে উঠেছে, ‘তবে আমি গরিবদের কখনও পথে বসাই না।’

Amake Dekhun pdf সম্পর্কে কিছু কথাঃ

‘আমাকে দেখুন’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র পিটার স্বয়ম্ভু হোড় একজন ছোটখাটো ফেরেববাজ। দিনের পর দিন নতুন ফন্দি বের করে সে লোক ঠকায়। এটাই তার পেশা। এইভাবে যা জোটাতে পারে নিজের প্রয়োজনটুকু মিটিয়ে বাকি সব বিলিয়ে দেয়। সঞ্চয় করাটাকে সে ঘৃণা করে। স্বয়ম্ভু নানা কৌশলে মাঝে মাঝে উঁচু উঁচু মহলে ঢুকে পড়ে। নিজে সে সামান্য প্রতারক। কিন্তু রাজনীতি, ধর্ম, শিল্পবাণিজ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুর্নীতিপরায়ণ বিরাট মাপের যে-সব ধূর্ত হাঙরেরা বিরাজ করছে এবং দেশকে সর্বনাশের পথে নিয়ে চলেছে, স্বয়ম্ভু তাদের স্বরূপ উন্মোচন করতে করতে এগিয়ে চলে। হাসি এবং কৌতুকের মোড়কে ‘আমাকে দেখুন’ এই সময়ের আশ্চর্য দর্পণ।

Amake Dekhun pdf নমুনাঃ

এই যে মহাশয়গণ, আমি এখানে বসে আছি। অনুগ্রহ করে আমার দিকে একটু তাকান। আপনারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন, দেখতে শুনতে আমি ভালই। শুদ্ধ ভাষায় যাকে সুপুরুষ বলে আমাকে তা-ই বলতে পারেন! বঙ্গসন্তানদের মধ্যে এ রকম চেহারা আপনারা খুব বেশি দেখেন নি।
হে-হে, আপনারা হয়ত ভাবছেন নিজের ঢাক আমি নিজেই পিটিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কথাটা হানড্রেড পারসেন্ট সত্যি।
আমার বয়েস কত মনে হয়? জানি, বলবেন বত্রিশ তেত্রিশ। না মহাশয়রা, আপনাদের অনুমান সঠিক নয়। বছর চারেক আগেই আমি চল্লিশ পেরিয়েছি।

দেখতেই পাচ্ছেন সাধারণ বাঙালির তুলনায় আমি অনেক বেশি লম্বা, পাক্কা ছ’ফুট দেড় ইঞ্চি হাইট। মেরুদণ্ড শক্ত এবং টান-টান। নাক-মুখ-থুতনি কাটা কাটা। নিষ্পাপ শিশুর মতো বড় বড় চোখ আমার, জোড়া ভুরু, চওড়া কাঁধ এবং ঈষৎ পুরু ঠোঁট। গায়ের রং পালিশ করা ব্রোঞ্জের মতো। একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমার চোখের তলায়, ঘাড়ে, গলায় এবং পেটে কিছু চর্বি জমেছে। হে-হে মহাশয়গণ, বুঝতেই পারছেন এটা অতিরিক্ত মদ্যপানের ফল। মদটা মানে কালীমার্কা বাংলা মাল অর্থাৎ ধান্যেশ্বরী, সোজা কথায় ধেনো আর কি–আমি একটু বেশি পরিমাণেই সেবন করে থাকি।

গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস সাক্ষাৎকার সংগ্রহ pdf – উৎপল ভট্টাচার্য Sakshatkar Sangrah pdf – Gabriel García Márquez

আরো একটা ব্যাপার নিশ্চয়ই আপনাদের নজরে পড়েছে। আমার চোখের তারায়, ঠোঁট আর থুতনির খাঁজে আবছাভাবে একটা হাসি আটকানো। হাসিটা কৌতুকের, নাকি নষ্টামির ? এটা কিন্তু এত সহজে বোঝা যাবে না। তার জন্যে আপনাদের কিঞ্চিৎ ধৈর্যধারণ করতে হবে। সে যাক, আপনাদের চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছে, আমাকে আপনাদের ভালই লাগছে। লাগবারই কথা। মহাশয়গণ, নিজেকে আমার নিজেরই ভাল লাগে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একেক দিন আমি আর চোখ ফেরাতে পাবি না। নিজের অজান্তেই তখন নার্সিসাস না কী যেন, হে হে, তা-ই হয়ে যাই।

এই যে আমার চেহারাখানা দেখছেন-এটা আমার ক্যাপিটাল, মানে মূলধন। দরকার হলেই এটাকে আমি কাজে লাগিয়ে থাকি। আচ্ছা, আমাকে দেখে আপনাদের কী ধারণা হচ্ছে? এর উত্তর কী হতে পারে, আমি জানি। আপনারা হয়ত বলবেন, একবার দেখেই কারো সম্বন্ধে কোনরকম ধারণা করা যায় নাকি? তবু জানি মহাশয়গণ, আমার মদ্যপানের স্বীকারোক্তি শোনার পরও আপনাবা আমাকে অ্যাঞ্জেল-ট্যাঞ্জেল ঠাউরে নিয়েছেন। ঝামেলাটা এইখানেই। বাইরে থেকে আচমকা দেখলে আমার মতো সরল নিষ্পাপ পবিত্র মানুষ আর হয় না। কিন্তু একবার যদি আমার ভেতরটা দেখতে পেতেন! কিন্তু বলামাত্রই কি আর তা দেখা যায়?

Amake Dekhun pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply