চাঁপা ডাঙার বউ pdf – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Chapa Dangar Bou pdf – Tarashankar Bandopadhyay

চাঁপা ডাঙার বউ pdf - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Chapa Dangar Bou pdf - Tarashankar Bandopadhyay
চাঁপা ডাঙার বউ pdf - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Chapa Dangar Bou pdf - Tarashankar Bandopadhyay

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর চিরায়ত উপন্যাস Chapa Dangar Bou pdf চাঁপা ডাঙার বউ pdf ডাউনলোড করুন ও Chapa Dangar Bou pdf পড়ুন।

চাঁপা ডাঙার বউ pdf - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Chapa Dangar Bou pdf - Tarashankar Bandopadhyay
চাঁপা ডাঙার বউ pdf – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Chapa Dangar Bou pdf – Tarashankar Bandopadhyay

Chapa Dangar Bou pdf চাঁপা ডাঙার বউ pdf লেখক পরিচিতিঃ

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বিংশ শতাব্দীর একজন বিশিষ্ট বাঙালি কথাসাহিত্যিক ছিলেন। তাঁর লেখায় বিশেষভাবে পাওয়া যায় বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বাগদি, বোষ্টম, বাউরি, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল সম্প্রদায়ের কথা। ছোট বা বড় যে ধরনের মানুষই হোক না কেন, তারাশঙ্কর তাঁর সব লেখায় মানুষের মহত্ত্ব ফুটিয়ে তুলেছেন, যা তাঁর লেখার সবচেয়ে বড় গুণ। সামাজিক পরিবর্তনের বিভিন্ন চিত্র তাঁর অনেক গল্প ও উপন্যাসের বিষয়। সেখানে আরও আছে গ্রাম-জীবনের ভাঙনের কথা, নগর-জীবনের বিকাশের কথা। তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে ৬৫টি উপন্যাস, ৫৩টি গল্পগ্রন্থ, ১২টি নাটক, ৪টি প্রবন্ধের বই, ৪টি আত্মজীবনী এবং ২টি ভ্রমণ কাহিনী। এই বিশিষ্ট সাহিত্যিক রবীন্দ্র পুরস্কার, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, জ্ঞানপীঠ পুরস্কার এবং পদ্মভূষণ পুরস্কারে পুরস্কৃত হন।

Chapa Dangar Bou pdf নমুনাঃ

দেবগ্রামের পথে পাশের বড় গ্রাম হইতে গাজনের সঙ আসিয়া হাজির হইয়াছে। এর কজন ঢাকী বড় একখানা ঢাক নাচিয়া নাচিয়া বাজাইতেছে। তাহার সঙ্গে কাঁসি ও শিঙা। দলটাকে অনেক দূরে দেখা যাইতেছে। দেবগ্রামে গাজন নাই। নবগ্রামের গাজনও এ গ্রামে আসে না। এবার ব্যাপারটা নতুন।
দক্ষিণ পাড়ার মণ্ডলবাড়ি হইতে বাহির দরজায় বধু দুটি ছুটিয়া আসিয়া দাঁড়াইল।

গ্রামের সবচেয়ে সমৃদ্ধ মণ্ডলবাড়ি। মাটির ঘর, টিনের চাল, পাকা মেঝে। বারান্দায় সুন্দর গড়নের কাঠের খুঁটি। সেতাব ও মহাতাপ মণ্ডলের বাড়ি। বধূ দুইটি দুই ভায়ের স্ত্রী কাদম্বিনী ও মানদা কাদম্বিনী ঈষৎ দীর্ঘাঙ্গী, স্ত্রী এবং শ্যামবর্ণে চমৎকার লাবণ্যময়ী মেয়ে। মানদা মাথায় খাটো, একটু স্থূলাঙ্গী। কাদম্বিনী নিঃসন্তান, বয়স চব্বিশ-পঁচিশ মানদার বয়স সতের আঠের-একটি সন্তানের জননী মানদা।

ছোটদের ভালো ভালো গল্প pdf – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Chotoder Valo Valo Golpa pdf by Tarashankar Bandyopadhyay

ওদিকে গাজনের সঙের দল অন্য একটা রাস্তায় ভাঙিয়া ঢুকিয়া যাইতে শুরু করিল। ঢাকের বাজনার শব্দ বাঁকের আড়ালে পড়িয়া কম হইয়া আসিল।
মানদা বলিল, মরণ। ও রাস্তায় ঢুকে গেল যে মড়ার দল।
কাদম্বিনী গবেষণা করিয়া বলিল, বোধহয় ও পাড়ায় মোটা মোড়লের বাড়ি গেল। -মোটা মোড়লের বাড়ি? কেন? আমাদের বাড়ির চেয়ে মোটা মোড়লের খাতির বেশি নাকি?

তা বয়সের খাতির তো আছে। তা ছাড়া দিতে ধুতে মোটা মোড়লের নাম যে খুব। ঠোঁটে পিচ কাটিয়া মানদা বলিল, নাম। বলে যে সেই ভেতরে ছুঁচোর কেত্তন, বাইরে কোঁচার পত্তন, তাই। এদিকে তো দেনায় শুনি একগলা জল। বাইরে দেওয়া- থোয়ার নাম।
কাদম্বিনী একটু শাসনের সুরেই বলিল, ছি, এমন করে কথা বলে না। হাজার হলেও মান্যের লোক। এখন চল, হাতের কাজ সেরে নিই। গাঁয়ে যখন এসেছে তখন এদিকেও আসবে।
তাহারা বাড়ির মধ্যে ঢুকিয়া গেল।

প্রথমেই গোশালা। গরুগুলি চালায় বাঁধা। দ্বিপ্রহরের রৌদ্রের মধ্যে শুইয়া আছে, রোমন্থন করিতেছে, কেটা রাখাল গরুর গায়ে তাকিয়ার মত হেলান দিয়া ঘুমাইতেছে। তাহার পর খামার বাড়ি।
খামার বাড়িতে ঢুকিতেই এক কলি গান ও দুপদুপ শব্দ শুনিতে পাওয়া গেল। গমের উপর বাঁশ পিটিয়া গম ঝরাইতে ঝরাইতে কৃষাণটা গান করিতেছে-

“চাষকে চেয়ে গোরাচাঁদের মান্দেরী ভাল।”
গমের চারিপাশে পায়রা জমিয়া গম খাইতেছে।

কাদম্বিনী ফিক করিয়া হাসিয়া বলিল, কেন রে নোটন, এত আক্ষেপ কেন? জিভ কাটিয়া নোটন বলিল, আজ্ঞে মুনিব্যান?
-চাষের চেয়ে মান্দেরী ভাল বলছিস?
-আজ্ঞে মুনিব্যান, মান্দেরী হলে কি আজ আর গম ঝরাতাম গো। চলে যেতাম গাজনের ধুম দেখতে।
মানদা বলিল, এবার গাজনের ধুম যে দেখি খুব নোটন। দুখানা গেরাম পার হয়ে আমাদের গাঁয়ে এল।
-সে তো আমাদের ছোট মোড়লের কাণ্ড গো। তুমিই তো ভাল জানবে ছোট মুনিব্যান। কাদম্বিনী সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিল, কার? মহাতাপের?

-হাঁ গো। আজ কদিন সে হোথাকেই রয়েছে।
-সে কি? সে যে গেল শ্বশুরকে দেখতে! মানুর বাপের অসুখ-
মানদা তাহার দিকে অগ্নিদৃষ্টি হানিয়া বলিল, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না বড়দি। শুধু শুধু আর মিছে কথাগুলো বোলো না তুমি!
-মানু! কি বলছিস তুই?
-ঠিক বলছি গো, বড় মোল্যান। সে যে যায় নাই, তা তুমি জান । -আমি জানি?
– জান না? যদি না জান তবে আমার যাওয়া তুমি বন্ধ করলে ক্যানে?
-এই গরমে ছ ক্রোশ পথ খোকাকে নিয়ে যাবি, খোকার অসুখবিসুখ করবে, তাই বারণ করলাম। বললাম ঠাকুরপো দেখে আসুক।
-মিছে কথা আমি বুঝি। বুঝেছ, আমি সব বুঝি। আমার বাপের বাড়ি যাবে? তার চেয়ে চার দিন গাজনে নেশাভাঙ করুক, ভূতের নাচন নাচুক, সেও ভাল। আমি সব বুঝি।

ঔপন্যাসিক তারাশঙ্কর – ক্ষেত্র বসু Upanasik Tarashonkor pdf – Khetra Basu

মানদা হনহন করিয়া চলিয়া গেল খামার বাড়ি পার হইয়া বাড়ির ভিতর দিকে। খামার বাড়ির ওদিকে পাঁচিলের গায়ে একটা দরজা। সেই দরজাটাকে সবলে ঠেলিয়া দিয়া ভিতরে ঢুকিয়া গেল। কাদম্বিনী দাঁড়াইয়া রহিল। খানিকটা ভাবিয়া দেখিয়া বলিল, তুই ঠিক জানিস নোটন, ছোট মোড়ল আজ কদিন নবগ্যেরামের গাজনে মেতে সেইখানেই রয়েছে?
-এই দেখ! আমি নিজে চোখে দেখে এসেছি গো। রোজ দেখা হচ্ছে।
-বলিস নাই ক্যানে?
-তার আর বলব কি বল? আর কি বলে, ছোট মোড়ল বললে-নোটন, বলিস না বাড়িতে, তা হলে দোব কিল ধমাধম । ছোট মোড়লের কিল বড় কড়া, তেমুনি ভারি, আষিঢ়ে তাল ।
-হুঁ। কাদম্বিনী বাড়ির দিকে অগ্রসর হইল।
নোটন পিছন হইতে বলিল, বড় মোল্যান! -কি?
– ছোট মোড়ল কিন্তু চাঁপাডাঙা গিয়েছিল।

Chapa Dangar Bou pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply