রূপসী বিহঙ্গিনী pdf – তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Rupashi Bihangini pdf – Tarasankar Bandyopadhyay

রূপসী বিহঙ্গিনী pdf - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Rupashi Bihangini pdf - Tarasankar Bandyopadhyay
রূপসী বিহঙ্গিনী pdf - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Rupashi Bihangini pdf - Tarasankar Bandyopadhyay

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর Rupashi Bihangini pdf রূপসী বিহঙ্গিনী pdf ডাউনলোড করুন ও Rupashi Bihangini pdf পড়ুন।

রূপসী বিহঙ্গিনী pdf - তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় Rupashi Bihangini pdf - Tarasankar Bandyopadhyay
রূপসী বিহঙ্গিনী pdf

Rupashi Bihangini pdf রূপসী বিহঙ্গিনী pdf নমুনাঃ

ঈশ্বর তুমি বলো। হে ঈশ্বর। শেষ প্রশ্ন করলে সচন্দ্রা। খুব ভোরবেলা। শেষরাত্রির শেষ লগ্ন – ভোরবেলাও ঠিক বলা চলে না। চারটে বাজে-বাজে । অন্ধকার সবে ফিকে হতে শর করলেও আকাশের রঙ তখনও গাঢ়, তারা ফুটে রয়েছে। দুটি চারটি নিভেছে। পূর্ব দিকে শুকতারা এখনও খুব উজ্জ্বল। পাখীরা ঘুম ভেঙ্গে তাদের সেই প্রথম কলকলে ডাক এখনও ডেকে ওঠেনি। আকাশে চাঁদ নেই। পক্ষটা শত্রুপক্ষ। পৃথিবীতে এ সময় আশ্চর্য পিতা। সেই স্তব্ধতা ভঙ্গ করে জেলখানাটা জেগে উঠল।

ভূত-শিকারি মেজকর্তা এবং pdf – প্রেমেন্দ্র মিত্র Vut Shikari Mejo Korta Ebong pdf – Premendra Mitra

জেলখানার অফিস-ঘরে আলো জ্বলছে। সাড়া পাওয়া যাচ্ছে দে কণ্ঠের। জেলখানার গেটে পর পর দুটো ফটক থাকে; একটা ভিতরের দিকে, একটা বাইরের দিকে। ভিতরের দিকে ফটকটার লোহার পাটী এবং রড দিয়ে তৈরি পাল্লা দুটোর একটার গায়ে একটা ছোট দরজা আছে। সেটা খুলে গেছে। আপিস ঘর থেকে একজন সেনট্রি ভিতরে ঢুকে গেল। ভারী মজবুত বুট পরা বলিষ্ঠ পায়ের শব্দ বাজতে বাজতে দূরে চলে গেল ভিতরের দিকে। Rupashi Bihangini pdf পড়ুন।

ওয়ার্ড’গুলি তালা বন্ধ। বাইরে সেটি ঘুরেছে। রোজই ঘোরে। কিন্তু আজ যেন তার মধ্যে একটা বাড়তি কিছ, বা নতুন কিছু বা অস্বাভাবিক কিছ, রয়েছে। ওয়ার্ডে’র ভিতরে কয়েদীদের জেগে ওঠার সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এত ভোরে তারা জাগে না। শেষরাতের ঘুমে মৌজ আছে। সে ঘুমও তাদের ভেঙে গেছে। মনের ভিতর থেকে কে যেন খোঁচা দিয়ে ঘুমন্ত মনকে জাগিয়ে দিয়েছে।
আজ একজনের ফাঁসী হবে। কাল সন্ধ্যেবেলাতেই কথাটা কেমন করে কানাকানি ফিসফাসের মধ্য দিয়ে সকলে জেনে গেছে।

কিন্তু ফাঁসী কমেছে। একটা নাড়তে চান না। মধ্যে মধ্যে নিরুপায় ফাঁসী হয়। এমন ফাঁসী আজকাল কম হয়। খুনে কমেনি, বিচারকেরা মৃত্যুদণ্ড দেবার অধিকারটিকে বড়জারীদের কাছে বেনিফিট অব ডাউট। তব্দ হতে হয় জারীদের; জজের হাত শক্ত হয়ে ওঠে। ক্ষেত্রে একটা অস্বস্তি, গ্রীষ্ম-বর্ষার গুমোটের মত শীতকালের শেষ- রাত্রির কনকনে হিমের মত সমস্ত জেলখানা জুড়ে সঞ্চারিত হয়। ফাঁসী কবে হবে—তার তারিখ, কর্তৃপক্ষ গোপনই রাখেন—গোপন রাখাই নিয়ম, কিন্তু বিচিত্রভাবে সারা জেলখানা আগের দিন সন্ধ্যায় ঠিক জেনে যায় যে, কাল ভোরে ফাঁসী হবে খুনি আসামীটির! এবং সেদিন ভোরবেলা ঠিক তারা জেগে ওঠে। তালা বন্ধ ওয়ার্ডের মধ্যে তারা নিঃশ্বাস বন্ধ করে জেগে থাকে। বাইরে যথাসময়ে সেনট্রিরা চলাফেরা করে কিন্তু তার মধ্যে থেকেই তারা বুঝতে পারে, সেনট্রিদের বুটের শব্দের মধ্যে যেন তাল কেটে যাচ্ছে।

জগ​ৎ শেঠের রত্নকুঠী pdf – হেমেন্দ্রকুমার রায় Jagat Sether Ratnakuthi pdf – Hemendra Kumar Ray

ঠিক যেন তালে তালে লেফট, রাইট হচ্ছে না। কখনও আবার কাঁকরের উপর বট শদ্ধ পা যেন ফসকে টলে যাচ্ছে। আজকের উৎকণ্ঠা অশ্বস্তির জন্য যেন নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। ফাঁসীর আসামী আজ একজন মেয়ে। রূপসী মেয়ে, যুবতী মেয়ে। সম্ভবতঃ। কারণ এরা তাকে চোখে কেউ দেখেনি সে থাকে জেনানা ফটকে – ফিমেল ওয়ার্ডে। খুন করেও ‘এ’ ক্লাসের আসামী। একটা স্বতন্ত্র ঘরে থাকে। গোটা বিচারের কালটা নাকি সে দামী দামী কাপড়-জামা পরেছে। তার চাল-চলন সম্পর্কে হাজার গল্প তৈরী হয়েছে কয়েদীদের মধ্যে। কেউ বলেনি, যে দেখেছে তাকে, তব, ধারণা- সে রপসী, সে ফুবতী।

মেয়েটি রপসী কি রূপসী নয়, যবর্তী কি যুবতী নয়- এ নিয়ে প্রশ্নই নেই। না দেখেও এটা সকলের কাছে স্বীকৃত সত্য। রূপ যৌবন – তার সঙ্গে একটি খ্যাতি একসঙ্গে মিলে তাকে কাহিনীর কন্যার মত লালসাময়ী করে তুলেছে। লক্ষহীরা গল্পের নায়িকার মত। লক্ষহীরার মত সেই মেয়েটিও বেশ্যা। লালসার মূল উৎস বোধহর সেইখানে। এরপর মেয়েটি খ্যাতিমতী গাইয়ে এবং নাচিয়ে। লালসার জল এখানে কানায় কানায় ভরে উঠেছে। প্রশ্রয় পেয়েছে, পে হয়েছে। এরপর মেয়েটির নামটি লক্ষহীরা নামের মতই বিচিত্রভাবে বর্ণোজ্বল এবং মিষ্ট।

নাম তার বিহঙ্গিনী। শব্দে বিহঙ্গিনী নয়, পরে ভক্তের দল একটি বিশেষণও তাকে ভূষিত করেছিল। বলত – রূপসী বিহঙ্গিনী। সন্দের রূপ এবং সন্দের কণ্ঠ- একসঙ্গে একত্রে এক নারীদেহে বাসা বেধেছে ‘এখানে যেন অকস্মাৎ উছলে —কানা ছাপিয়ে উপচে পড়েছে। ময়না-টিয়া-কোয়েল পাপিয়া ‘বউ কথা কও, পর্যন্ত যত মিষ্টি ডাকিয়ে পার্থী যেন একজোট হয়ে তার মধ্যে একটি নারীরূপ নিয়েছে বলে তাদের মনে হয়। সুতরাং জীবনোল্লাস উপচে পড়ে। উপচে পড়ার মধ্যে অপচয়ের অর্থ আছে। কিন্তু অপচয়েও বিহঙ্গিনীর লালসার আকর্ষণ একবিন্দ, কমে না। সেকালে বালকদের গল্পের মধনু দাদার অক্ষয় দধিভাডটির মত উল্টে পড়েও কানায় কানায় পরি- পূর্ণ থাকে।

বিহঙ্গিনী যার নাম তার চলনে আছে ময়ূরীর নাচের ছন্দ (ময়রের বলাই উচিত, তব, লোকেরা বলতে চায় ময়ূরী) তার কথায় কন্ঠম্বরে আছে কোকিলের সর, ‘বউ কথা কও’ পাখীর গান, এবং বেশভুষা প্রসাধন সমেত তার চেহারার মধ্যে আছে হলদে- মনি পাথীর মতই অপরূপ রূপ। রেকর্ডে বিহঙ্গিনী সেনের একখানা বিখ্যাত গান আছে ‘এলানো অলক ভুবন ভুলানো— কবরী বেঁধো না সখী’। তা থেকে মনে হয় রূপসী বিহঙ্গিনীর পিঠের উপরে পড়ে আছে একরাশি শ্যাম্প করা রেশমের মত কালো চুল। এইখানে আর কোন পাখাঁর কথা মনে হয় না। মনে হয় একটি মেয়েকে। একটি অপরূপ লালসাময়ী মেয়ে। নাম তার রূপসী বিহঙ্গিনী। Rupashi Bihangini pdf পড়ুন।

Rupashi Bihangini pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply