কি করে ভুলি pdf – শেখ আব্দুল হাকিম Ki Korey Bhuli pdf – Sheikh Abdul Hakim

কি করে ভুলি pdf - শেখ আব্দুল হাকিম Ki Korey Bhuli pdf - Sheikh Abdul Hakim
কি করে ভুলি pdf - শেখ আব্দুল হাকিম Ki Korey Bhuli pdf - Sheikh Abdul Hakim

শেখ আব্দুল হাকিম সেবা রোমান্টিক উপন্যাস Ki Korey Bhuli pdf কি করে ভুলি pdf ডাউনলোড করুন ও Ki Korey Bhuli pdf কি করে ভুলি pdf পড়ুন।

কি করে ভুলি pdf - শেখ আব্দুল হাকিম Ki Korey Bhuli pdf - Sheikh Abdul Hakim
কি করে ভুলি pdf – শেখ আব্দুল হাকিম Ki Korey Bhuli pdf – Sheikh Abdul Hakim

Ki Korey Bhuli pdf কি করে ভুলি pdf কাহিনিঃ

মায়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে ও— মিনতি এখন প্রখ্যাত মঞ্চাভিনেত্রী। প্রতিভাবান এক তরুণ চিত্র-পরিচালক কাফি চৌধুরীর চোখে পড়ে শেল। ছবি তৈরি করবে ওকে নিয়ে…শুধু তাই নয়, আরও অনেক স্বপ্ন দেখতে শুরু করল কাফি! কিন্তু মিনতির হৃদয় যে এক তরুণ চিত্রকরের দখলে । ভালবাসে ওরা পরস্পরকে কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন প্রত্যাখ্যান করল ওকে চিত্রকর-অকারণে। কোনওদিকেই তো আর কূল দেখা যাচ্ছে না!

Ki Korey Bhuli pdf কি করে ভুলি pdf নমুনাঃ

চিলেকোঠায় আলো জ্বলছে, তার আভা এসে পড়েছে বাগানে, ছাদের কিনারায় রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে দূরে তাকিয়ে রয়েছে লিয়া । হোস্টেল থেকে পালিয়ে এসে কোন লাভ হয়নি, বাড়িতেও জীবনটা তার একঘেয়ে হয়ে উঠেছে, মন খারাপের সেটাই কারণ। আজাদ ভাইয়া নিজেকে নিয়ে এত ব্যস্ত, তার উপস্থিতি অনেক সময় টেরই পায় না! সেজন্যেই অস্থির মনটাকে শান্ত করার জন্যে আজ বিকেলে হোটেল মাধবীতে বনিতা ইসলামের সঙ্গে গল্প করতে গিয়েছিল সে। ভদ্রমহিলাকে খুব ভাল লেগে গেছে লিয়ার, তিনিও তাকে পছন্দ করেছেন বলেই মনে হলো। ফ্যাশন ও ড্রেস মেকিং সম্পর্কে আলাপ করেছে ওরা, তারপর কথায় কথায় বনিতা আণ্টি তাকে মিনতি আর পরিচালক কাফি চৌধুরীর সম্পর্কটা ব্যাখ্যা করে বোঝালেন। সম্পর্কটা রোমান্টিক, তাঁর আশা সেটা শুভ পরিণয় পর্যন্ত গড়াবে।

পুতুল নাচের ইতিকথা pdf – মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায় Putulnacher Itikatha pdf – Manik Bandopadhyay

আরও বললেন, অল্পে তিনি তুষ্ট নন, মেয়ের জন্যে নামকরা একজন পরিচালককেই স্বামী হিসেবে চান। লিয়া আধুনিক মেয়ে, এ-কথা শুনে নিজের প্রেস্টিজ রক্ষার জন্যে কিছু একটা বলার তাগিদ অনুভব করে সে। এখনই নাম করেনি, এমন একজন আর্টিস্টের সঙ্গে তার বিয়ে হবে, এ-কথা বলতে তার ভাল লাগেনি, তবে আর কি-ই বা বলার ছিল তার। কথাটা বনিতা আন্টিকে বলার পর নিজেকেও সে বিশ্বাস করাতে চেষ্টা করেছে।

চিলেকোঠায় শব্দ হতে চিন্তায় বাধা পড়ল। ছাদে বেরিয়ে এল আজাদ, হাতে চাদর মোড়া একটা পোঁটলা। ‘এতে কিছু খাবার জিনিস আছে, ঝিলামকে ডেকে নিয়ে যেতে বলো,’ কথাগুলো লিয়ার উদ্দেশে বলা হলেও, আজাদকে অনেক দূরের মানুষ মনে হলো, সে যেন এখনও বাড়িতে ফেরেনি। একটা বেতের চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়ে হোটেল মাধবীর দিকে তাকাল সে।

‘মনে হচ্ছে এখনও অন্য জগতে আছ । কি ব্যাপার, তোমাকে এত খুশি খুশি লাগছে কেন?
‘মিনতির আম্মি তোমার ড্রেস বানাচ্ছেন?’ ভাব দেখে মনে হলো লিয়ার প্রশ্ন আজাদ শুনতে পায়নি। এখনও ফয়েজ লেকে মিনতির সঙ্গে নৌকোয় রয়েছে সে। হোটেলে মিনতিকে নামিয়ে দেয়ার পর তাড়াতাড়ি বাগানে উঠে আসার একটা প্রবল ঝোঁক চাপে তার, আশা হোটেলের ঝুল বারান্দায় মিনতিকে দেখতে পাবে। এই মুহূর্তে নিজের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে। কি অর্থ এই আকর্ষণের? এ কি ভালবাসা?

ঝিলাম এসে খাবারগুলো নিয়ে গেল। একটু পর চা দিয়ে গেল সে। আজাদ ভাবল, অস্থির মনটাকে শান্তি করার একটাই উপায়, কাজের মধ্যে ডুবে যাওয়া। অনুপ্রাণিত বোধ করছে সে, নিজের সমস্ত মেধা ঢেলে আঁকবে মিনতিকে। সেই ছবিতে মিনতিকে পাবার যে আকুতি তার মধ্যে ক্রিয়াশীল তার সবটুকুর বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। আগের আইডিয়া বাতিল হয়ে যাওয়ায় মিনতির এই ছবিতে এখন মায়াময় কোমল হৃদয়ের ছোঁয়া থাকবে, থাকবে ভালবাসার হাতছানি।

হঠাৎ থমকে গেল মনটা। ভালবাসা? ওরা কি পরস্পরের প্রেমে পড়ে যাচ্ছে? দু’জনকে কেউ তারা অপছন্দ করছে না, এই অনুভূতি নিয়েই মেলামেশাটা চালিয়ে যাচ্ছিল সে, প্রেম-ভালবাসার কথা ভাবেনি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বাধ্য করছে আরও গভীরে তাকাতে। সে কি মিনতির প্রেমে পড়ে গেছে? ব্যাপারটা শুধুই শারীরিক আকর্ষণ নয়, তারচেয়ে বড় কিছু? না, শুধু শারীরিক আকর্ষণ নয়। তা যদি হত, স্বাদগ্রহণের সুযোগ পেয়েও সেটা হাতছাড়া করতে পারত না সে। চোখের সামনে থেকে সরে যাওয়া মাত্র আবার দেখতে পাবার জন্যে হৃদয়-মন এমন আকুল হয়ে উঠত না।

শ্যামলীকে নিয়ে কখনোই তার এরকম অনুভূতি হয়নি। তাকে নিয়ে অস্থির হত সে, ব্যস্ত থাকত, উদ্বেগে ভুগত, কিন্তু গোটা অস্তিত্ব জুড়ে এই প্রশান্তি আর পুলক কখনোই অনুভব করেনি। শ্যামলীর সঙ্গে তার সম্পর্কের মধ্যে মায়া বা দরদ ছিল না। দুটো মন কখনও এক হতে পারেনি। সেটা বোধহয় শুধুই শারীরিক আকর্ষণ ছিল, এক সময় তা নিস্তেজ হয়ে গেছে। তাহলে শ্যামলীর কথা ভেবে এতদিন কেন মনটাকে তিক্ত হতে দিয়েছে সে? তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পুষে রাখার কি দরকার ছিল? সে যখন মিল মালিক কাজী ফরহাদকে বিয়ে করল, নিজেকে ব্যর্থ ও বাতিল বলে মনে হয়েছিল তার, কারণ আর্ট গ্যালারির মালিক হিসেবে তার মধ্যে খ্যাতি বা আর্থিক প্রাচুর্যের কোন সম্ভাবনা শ্যামলী দেখতে পায়নি।

Ki Korey Bhuli pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply