সূর্যতামসী – কৌশিক মজুমদার Surhatamosi pdf – Kaushik Majumdar

সূর্যতামসী - কৌশিক মজুমদার Surhatamosi pdf - Kowshik Majumder pdf
সূর্যতামসী - কৌশিক মজুমদার Surhatamosi pdf - Kowshik Majumder pdf

কৌশিক মজুমদারের ডিটেকটিভ উপন্যাস Surhatamosi pdf সূর্যতামসী pdf ডাউনলোড করুন এবং Surhatamosi pdf সূর্যতামসী pdf পড়ুন।

সূর্যতামসী - কৌশিক মজুমদার Surhatamosi pdf - Kowshik Majumder pdf
সূর্যতামসী – কৌশিক মজুমদার Surhatamosi pdf – Kowshik Majumder pdf

Surhatamosi pdf সূর্যতামসী pdf সুচিপত্র

কৃতজ্ঞতা
প্রাককথন
পূর্বখণ্ড—সংকট
মধ্যখণ্ড – সন্ধান
উত্তরখণ্ড— সমাধান
সহায়ক গ্রন্থতালিকা
Surhatamosi pdf সূর্যতামসী pdf প্রাককথন
যে সকল রোমহর্ষণকরী হত্যাকাণ্ডের নায়ক স্থির হয় না, অথবা যে সকল মোকদ্দমার হত্যাকারী পলায়িত অথবা লুক্কায়িত থাকেন, ঈশ্বর জানেন কেন সেই সকল মোকদ্দমা সন্ধানের ভার আমারই হস্তে পতিত হয়। ভুল বলিলাম। পতিত হইত। দীর্ঘ তেত্রিশ বৎসর সুনামের সহিত কলিকাতা ডিটেকটিভ পুলিশের কার্য সুষ্ঠুভাবে নির্বাহ করিয়াছি। আজই আমি কর্ম হইতে অবসর গ্রহণ করিলাম। এতকাল যে সকল মোকদ্দমার কিনারা করিতে সমর্থ বা সময় সময় অকৃতকার্য হইয়াছি, তাহা অনেক সময় দারোগার দপ্তরে প্রকাশ করিতাম। কিন্তু এই বুড়া বয়সে মন বড়ো অস্থির হইয়া উঠিয়াছে। আমার অবকাশরঞ্জনীখানি লইয়া যাহা লিখিতে প্রবৃত্ত হইয়াছি, তাহা সর্বসমক্ষে প্রকাশের অধিকার বা সাহস কিছুই আমার নাই।
যে ভয়ানক ঘটনাবলি ও বীভৎস ষড়যন্ত্রের জাল একদা কলিকাতা নগরীর ভিত্তিমূল কাঁপাইয়া দিয়াছিল, তাহার কোনও লিখিত নথি বা প্রমাণ রাখা হয় নাই। চিফ ম্যাজিস্ট্রেট টমসন সাহেবের অনুরোধ ও একপ্রকার আদেশে ঘটনার সহিত সংযুক্ত সকল প্রমাণ ধংস করা হইয়াছে। একমাত্র যে সকল হতভাগ্য মনুষ্য সেই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হইবার সুযোগ পাইয়াছিল, তাহাদের স্মৃতি ব্যতীত এই ভয়াবহ, অদ্ভুত এবং ঘৃণ্য ঘটনাবলির অস্তিত্ব অন্য কোথাও অনুপস্থিত। সাহেবের বিশ্বাস এই ঘটনাক্রমের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত সর্বজনসমক্ষে প্রকাশ পাইলে নাকি মাননীয় ইংরাজ বাহাদুরের অটল সিংহাসনও ঢলিয়া যাইবার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান।
আজ ভাবিতে বসিলে মনে হয় যেন কোন দূরতর অতীতে এক দুঃস্বপ্নের ন্যায় এইসব অভাবনীয় কীর্তিকলাপ সংঘটিত হইয়াছিল। জানি, রায়বাহাদুর খেতাব আমার হস্তপদকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়াছে, কিন্তু তাহা সত্ত্বেও সেই অভূতপূর্ব ঘটনাবলি লিপিবদ্ধ না করিয়া গেলে ইতিহাস আমাকে ক্ষমা করিবে না। ইহা যে প্রকাশযোগ্য নহে, তাহা আমি সম্যকরূপে জ্ঞাত আছি। উক্ত অনুসন্ধানের নানা দিক আজও আমার নিকট অন্ধকারে নিমজ্জিত, যাহার সম্যক গুরুত্ব নির্ধারণ আমার পক্ষে অসম্ভব। যাহা আমার জ্ঞানবুদ্ধি মতে সত্য, আমি তাহার সমস্তটাই এই জার্নালে লিপিবদ্ধ করিয়া যাইতেছি।
আমার জীবৎকালে ইহা প্রকাশ পাইবে না। এক গোপন স্থানে যোগ্য ব্যক্তির হস্তে এই পাণ্ডুলিপি লুক্কায়িত থাকিবে। কতদিন? তাহা একমাত্র মহাকালই জানেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কেহ বা কাহারা এই লিপির সন্ধান পাইয়া যদি পাঠ করেন, তবেই কলিকাতার অন্ধকারময় ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায় তাঁহাদের সম্মুখে উন্মোচিত হইবে নচেৎ নহে। আমি অবশ্য সেই সময় ইংরাজ বাহাদুরের আইনের বাহিরে, টমসন সাহেবের আদেশের বাহিরে চিরশান্তির এক নিশ্চিত রাজত্বে অবস্থান করিব।
Surhatamosi pdf সূর্যতামসী pdf নমুনাঃ
এবার কলকাতায় জাঁকালো ঠান্ডা পড়েছে। দিনের বেলাতেও আকাশ মেঘলা। একটু আগেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। সারাদিন সূর্যের দেখা নেই বললেই চলে। পাঁচটা বাজতে না বাজতে কুয়াশার পাতলা আস্তর গোটা শহরটাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলছে। আপার সার্কুলার রোডের একধারে মাঝে মাঝে বেশ কয়েকটা ময়লাবাহী রেলগাড়ি দাঁড়িয়ে। গত দুই তিনদিন যাবৎ কী এক কারণে তাদের ময়লা পরিষ্কার হয়নি। দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলা দায়। কিছুদিন আগে অবধি এই গাড়িতে করে ময়লা ধাপাতে নিয়ে যাওয়া হত। লোকে ঠাট্টা করে নাম দিয়েছিল “ধাপা মেল।” ইদানীং সে ব্যবস্থা বন্ধ। ফলে কাক, চিল, শকুনি আর হাড়গিলের উপদ্রবে আশেপাশের সব বাড়ির শার্সি সারা দিনরাত বন্ধ রাখতে হয়।
রাস্তার পশ্চিমদিকে প্রায় ছয় ফুট প্রশস্ত একটা কাঁচা ড্রেন। এই ড্রেন দিয়েই পাশের বাড়িগুলির পায়খানা, রান্নার জল বয়ে যায়। কেউ কেউ আবার এটাকেই পায়খানা হিসেবে ব্যবহার করে। আজ এই শীতসন্ধ্যায় সেই গন্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। একটু এগিয়ে গেলেই যদু মিত্তিরদের বিরাট বাঁশঝাড় আর পগাড়। পগাড়ের পশ্চিমপাড়ে নারকেল আর তেঁতুলের সারি। কারা যেন সেখানে বসে নারকেল পাতা পুড়িয়ে আগুন পোহাচ্ছে। ওই পাড়ে পাকা বাড়ি আর নেই বললেই চলে। সব ঘুঁটে দেওয়া মেটে দেওয়ালের বাড়ি।
রাস্তায় দূরে দূরে গ্যাসবাতি। সন্ধ্যা হলেই পুরসভার মুটে বগলে মই নিয়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটে পথে পথে আলো জ্বালতে। মই বেয়ে ল্যাম্পপোস্টে উঠে প্রথমে ন্যাকড়া বুলিয়ে পরিষ্কার করে আলোর শেডের কাচ। তারপর চাবি ঘুরিয়ে চালু করে গ্যাস। সবশেষে দেশলাই জ্বালিয়ে বাতি ধরায়। কিন্তু তাতে আর কতটুকু আলো হয়? শুধু বাতির নিচটুকু আর আশপাশে সামান্য আলো ছড়ায়। এমন শীতের কুয়াশা ঢাকা সন্ধ্যায় এক অদ্ভুত হলদেটে চোখের মতো আলোগুলো জেগে থাকে। যেন সদ্য পিলেজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। রাতের পথ দিয়ে যারা হেঁটে যায়, তাদের আপাদমস্তক শালমুড়ি দেওয়া, যেন তারা এ মরজগতের কেউ নয়, প্রেতলোকের বাসিন্দা। খুব প্রয়োজন না থাকলে এমন রাতে কেউ বাড়ি থেকে বার হয় না।
কৌশিক মজুমদারের Surhatamosi pdf সূর্যতামসী pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে এবং Surhatamosi pdf সূর্যতামসী pdf এখান থেকে পড়ুন

Be the first to comment

Leave a Reply