মনোজ সেনের pdf বড়দের উপযোগী অপার্থিব কাহিনী সংকলন বই Ebong Kaloratri pdf এবং কালরাত্রি pdf পড়ুন আজই। Ebong Kaloratri pdf টি তবে ছোটদের জন্য নয়, বইটি লেখক বড়দের কথা চিন্তা করে লিখেছেন। তাই Ebong Kaloratri pdf ছোটরা পড়বেন না।
Ebong Kaloratri pdf সুচিপত্র
ছুটি কাটাল অনুপম নীলাঞ্জনছায়া
বিদেশে দৈবের বশে
ভূত বলে কিছু নেই
অখিলবাবুর মৃত্যুরহস্য
বাসুদেবের নতুন বাসা
মায়াকানন
প্রভাময়ীর প্রত্যুপকার
শিকার
সংহারক সারমেয়
স্বভাব
নিমন্ত্রণ
গঙ্গাধরের সাংবাদিকতা
মেঘমালা
পোকা
পিন্টুচরণ ও নগেন্দ্রবালা
ভূত ভবিষ্যৎ
আতঙ্কের অবসান
ইন্দ্রিয়ের ওপারে
কালরাত্রি অঙ্ক পরীক্ষা
রেল মানুষের তদন্তকথা ২ PDF – তুষার সরদার Railmanusher Tadantakotha 2 PDF – Tushar Sardar
Ebong Kaloratri pdf ভূমিকা
এই বইয়ের ভূমিকা লিখতে গেলে লেখকের, অর্থাৎ আমার, সাহিত্যজগতের যাত্রাপথ সম্পর্কে পাঠককে কিছু জানানো দরকার। আজ থেকে প্রায় পাঁচ দশক আগে হঠাৎই আমি গোয়েন্দা গল্প লিখতে শুরু করেছিলুম। সেই সময়ে বাংলা সাহিত্যজগতের সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না বললেই হয়। নেহাতই ঝোঁকের মাথায় লেখা গল্পটা ডাকে ‘রোমাঞ্চ’ পত্রিকায় পাঠিয়ে দিয়েছিলুম। তখন আমাকে মাঝে মাঝেই দুর্গাপুরে যেতে হত। হাওড়া স্টেশনের বুকস্টল থেকে কেনা ‘রোমাঞ্চ’ পত্রিকা ট্রেনে সময় কাটানোর জন্য আদর্শ ছিল। তার লেখকদের মধ্যে ছিল অনেক বড়ো বড়ো নাম— শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রণব রায়, হিমাংশু সরকার, ডা শ্রীধর সেনাপতি ইত্যাদি আরও অনেকে।
এহেন পত্রিকায় নামগোত্রহীন আমার লেখা ছাপা হবে কি না সে বিষয়ে আমার প্রচুর সন্দেহ ছিল। আশ্চর্যের ব্যাপার, মাস দুয়েকের মধ্যেই লেখাটা ছাপা হল। শুধু তাই নয়, কিছুদিনের মধ্যেই সম্পাদক রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় আমাকে টেলিফোন করে আরও লেখা দিতে অনুরোধের মোড়কে আদেশ দিলেন। তারপর থেকে দুই দশক ধরে আমি ‘রোমাঞ্চ’ পত্রিকায় লিখেছি বা রঞ্জিতবাবু আমার ঘাড়ে ধরে লেখা আদায় করেছেন। তাঁর অকালমৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আমি লেখা বন্ধ করে দিয়েছিলুম।
রবীন্দ্রনাথের হাস্য-পরিহাস pdf – গোপালচন্দ্র রায় Rabindranather Hashya-Parihas pdf
একজন আদর্শ সম্পাদক ছিলেন রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়। কত ভাবে যে আমাকে উৎসাহিত করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। আমার লেখার ভুলভ্রান্তিগুলো দেখিয়ে দিয়েছেন। আমি যে সাহিত্যজগতে একেবারে আনকোরা তা জেনেও নিঃস্বার্থভাবে আমাকে হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। কোনোদিন আমাকে সরিয়ে রাখার বা চেপে দেওয়ার কোনোরকম চেষ্টা করেননি। বরং আমাকে নতুন পথের সন্ধান দিয়েছেন। তাঁরই উপদেশ অনুসরণ করে ভূতের গল্প লিখতে শুরু করি। আমার মতো আরও কত অজ্ঞাতকুলশীল লেখক যে রঞ্জিত চট্টোপাধ্যায়ের প্রেরণায় সাহিত্যক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন তা আমার জানা নেই। আজ এই লেখার মাধ্যমে আমার জীবনের সেই সম্পাদকশ্রেষ্ঠকে আমার সশ্রদ্ধ ও সকৃতজ্ঞ নমস্কার জানাচ্ছি।
এর কিছুদিন পরে অধুনা স্বর্গীয় শান্তিপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও ড অনীশ দেব আবার আমাকে লেখার জগতে নিয়ে আসেন। আমি তাঁদের প্রতিও চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। আজ থেকে দশ বছর আগে আমি কালরাত্রি নামক একটি অলৌকিক গল্পের বই প্রকাশ করেছিলুম। মাত্র পাঁচশো কপি ছাপা হয়েছিল। এরপর আর ছাপা হয়নি কারণ পরিবেশক আমাকে জানিয়েছিলেন যে সেই বইয়ের দু-একটা কপি মাত্র বিক্রি হয়েছিল। তারপরে আর কোনো বই প্রকাশ করবার উৎসাহ পাইনি।
কিছুদিন আগে হঠাৎই বুক ফার্ম-এর শ্রীশান্তনু ঘোষ আমার কাছে আসেন ও আমার যাবতীয় লেখা একাধিক বইয়ের আকারে প্রকাশ করার প্রস্তাব দেন। আমি প্রথমে রাজি হইনি, তবে তাঁর সাহিত্যে গবেষণায় গভীর আগ্রহ, কর্তব্যবোধ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার প্রবণতা আর উৎসাহ আমার অকৃত্রিম বলে মনে হয়েছিল। সেই কারণে আমি তাঁর প্রস্তাবে সম্মতি দিই। যে সময়ের মধ্যে এবং যে উচ্চমানে আমার প্রথম বইটি (৫x৫ = পঁচিশ, পাঁচমিশেলি গল্প সংকলন) প্রকাশিত হল, তাতে আমি নিঃসন্দেহ যে আমার অনুমানে কোনো ভুল হয়নি। প্রকাশক, আলংকারিক শিল্পী শুভ্র চক্রবর্তী ও যাঁরাই এই বই প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের সকলের কাছে ঋণী রইলুম।
এখানে একথা বলে রাখা ভালো যে এই বইটি, তার পূর্বসুরি, কালরাত্রির পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত সংস্করণ। কলেবরে প্রায় দ্বিগুণ। এই বইয়ের পাঠকদের প্রশংসা এবং নিন্দা সবই শ্রীশান্তনু ঘোষের জন্য তোলা রইল।
মনোজ সেন
Ebong Kaloratri pdf নমুনাঃ
দুপুর বেলা কল্যাণী থেকে তাঁর ছোট্ট ফিয়াট গাড়িটা নিয়ে বেরিয়েছিলেন ড. সুরেশ্বর দেবগুপ্ত। এখন বিকেল হয়ে এসেছে। নশীগঞ্জে পৌঁছতে আরও দশ-পনেরো মিনিট লাগবে। রাস্তার যা অবস্থা তাতে কপাল ভালো থাকলে, যাকে বলে, প্রশস্ত দিবালোকে পৌঁছনো সম্ভব হলেও হতে পারে। তবে, আলো কম হলেও কোনো অসুবিধে নেই। সঙ্গে টর্চ তো আছেই।
ড. সুরেশ্বর দেবগুপ্তকে এ তল্লাটে সকলেই চেনে। তিনি একজন নামজাদা কৃষিবিজ্ঞানী। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি করে আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিজ্ঞানে ডিএসসি করেন। ওদেশে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা ও করেছেন। আপাতত, তিনি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বিভাগের প্রধান।
তবে এ ছাড়াও তাঁর সমাজসেবী বলে আর একটা পরিচয় আছে। চাষের জমির উর্বরতা বা উৎপাদনক্ষমতা কী করে বাড়ানো যেতে পারে, তা নিয়ে নদীয়া জেলার চাষিদের তিনি সবসময় উপদেশ দিয়ে সাহায্য করে থাকেন। দূর দূর গ্রামের ভেতর চলে গিয়ে সকলকে একত্রিত করে আর তাদের সঙ্গে আলোচনা করে, তাদের সমস্যা সমাধান করবার জন্যে তিনি বছরের সব সময়েই তৈরি। এই কারণে, এই পণ্ডিত মানুষটিকে সকলেই শ্রদ্ধা করে থাকে।
আপাতত ড. দেবগুপ্ত একটা গভীর সমস্যা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। সমস্যাটা একটা পোকা। মাজরা পোকার মতো এটা ফসলের ভয়ংকর ক্ষতি করে থাকে। তবে অনেক বেশি তাড়াতাড়ি। খুব ছোটো ছোটো কালো পোকা, বছর দুয়েক হল এদের অত্যাচার শুরু হয়েছে। এদের প্রথম দেখা যায় দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের কতগুলো দ্বীপে। তারা যে কোত্থেকে সেখানে এসে উপস্থিত হয়েছিল, তা কেউ জানে না। এক বছরের মধ্যে সবুজ দ্বীপগুলো মরুভূমিতে পরিণত হয়।
Ebong Kaloratri pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.