গল্প-সংগ্রহ pdf – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় Galpo Sangraha pdf – Narayan Gangyopadhyay

গল্প-সংগ্রহ pdf - নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় Galpo Sangraha pdf - Narayan Gangyopadhyay
গল্প-সংগ্রহ pdf - নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় Galpo Sangraha pdf - Narayan Gangyopadhyay

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় এর Galpo Sangraha pdf গল্প-সংগ্রহ pdf ডাউনলোড করুন ও Galpo Sangraha pdf পড়ুন। Galpo Sangraha pdf এ ১৪ টির মতো গল্প সঙকলিত করা হয়েছে।

গল্প-সংগ্রহ pdf - নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় Galpo Sangraha pdf - Narayan Gangyopadhyay
গল্প-সংগ্রহ pdf – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় Galpo Sangraha pdf – Narayan Gangyopadhyay

Galpo Sangraha pdf গল্প-সংগ্রহ pdf সূচী

দর্পণ
প্ৰপাত
জান্তব
দুর্ঘটনা
ফলশ্ৰুতি
জন্মান্ত
বৃত্ত
দুর্লংঘ্য
বিভীষণ
ব্যাধি
একটি চলচ্চিত্রের ভূমিকা
বাইচ
গোত্র
গোখবো

Galpo Sangraha pdf নমুনাঃ

গল্প অনেক রকম শোনা যায়। তার ভেতরে যেটা সব চেয়ে চালু— অর্থাৎ লোকে শুনতে শুনতে প্রায় সত্যি বলেই মেনে নিয়েছে, সেটা সংক্ষেপে এই রকম।
খুব ঘটা করে অভিনয় হচ্ছিল সেদিন। এমন কি স্বয়ং ইংরেজ পুলিশ সাহেব পর্যন্ত থিয়েটার দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু প্রথম অঙ্ক শেষ হতেই গট গট্ করে বক্‌স থেকে বেরিয়ে গেলেন পুলিশ সাহেব। রাগে তাঁর টকটকে লাল মুখ প্রায় ফেটে পড়বার উপক্রম। হাতের কালো গালার ছড়িখানা ঘোরাতে ঘোরাতে সাহেব সোজা গিয়ে ঢুকলেন গ্রীণরুমে।

আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf – হুমায়ূন আহমেদ Amar Priyo Voutik Galpo pdf – Humayun Ahmed

—কোথায় ম্যানেজার ? আমি এক্ষুণি তাকে অ্যারেষ্ট, করব। নাকের এক পাশে একটা ক্রেপের গোঁফ লাগাতে লাগাতে ছুটে এলেন ম্যানেজার সদাশিব ঘোষ। তাঁর হাঁটু দুটো তখন থর-থর করে কাঁপছে—চোখ দুটো ঠিকরে পড়বার উপক্রম। খাঁটি পৌরাণিক ভক্তিরসের নাটক—এর মধ্যে রাজদ্রোহের ছিটেফোঁটা আছে বলেও তো কেউ কল্পনা করে নি।
সদাশিব বললেন, স্যার—
—নো স্যার। তোমাকে এক্ষুণি থানায় যেতে হবে—এই বলে সাহেব নিজের জুতোর ওপরে ছড়িটা ঠুকতে লাগলেন। ভাবটা এই : দরকার হলে ছড়িখানা আরো হাত- দুই এগিয়ে অন্য কিছুও ঠুকতে পারে।

তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৭/২ pdf – আমিই কিশোর, আলাস্কা অভিযান, আমাজানের গহীনে – রকিব হাসান / শামসুদ্দীন নওয়াব Tin Goyenda Volume 117/2 pdf

সদাশিবের তখন প্রায় শ্বাস ওঠবার অতিক্রম। ধরাগলায় বললেন, কিন্তু স্যার, আমার অপরাধ—
সাহেব গর্জন করে উঠলেন: তোমার অপরাধ অমার্জনীয়। তুমি স্টেজে স্ত্রীলোক নামিয়ে অভিনয় করাচ্ছ—সেজন্যে গবর্ণমেন্টের কোনো অনুমতি নাওনি।
— স্ত্রীলোক। সদাশিবের ভয় এবার সীমাহীন বিস্ময়ে রূপান্তরিত হয়ে গেল। সাহেব কি নেশা করে এসেছে নাকি? —কোথায় স্ত্রীলোক স্যার — কী বলছেন আপনি ?
—আমার সঙ্গে চালাকির চেষ্টা কোরো না— সাহেব আবার হুঙ্কার ছাড়লেন : ভাই বেহুলা–ঘাট উয়োম্যান—
বেয়াদবি হবে এ-কথা জেনেও সদাশিব হো-হো করে হেসে উঠলেন : বেহুলা, স্যার ? হি ইজ নেভার এ উয়োম্যান স্যার। ওর নাম চারুচন্দ্র বিশ্বাস রেগুলার দাড়ি কামায়।

—হোয়াট? ইজ ইট পসিবল? সাহেবের চোয়াল ঝুলে পড়ল। একজন পুরুষের গলার আওয়াজ ওই রকম হয় ? হাঁটবার সময় ঠিক বাঁ পা এগিয়ে দেয়? — আই কান্‌ট বিলিভ ইট্‌!
—আমি ডাকছি স্যার—দেখেই চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জন করুন। শুধু চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জনই নয়—তারপরে সাহেব নাকি একটা সোনার মেডেলও দিয়েছিলেন চারুকে। বলেছিলেন, এমন আশ্চর্য অভিনেতা ইংল্যাণ্ডেও নাকি তিনি দেখেন নি।
লোকের মুখে চলে আসছে এই কাহিনী। কেউ কেউ আবার দু-এক পর্দা রঙও চড়িয়ে দেয় এর ওপরে। কিন্তু সত্যটা আর কেউ যাচাই করে না। সদাশিবের কাছে নয়, চারুর কাছেও না। হয়তো সত্যের ছোঁয়ায় গলের রঙটা ফিকে হয়ে যাবে—এই ভয়ে।

কিন্তু এমনটা যে হতে পারে— হওয়া সম্ভব, চারুকে দেখে সন্দেহ মাত্র থাকে না তাতে। মেয়েলী কথাবার্তা চারুর—মেয়েলী চাল-চলন। লোকে ঠাট্টা করে চারুবালা বলে। একটা ব্যাঙ্কে কেরানীগিরি করে—সদাশিব সেখানকার বড়বাবু। কাউন্টার-ভর্তি অসংখ্য লোকের সামনে এসেই হয়তো ফট্‌ করে বলে বসেন, এই চেকটা তাড়াতাড়ি পেমেন্ট করে দাও তো ম্যাডাম — বড় দরকারী। চারু রাগ করে না। সহকর্মীরা কেউ কেউ যখন বৌদি বলে ডাকে তখনও না। এমন কি, সঙ্গে সঙ্গে পানের ডিবে
খুলে এগিয়ে দেয় তাদের দিকে।
এ-হেন চারু শেষ পর্যন্ত বিয়ে করে বসল।

বিয়ের খবরটা ছড়াবার মুখে অবশ্য ঠাট্টা-তামাসা করেছিল সবাই। অজস্র বেয়াড়া রসিকতা করেছিলেন সদাশিব।
—এটা কী করছ চারু, এ কী হচ্ছে ? তোমার যে একজন পুরুষ মানুষকে বিয়ে করা দরকার।
বিয়ে রংপুরে। কাছাকাছিই। মস্ত বরযাত্রীর দল গেল সঙ্গে। সারা রাস্তা সমানে হৈ-চৈ।
সদাশিব একখানা গান লিখে দিলেন। তার বিষয়বস্তু এই রকম : দিন-কাল সব বদলে যাচ্ছে আজ-কাল। এখন আর মেয়ে-পুরুষে বিয়ে হচ্ছে না। হচ্ছে পুরুষে-পুরুষে, কিংবা মেয়েতে- মেয়েতে। তাই আমাদের চারুবালা — ইত্যাদি ইত্যাদি।
সমস্ত পথ সেটা কোরাসে গাওয়া হতে লাগল। বিয়ের বাসরে ওটা কীর্তন অথবা গজলের সুরে গাওয়া হবে, তাই নিয়ে গবেষণা করতে লাগলেন সদাশিব।
কিন্তু বিয়ের আসরে কারে। আর বাস্ফুর্তি হ’ল না।

Galpo Sangraha pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply