পঞ্চাশটি গল্প pdf – কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় Ponchashti Golpo pdf – Krishnendu Mukhopadhyay pdf

৫০ টি প্রেমের গল্প - শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় 50 ti Premer Golpa pdf - Shirshendu Mukhopadhyay

কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় এর আলোচিত ও জনপ্রিয় ৫০ টি গল্পের সংকলন Ponchashti Golpo pdf পঞ্চাশটি গল্প pdf ডাউনলোড করুন ও পঞ্চাশটি গল্প pdf পড়ুন।

পঞ্চাশটি গল্প pdf - কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় Ponchashti Golpo pdf - Krishnendu Mukhopadhyay pdf
পঞ্চাশটি গল্প pdf – কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় Ponchashti Golpo pdf – Krishnendu Mukhopadhyay pdf

Ponchashti Golpo pdf পঞ্চাশটি গল্প pdf সূচিপত্রঃ

চোট ১
জারুল ১২
দিঠির ফ্যান ২৪
আয় বৃষ্টি ঝেপে ৩৬
সেই চোখ ৪৪
জনম কা কাট্টি ৫১
উপার্জন ৫৯
তেইশ ঘণ্টা ৬৮
অনাহূত ৭৮
মরা গাছ ৮৮
র‍্যাগিং ১১৬
অসম্পূর্ণ বৃত্ত ১২৩
থ্রি শিলিং ব্যাঙ্কো ১৩৬
চিলেকোঠার ট্রাঙ্ক ১৪৮
অপেক্ষা ১৫৭
পলাশের রং ৩৩২
কলিং বেল ৩৫৫
ব্যামো ৩৭০
ভাইরাস ৩৭৮
চাঁদের মালকিন ৩৯১
চুনির আংটি ৩৯৭
পাঁচ মিনিট ৪০৪
স্কোর ৪১২
রিথ
পনেরোই সেপ্টেম্বর ৪২৬
উপাখ্যান ৪৪০
বাজি ৪৫১
শোধ ৪৫৯
খেজুর কাঁটা
ব্রহ্মকমল ৪৮২
বড়সাহেব ৫০০
অনুভব ১৬৭
নাচ ১৭২
ছিটকিনি ১৮৪
ঢেউ ১৯৭
শীলা ২০৬
ভয় ২৩১
তৃষা ২৫২
নিখোঁজ ম
মাকড়সা ২৯৭
সুখ অসুখ ৩১৪
উপহার ৫১৯
পূর্বা ৫৩৬
ছবির মুখ ৫৫১
খেলনা ৫৬৫
স্ক্র্যাপ ৫৮৩
রূপকথা ৫৯৭
পিয়ানো ৬১০
জানা-অজানা ৬20
বাজুবন্ধ ৬৩৫

Ponchashti Golpo pdf সূচনাঃ

“হাজার পাঁচ থেকে দু’হাজার পনেরো সময়কালের মধ্যে লেখা এই পঞ্চাশটি গল্প প্রকাশিত হয়েছে দেশ, সানন্দা, উনিশ কুড়ি, রবিবাসরীয় আনন্দবাজার, এবেলা প্রভৃতি বিভিন্ন পত্রিকায়। নানান স্বাদের এই গল্পগুলি বহুমাত্রিক। অল্প বয়সিদের প্রেমের গল্প থেকে শুরু করে দাম্পত্যের টানাপোড়েন, বৃদ্ধ বয়সের নিঃসঙ্গতা বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে একেকটি গল্পে। আছে থ্রিলার এবং কল্পবিজ্ঞানের গল্প। জীবন থেকে উঠে আসা চরিত্রগুলি এক লহমায় পাঠককে বাস্তব সত্যের মুখোমুখি করে দেয়। সার্থক ছোটগল্পের মহিমা সেখানেই। দেশ পত্রিকার সাহিত্য প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্ত দু’টি গল্পও আছে এই সংকলনে।

শারদীয়া আনন্দবাজার পত্রিকা পূজাবার্ষিকী ১৪৩০ (২০২৩) পিডিএফ Saradiya Anandabazar Patrika Pujabarshiki 1430 (2023) pdf

চার্চের ঠিক সামনে খোলা মাঠটার কাছে এসে দাঁড়িয়ে পড়ল অ্যাঞ্জেলা। প্রতি রবিবারের মতো আজ সকালেও মাঠে ক্রিকেট খেলছে ছেলেগুলো। অ্যাঞ্জেলা লক্ষ করেছে, তাকে দেখামাত্রই ছেলেগুলোর মধ্যে একটা পরিবর্তন আসে। যে ব্যাট করে, সে চার-ছয় মারার চেষ্টা করে। এমনকী, বোলার বল করার পর শোয়েব আখতারের মতো জ্বলন্ত দৃষ্টি নিয়ে ব্যাটসম্যানের দিকে তাকিয়ে থাকে। ফিল্ডাররা যেন আরও বেশি করে ঝাঁপিয়ে পড়ে রান বাঁচানোর জন্য।

কক্সগঞ্জ থানায় তিন মাস আগে যখন অ্যাঞ্জেলার বাবা বদলি হয়ে এলেন, অ্যাঞ্জেলার তখন খুব মনখারাপ হয়ে গিয়েছিল। কলকাতা ছেড়ে কক্সগঞ্জের মতো মফসলে। মায়ের ইচ্ছে ছিল, কলকাতাতেই অ্যাঞ্জেলা পড়াশোনাটা শেষ করুক। কিন্তু বাবার মন সায় দেয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত কক্সগঞ্জের কলেজে এসেই ভর্তি হতে হল অ্যাঞ্জেলাকে। অ্যাঞ্জেলা বুঝতে পারে না, সে পুলিশের মেয়ে নাকি খ্রিস্টান বলে কে জানে, কেউই তার সঙ্গে বন্ধুত্বটা অন্তরঙ্গ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে না। কোথায় যেন এসে আটকে যায়। অথচ অ্যাঞ্জেলা জানে, তার মধ্যে একটা টানটান আকর্ষণ আছে। কলকাতার ভিড় বাসে অনেকেই অন্যায়ভাবে তাকে ছুঁতে চেষ্টা করত। অনেক উড়ো ফোন, ব্ল্যাঙ্ক কল আসত। আর-পাঁচটা সুন্দরী টিনএজারদের মতোই জীবন ছিল তার। অথচ কক্সগঞ্জে এসে হঠাৎ করে সে যেন রহস্যময়ী হয়ে গিয়েছে।

শিলং জেলের ডায়েরি pdf – সুরমা ঘটক Shilong Jeler Diary pdf – Surama Ghatak

আজ চার্চে অ্যাঞ্জেলার আসতে একটু দেরিই হয়ে গিয়েছে। শহরের একপ্রান্তে চার্চটা। ওদের কোয়ার্টার থেকে হেঁটে মিনিট পনেরোর রাস্তা। এই শহরে খ্রিস্টান খুব কম। তাদের মধ্যেও আবার সামাজিক ব্যবধান অনেক। তা-ও সকলে রবিবার একটা সময় চার্চে আসার চেষ্টা করে। মাঠের এ প্রান্ত থেকে অ্যাঞ্জেলা দেখতে পাচ্ছে, লোকজন চার্চ থেকে বেরিয়ে আসছে।

সবুজ মাঠটার মধ্য দিয়ে রং-চটা একটা হলুদ পায়ে চলার রাস্তা। খেলা চলছে বলে মাঠের ভিতরের কোনাকুনি রাস্তাটা দিয়ে না গিয়ে, মাঠটাকে বেড় দিয়েই হাঁটতে থাকল অ্যাঞ্জেলা। ছেলেগুলো যথারীতি চঞ্চল হয়ে উঠেছে। একটু সতর্ক হয়েই লম্বা লম্বা পা ফেলে হাঁটছিল অ্যাঞ্জেলা। খানিকটা হাঁটার পর হঠাৎই খেয়াল করল, লাল রঙের একটা ডিউস বল তার দিকে ছুটে আসছে। সামনের ফিল্ডারটার মনোযোগ তার উপর ছিল বলেই বোধহয় শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়েও বলটা ধরতে পারল না। বলটা শেষ পর্যন্ত অ্যাঞ্জেলার গোড়ালিতে এসে ঠক করে লাগল। সঙ্গে সঙ্গে একটা তীব্র যন্ত্রণা। ইচ্ছে করছিল পা-টা চেপে ধরে মাঠে বসে পড়ে। ছেলেগুলো সব স্ট্যাচু হয়ে গোল গোল চোখে তাকে দেখছে।

যন্ত্রণাটা যতটা সম্ভব চেপে, স্বাভাবিকভাবেই মাঠটুকু পেরিয়ে চার্চে ঢুকে পড়ল অ্যাঞ্জেলা প্রভু যিশুর সামনে হাঁটু মুড়ে বসে প্রার্থনার পর ওঠার সময় পায়ের আসল যন্ত্রণাটা টের পেল অ্যাঞ্জেলা। গোড়ালির উপর হাত বুলিয়ে দেখল, বেশ ফুলে গিয়েছে। কোনওরকমে খুঁড়িয়ে খুড়িয়ে চার্চের বড় দরজাটার কাছে এল। এই শহরে রিকশার সংখ্যা এমনিতেই কম, তার ওপর চার্চের এদিকটায় রিকশা প্রায় আসেই না।

তবু কখনও কখনও ফাঁকা রিকশা পাওয়া যায়। ভাড়া খেটে ফিরে আসছে হয়তো সেগুলো। সেই আশাতেই চার্চের সিঁড়িতে বসল অ্যাঞ্জেলা। মাঠে খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ছেলেগুলো সব চলে গিয়েছে। শুধু দূরে, গাছের তলায় একটা ছেলেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল অ্যাঞ্জেলা।

গাছটায় ঠেস দিয়ে একটা সাইকেল দাঁড় করানো। ছেলেটা বোধহয় ওই ক্রিকেট টিমটায় ছিল। টিমের ছেলেগুলো সকলেই আকাশি রঙের জার্সি পরেছিল। এই ছেলেটার গায়েও সেরকমই একটা জার্সি। অ্যাঞ্জেলাকে এসে সিঁড়িতে বসতে দেখে, ছেলেটা সাইকেলটা টেনে নিয়ে মাঠের ভিতরের পায়ে চলা রাস্তা দিয়ে চলতে শুরু করল। তারপর অ্যাঞ্জেলার ঠিক সামনে এসে সাইকেল থেকে নামল। দু’জনের মধ্যে শুধু দুটো সিঁড়ির ব্যবধান। ছেলেটা কোনওরকম ভণিতা না করে সরাসরি অ্যাঞ্জেলাকে বলল, “খুব জোর লেগেছে, তাই না? এত খারাপ লাগছে! আমার ব্যাট থেকেই তো বলটা এল!”

Ponchashti Golpo pdf
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply