
সিদ্দিক আহমেদের Dashgreeb pdf দশগ্রীব pdf ডাউনলোড করুন ও Dashgreeb pdf দশগ্রীব pdf পড়ুন।

Dashgreeb pdf দশগ্রীব pdf রিভিউঃ
প্রত্নতাত্ত্বিক প্রফেসর কামরুল শরীফ, হঠাৎই খুন হয়ে গেলেন হাজার বছরের পুরোনো এক পুঁথি আবিষ্কারের সাথে সাথে। এর কারণ খুঁজতে শুরু করলো তার দুই স্টুডেন্ট বিখ্যাত আর্কিওলজিস্ট জয়িতা এবং রাশাদ। ধীরে ধীরে জানতে পারলো ভয়ংকর কিছু তথ্য। এদিকে এই পুঁথির পিছনে লাগে আছে অনেক বছরের পুরোনো আরেক সংগঠন যাদের রয়েছে নিজস্ব এক পরিকল্পনা ।দশগ্রীব এই নাম শুনেই বুঝা যায় কাহিনী রামায়ণ বিশেষ করে রাবণ এর জীবনের মিথিক্যাল কোন কিছুর উপর বেসড করে হবে। তবে মূল কাহিনী শুধু এই এক মিথের ভিতরে সমাপ্ত নয়। উপমহাদেশের বেশ কিছু মিথিক্যাল সংগঠনের ও দেখা পাওয়া যায় এতে। বইতে নানান ধরণের হিস্টোরিক্যাল এবং মিথিক্যাল স্থান এবং এ সম্পর্কিত তথ্যগুলোও সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।রেটিং- ৪/৫
দগ্ধজাতক pdf || বিনোদ ঘোষাল Dagdhajatak pdf || Binod Ghoshal best pdf
এক প্রাচীন পুঁথির হারিয়ে যাওয়া পাতার হাত ধরে উঠে আসে এক অবিশ্বাস্য সত্য যা হাজার হাজার বছর ধরে লুকিয়ে ছিল কালের গর্ভে ।সেই পুঁথির রহস্য ভেদ করতে যুগে যুগে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে অজানা বিপদের উদ্দেশ্যে, পুঁথিটি করায়ত্ত করতে সম্রাট অশোক পর্যন্ত আক্রমণ করেছেন কলিঙ্গ, লক্ষাধিক মানুষের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া সেই দশগ্রীব পুঁথির পাতায় কিসের সন্ধান পাওয়া দেওয়া আছে যা মানব সভ্যতার ইতিহাসকে পাল্টে দিতে পারে? সত্যিই কি পুঁথি অনুযায়ী আজও সংরক্ষিত আছে লঙ্কেশ্বর রাবণের মৃতদেহ?
কি আছে সেই শবাধারের পাশে যা রক্ষার জন্য সম্রাট অশোক তৈরি করেন পৃথিবীর প্রথম Secret Society?-স্বাগত আপনাকে দশগ্রীবের দুনিয়ায়। বাংলা ভাষায় আর্কিওলজিক্যাল থ্রিলারের সংখ্যা খুব বেশি নেই। দশগ্রীব সেই তালিকায় এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। প্রচুর পড়াশোনা করেছেন লেখক,অজস্র cross reference আছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক বই থেকে,পড়তে পড়তে রাম,রাবণ,সীতা এই সব চরিত্রেরা ধর্ম ও পৌরাণিকতার নির্মোক ত্যাগ করে আপনার সামনে এসে দাঁড়াবেন রক্ত মাংসের শরীরে। জয়িতা ও রাশাদের হাত ধরে ঢুকে পড়ুন রামায়ণের অজানা গলিঘুঁজিতে।
Dashgreeb pdf দশগ্রীব pdf নমুনাঃ
বাইরে বেশ ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। আর্কিয়োলজিস্ট প্রফেসর কামরুল শরিফের সেদিকে একদম খেয়াল নেই। এমনিতে সময়টা গ্রীষ্মকাল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আজ বেশ ঠান্ডা। কামরুল শরিফ তার হাফ হাতা চেক শার্টের নীচেও ঠান্ডাটা বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছেন। এতক্ষণ তিনি খালি গায়েই কাজ করছিলেন। হালকা ঠান্ডা লাগছে বলে শার্টটা গায়ে দেওয়া। শারীরিকভাবে শীর্ণ মানুষ প্রফেসর কামরুল শরিফ, একটু ঠান্ডাতেই তাই তিনি কাবু হয়ে যান।
তাঁর আধো অন্ধকার ঘরটাতে আসবাব বলতে একটা টেবিল, চেয়ার, সিঙ্গেল খাট এবং এক কোণে একটা ছোট্ট আলনা। তিনি কাজ করছেন তাঁর বিখ্যাত এক পা-ভাঙা স্টাডি টেবিলে বসে, টেবিল ল্যাম্পের আলোয়। কাজ বলতে একনাগাড়ে একটার পর একটা বই ঘেঁটে চলেছেন আর লম্বা একটা লাল লাটের খাতায় কিছুক্ষণ পর পর নোট নিচ্ছেন।
সমস্ত ঘরে ল্যাম্পের আলো ছাড়া দ্বিতীয় কোনো আলো নেই। কামরুল শরিফ তাঁর সামনে অনেকগুলো বই মেলে রেখেছেন। সেসব বইয়ের সঙ্গে একটা অত্যন্ত প্রাচীন পুস্তকের অনেকগুলো ছোটো ছোটো পাতা, মলাট খুলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। লম্বা এবং সামান্য হলদেটে পাতাগুলোর দিকে নজর পড়লেই বোঝা যায় এটা বহু শতকের পুরোনো কোনো বইয়ের পাতা। অবশ্য বই না বলে পুথি বলাটাই যুক্তিযুক্ত হয়। লম্বা তালপাতার মতন পাতাগুলো কোনো গাছের কাণ্ড থেকে বানানো হয়েছে। পাতলা কাঠের উপর কোনো অদ্ভুত রসায়নের প্রলেপ দেয়া আছে সম্ভবত। এজন্যই পুথির পাতাগুলো এত শতাব্দী পরেও নষ্ট হয়নি।
কয়েকদিন আগে উয়ারীবটেশ্বরের পাশেই নতুন আর একটা জায়গা খুঁড়তে গিয়ে এই বইটার সন্ধান মিলেছে। বইটা ছিল একটা তামার বাক্সের ভেতর বন্দি অবস্থায়। বাক্সটা যখন খনন থেকে বের হল, সবাই সেটা দেখে উত্তেজনায় লাফিয়ে উঠেছিল। পরে বাক্সটাকে সাবধানে খোলা হলে সেটার ভেতর থেকে বের হয়ে এসেছিল সোনার পাতের মলাটে মোড়ানো বইটা। বইটার সঙ্গে ছিল অনেকগুলো পুঁতির মালা। সেই মালার একটার মাথায় ছিল ব্রোঞ্জের তৈরি অদ্ভূত এক লকেট। লকেটের উপর ছিল দশটা মাথা আর বিশ হাত ওয়ালা এক বিকট মানুষের ছাপ। এই জিনিসগুলো যে কী সেটা নিয়ে তখন আর তিনি মাথা ঘামাননি। কামরুল শরিফ বইটা নিয়েই ছিলেন বেশি আগ্রহী।
সিদ্দিক আহমেদের Dashgreeb pdf দশগ্রীব pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও Dashgreeb pdf দশগ্রীব pdf এখান থেকে পড়ুন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.