গরিয়সী গৌরী pdf – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Goriyasi Gouri pdf – Achintyakumar Sengupta

গরিয়সী গৌরী pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Goriyasi Gouri pdf - Achintyakumar Sengupta
গরিয়সী গৌরী pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Goriyasi Gouri pdf - Achintyakumar Sengupta

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর Goriyasi Gouri pdf গরিয়সী গৌরী pdf ডাউনলোড করুন এবং Goriyasi Gouri pdf গরিয়সী গৌরী pdf পড়ুন।

গরিয়সী গৌরী pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Goriyasi Gouri pdf - Achintyakumar Sengupta
গরিয়সী গৌরী pdf – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Goriyasi Gouri pdf – Achintyakumar Sengupta

 Goriyasi Gouri pdf গরিয়সী গৌরী pdf ভূমিকা

আঠোরো বছর বয়সের একটি বাঙালি গৃহস্থকন্যা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেল ভগবানকে পাবার পিপাসায়, গিরিমরুবনানীর গহন পথে, দুশ্চর তপস্যা করল হিমালয়ের নির্জনে আব অদর্শনের যন্ত্রণায় প্রাণ বিসর্জন করতে গিয়ে পেল তার ইষ্টকে, পরমতমকে–এর আর জুড়ি কোথায়? শ্রীশ্রীমা সারদা দেবী বললেন, ‘যে বড় হয় সে একটিই হয়, তার সঙ্গে অন্যের তুলনা হয় না। যেমন গৌরদাসী।’
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণের মানসপুত্র নরেন আর মানসকন্যা গৌরী। একজন খাপখোলা তলোয়ার, আরেকজন ত্বরিতস্ফুরিত বিদ্যুল্লেখা। একজন পাতালফোড়া শিব, আরেকজন কৃপাসিদ্ধা ব্রজগোপী, কৃষ্ণান্বেষিণী ব্যাকুলতা। একজনের শিবজ্ঞানে জীবসেবা, আরেক- জনের জগদম্বাজ্ঞানে মাতৃসেবা।

চৌধুরী বাড়ির রহস্য – অভিরূপ সরকার Chowdhury Barir Rohosso by Abhirup Sarkar

‘গৌরমা কোথায়? এক হাজার গৌরমার দরকার- ঐ noble _stirring spirit. এই তো স্বামীজির ডাক। সমস্ত মেয়ের মধ্যেই আছে এই বৈষ্ণবীশক্তি। বৈষ্ণবীশক্তির জীবন্ত বিগ্রহ, অনন্তবীর্যা লোকপাবনী জননী গৌরী এই শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করবার জন্যে আবির্ভূতা। প্রত্যেক মেয়ে তার জীবনে সেই অমিতশক্তি অমৃতশক্তির সাক্ষাৎলাভ করবে তারই জন্যে এই মাতৃবন্দনা।
অচিন্ত্যকুমার

 Goriyasi Gouri pdf গরিয়সী গৌরী pdf নমুনাঃ
বিয়ের সভায় বর এসে বসেছে। লগ্ন যায় যায়।
কিন্তু কনে কই ? সে কী, আর দেরি কেন? কনেকে নিয়ে এস। সভাস্থ করো।
কোথায় কনে ? হলদে পাখি উড়ে গিয়েছে।
‘কোথায় মান্তু?’ গিরিবালাকে জিজ্ঞেস করলেন পার্বতীচরণ।
দরজা-দেওয়া বন্ধ ঘর দেখিয়ে দিল গিরিবালা।
‘যেমন করে পারো বার করে নিয়ে এস।’
‘বাপ ভাই সকলে মিলে বোঝাতে পারলে না, আমি মেয়েমানুষ, আমি কী করব!’ অসহায় চোখে তাকাল গিরিবালা।
‘তুমি মা, পারলে তুমিই পারবে।
‘যাও, দরজায় ধাক্কা মারো।’

পার্বতীচরণ গ উঠলেন:
‘আচ্ছা, তোমরা যাও, হৈ-হল্লা কোবো না, আমি দেখছি।’
ভিড় সবে গেলে গিরিবালা দরজায় মৃদু করাঘাত করল। ডাকল, ‘মাস্ত!’
কোনো সাড়া নেই।
‘মান্ত, কোনো ভয় নেই, দোর খুলে দে লক্ষ্মীটি।’ কেউ উঠল না, নড়ল না, শব্দ করল না।
সেই কখন থেকে পোড়ো ঘরটাতে বন্ধ হয়ে আছে মৃড়ানী।

একা আছে? না, একা নেই, সঙ্গে আছে তার নিত্যপূজার দামোদর আর শ্রীগৌরাঙ্গের পট একখানি।
কী ব্যাপার? বিয়ের রাতে কন্যা কেন বিপরীত?
‘আমি ওকে বিয়ে করব না, কিছুতেই না।’ মুড়ানী গোঁ ধরেছে। সন্ধের থেকেই তার রণচণ্ডী মূর্তি। যে কেউ কিছু বলতে আসে কটুক্তি করে। শাসন বা অনুরোধ কোনো কিছুতেই টলেনা, গলেনা। ‘ওকে বিয়ে করব না, কিছুতেই না।’ এই এক সৃষ্টিছাড়া প্রতিজ্ঞাকে আঁকড়ে থাকে৷
‘তোমরা সরে যাও বলছি। আমার কাছে এসনা। যদি আসবে তো – মৃড়ানী রুদ্রাণী হয়ে ওঠে। পাড়াপড়শী আত্মীয় স্বজন সকলের উদ্দেশে ইট পাটকেল খুরি গেলাস ছুঁড়ে মারে। ‘পালাও বলছি সকলে। পালাও।’ আস্ত একটা দইয়ের ভাঁড় এবার ভাঙল উঠোনে।

প্রতিপক্ষও খেপে গেল। ‘এ কী অন্যায় কথা! তেরো বছরের এইটুকু মেয়ে, তার কিনা এই দুর্বার তেজ! এ আমরা কিছুতে সহ্য করব না।’
‘না, না, ওকে বিয়ে করব না কিছুতেই।’
তবে কি মৃড়ানীর পাত্রে আপত্তি?
সে আপত্তি তো আছেই। নিজের ভগ্নীপতিই পাত্র বলে নির্বাচিত হয়েছে।
সে কী কথা?
তা ছাড়া ঐ দুরন্ত মেয়েকে কে স্থান দেবে? বিয়ের পর শ্বশুর- বাড়ি গেলে দিদি বিপিনকালী দেখতে-শুনতে পারবে। মুড়ানীর কোনো কষ্ট হবেনা।
‘আমরা যাকে পাত্র বলে ঠিক করেছি তাকেই বর বলে মানতে হবে।’ আত্মীয় অভিভাবকের দলও মরীয়া হয়ে উঠল।

‘না, না, কিছুতে না।’ হারানো জিনিসপত্রের জঞ্জাল জড়ো করা হয়েছে যে পোড়ো ঘরটায় সেখানে ঢুকে দরজা বন্ধ করল মৃড়ানী। বললে, ‘শুধু ওকে নয় নয়, কোনো মানুষকেই বিয়ে করব না আমি যে বর মরে যায় তাকে দিয়ে আমি কী করব?’
যেনাহং নামৃতা স্যাম কিমহং তেন কুর্যাম?
“শোনো আজগুবি কথা।’ আত্মীয়-অভিভাবকেরা থ বনে গেল। ‘যে করে পারো মেয়েটাকে বার করে আনো। ওর জেদ কিছুতেই টিকতে দেব না। জোর করে বিয়ে দেব। এ লগ্ন যায় তো পরের লগ্নে।
তখন গিরিবালাকে পাঠাল সকলে। মেয়েকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে রাজি করাও। হোক ভগ্নীপতি, ভোলানাথ মুখুজ্জে পানিহাটির একজন ধনী-মানী লোক। মৃড়ানী তার কাছে সুখে থাকবে।
ধারে-কাছে লোকজন কেউ নেই, গিরিবালা আবার ডাকল: ‘মান্ত, মা, লক্ষ্মীটি, দরজা খোল। আমাকে বিশ্বাস কর দরজা খুলে দিল মৃড়ানী।
গিরিবালা দেখল মৃড়ানী অঝোরে কাঁদছে।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর Goriyasi Gouri pdf গরিয়সী গৌরী pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে এবং Goriyasi Gouri pdf গরিয়সী গৌরী pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply