কবির স্ত্রী pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Kobir Estree pdf – Atin Bandyopadhyay

কবির স্ত্রী pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Kobir Estree pdf - Atin Bandyopadhyay
কবির স্ত্রী pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Kobir Estree pdf - Atin Bandyopadhyay

অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় এর পশ্চিমবঙ্গের সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বই Kobir Estree pdf কবির স্ত্রী pdf ডাউনলোড করুন এবং পড়ুন কবির স্ত্রী pdf বই।

কবির স্ত্রী pdf - অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Kobir Estree pdf - Atin Bandyopadhyay
কবির স্ত্রী pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Kobir Estree pdf – Atin Bandyopadhyay

Kobir Estree pdf কবির স্ত্রী pdf নমুনাঃ

রমা বসে আছে।
কখন তার ডাক আসবে সেই আশায় বসে আছে।
পামেলা হায়দার বলেছে, তুমি বসো, আমি চিরকুট পাঠাচ্ছি।
এই বিশাল বাড়িটার নীচে একটা পরিত্যক্ত ঘরে সে অপেক্ষা করছে একটা চিরকুটের আশায়। আরও কেউ কেউ বসে আছে। পামেলা হায়দার রিসেপশনিস্ট — এই সদর দরজায় তারা বলতে গেলে পাহারাদার। পাশে চক্রবর্তীবাবু খটাখট নিরন্তর টাইপ করে যাচ্ছে। কাচ দিয়ে ঘেরা।
সুরমা জানে, পামেলা হায়দার ক্লায়েন্টের রুচি বুঝে লোক ঠিক করে।
আপনার কী চাই?
আমার চাই দীর্ঘাঙ্গী এক সরল বৃক্ষের মতো যুবতী।
আপনার ?
আমার টিউলিপ ফুলের মতো নরম এক কিশোরী। আপনার?
আমার চাই জীর্ণ আবাসে এক ছিন্নপত্রের মতো নারী।

আয়নার মতো – তন্দ্ৰা বন্দ্যোপাধ্যায় Aynar Moto by Tandra Bandyopadhyay

ক্লায়েন্টদের এই হরেকরকম চাহিদা মাথায় রাখতে হয় পামেলাকে। এই ইন্টারন্যাশন্যাল হোটেলের এই তলাটার কোন ঘরে কে কী চায়, পামেলা ছাড়া আর কেউ জানে না। সারাদিন রুমে ফোন করলে এদের পাওয়া যায় না। তারাই পামেলা হায়দার এবং তার নম্বর দিয়ে বলে দেয়, ওর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। পামেলা গোপনীয়তা রক্ষার্থে শুধু হাতে হাতে চিরকুট পাঠিয়ে দেয়। কত নম্বর ঘর এবং ক’তলায় কে অপেক্ষা করছে তার হদিস – ঘরে ঢুকে চিরকুটটি সযত্নে মানিব্যাগে রেখে দিতে হয় এবং ফেরার সময় চিরকুটটি ফের পামেলাকে দিয়ে যেতে হয় কারণ, ওতে পামেলার ছোট করে সই থাকে। গোপনীয়তা রক্ষার জন্যই এই ব্যবস্থা। এত বড় নামী হোটেলের কোনও গুডউইল নষ্ট হলে তার যে চাকরি থাকবে না, পামেলা হায়দার ভালই জানে।

হাসির গল্প হাসির ছড়া pdf – আহমাদ মাযহার Hasir Golpo Hasir Chora pdf – Ahmad Mazhar

সুরমার আজ আসতে একটু দেরি হয়েছে— ট্রেন লেট ছিল, বেলঘরিয়া স্টেশনে ট্রেন ধরতে হয় সুরমাকে। নয়াপল্লী থেকে হেঁটেও আসতে হয় তাকে তার একটি মাত্র ছেলে, তাকে বড় করে তোলা ছাড়া এখন আর তার কোনও স্বপ্ন নেই। আজ পুত্রটির কী হয়েছে, হঠাৎ সে গলা জড়িয়ে ধরে বলেছে, মা আমি আজ তোমার পাশে শোব। রোজ রোজ মাসির সঙ্গে শুতে ভাল লাগে না। তুমি আমাকে কোলে নাও মা। আমাকে আদর করো। তুমি না থাকলে আমার খুব খারাপ লাগে।

সব সময় পুত্রের আবদার রক্ষা করতে পারে না বলে তার মুখে বিষাদের ছায়া। সত্যব্রত কেন যে মরে গেল। তাকে বানের জলে ভাসিয়ে দিয়ে সে চলে গেল।
পুরনো পরিত্যক্ত সোফা, কাচের টেবিল, মেরুদণ্ডহীন ভাঙা টেবিল, কাচের ডাই— তার ভিতর আরশোলা সব গোপন অন্ধকারে লুকিয়ে আছে— এই ঘরে বসে সবই টের পায় সুরমা।
আর এই অপেক্ষার সময়টাতেই সত্যব্রতকে বেশি মনে হয়। যদি চিরকুট না আসে, তাকে ফিরে যেতে হবে। রাত দশটা পর্যন্ত তাকে অপেক্ষা করতে হয়।

সাড়ে দশটার ট্রেন ধরতে পারলে সে বারোটার মধ্যে বাড়ি ফিরে যেতে পারে। তার ফোন নেই— ফোন থাকলে এত অসুবিধা হত না। কত যে দরকার একটা ফোনের।
আজকাল তাঁকে প্রায়ই কেউ নীলখামে চিঠি দিয়ে যায়। বয়স বাড়ছে। চিঠিটা গোপনে রেখে যায়, গোপনে তিনি পড়েন। তাতে লেখা, নদী নারী নির্জনতা মানুষের জন্য অপেক্ষা করে থাকে।
তিনি সফল মানুষ এমনও কখনও ভাবেন। যেন ঘরবাড়ি তার ছিমছাম। অতিকায় টবে বোগেনভেলিয়া বাড়ছে— বড় হচ্ছে বুড়ো হচ্ছে। ফুল ফোটে, পাতা ঝরে যায়, শীত আসে। বসন্ত চলে যায়।
সুরমা দেখতে পায় এক বড় নদী— দু’পাশে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ। চাঁদের আলোয় ভেসে বেড়ায় চিঠির বর্ণমালা। কার যেন সুন্দর হস্তাক্ষরে বড় মনোরম সুষমায় কথাগুলো গেঁথে থাকে মালার মতো।

সুরমা তখন সত্যব্রতকে দেখতে পায়। সে দেখতে পায় এক বড় নদী- দু’পাশে দিগন্তবিস্তৃত মাঠ— মাঠের উপর দিয়ে হেঁটে সত্যব্রত কোথায় যেন চলে যাচ্ছে।
তারপর পাখিরা উড়ে যায়। ছায়া পড়ে। ডানায় কুয়াশা লেগে ক্লান্ত। হয় পাখিরা।
সুরমা চিৎকার করে ডাকে, আমাকে একা ফেলে তুমি কোথায় যাচ্ছ।
গমের ক্ষেত জ্যোৎস্নায় দুলছে। বিচিত্র বর্ণের প্রজাপতি চুপচাপ বসে থাকে শীষে। নীলখামের চিঠি পকেটে নিয়ে সে পার হয়ে যায় মাঠ। তার হুঁশ নেই। সুরমা বলেছিল, কেউ ডাকে শুনছ।
কে অঃ তুমি
অনেক রাত হল ঘুমোতে যাও।

কবির স্ত্রী pdf ডাউনলোড লিংক

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply